তখন চিত্তরঞ্জন শিশুসদনে। ইমার্জেন্সি ডিউটি চলছে। একজন অল্পবয়সী মা বছরতিনেকের শিশুসন্তানকে নিয়ে এলেন।
সমস্যা, বাচ্চার পাতলা পায়খানা – প্রায় জলের মতো। একনজর দেখেই বোঝা গেল, বাচ্চাটি চনমনে আছে – মুখে ওআরএস-এর জল খাওয়ালেই হবে। একনজরে এও বোঝা গেল, পরিবারটি হতদরিদ্র শ্রেণীর। না, আমরা পদবী দেখে চিকিৎসা করিনা – কিন্তু, চিকিৎসা করার মুহূর্তে – বিশেষত সরকারি হাসপাতালে, যে রোগীকে ভর্তি করা হচ্ছে না, যাঁকে বাড়িতে নিয়মপালনের কথা বলা হচ্ছে, তাঁকে তদসংক্রান্ত উপদেশ দেওয়ার মুহূর্তে – তাঁর আর্থসামাজিক অবস্থানটি মাথায় রাখা জরুরী।
যেমন ধরুন, কারো মুখে এত ঘা, যে তিনি কিছু খেতেই পারছেন না – পুষ্টির অভাব মূলত সে কারণেই। তাঁকে বলা হল, সমপরিমাণ চাল ও ডাল প্রেশার কুকারে অনেকবার সিটি দিয়ে গলা গলা করে ঠাণ্ডা হলে খাওয়াতে – অথবা মুরগির মাংস বেশী সিদ্ধ করে হাড় বেছে ফেলে দিয়ে মিক্সিতে খুব করে ঘেঁটে খাওয়াতে। এসব উপদেশ শুনে সচরাচর আমাদের হাসপাতালের রোগীরা কথা বাড়ান না – কেননা, তাঁরা বোঝেন, কারো বাড়িতে যে ফ্রীজ-মিক্সি এমনকি প্রেশার কুকারও নেই, সেসব এই ডাক্তারবাবুর অনুমানের বাইরে – কাজেই, এনার সাথে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই – মোদ্দা কথা, উপদেশটি জলে যায়। ঠিক যেমন, উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা হোম-কোয়ার্যান্টাইনের নির্দেশ দেওয়ার মুহূর্তে অনুমানই করতে পারেন না, যে, তাঁদের সুশাসনের শেষে দেশে এমন কিছু দুর্ভাগা রয়েছেন, যাঁদের এসব নির্দেশিকা মানার সুযোগই নেই – আলাদা থাকার জায়গাই নেই – আর থাকলেও, একা একা চোদ্দ দিন ঘরে বসে থাকলে দুবেলা খাবার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু, সেসব কথা আজ থাক। আবার সেই দরিদ্র পরিবারের শিশুটি ও তার মায়ের প্রসঙ্গে ফিরি।
অতএব, আমি আন্দাজ করার চেষ্টা করলাম, বাড়িতে ওআরএস-এর উপদেশ ইনি মানতে পারবেন কিনা – হাসপাতালে সাপ্লাই বলতে এক লিটারে গুলে রাখার মতো প্যাকেট – কাজেই, ওআরএস গুলে রেখে দেওয়া ছাড়া পথ নেই, কেননা এইটুকু বাচ্চা ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যে এক লিটার পানীয় খেয়ে ফেলবে তেমন সম্ভাবনা নেই – ইনি কি ঠিকভাবে সেসব মানতে পারবেন – নাকি উল্টে সেই জল সংক্রামিত হয়ে গিয়ে বিপদ বেড়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। শুনতে একটু বাড়াবাড়ি মনে হলেও, বিশ্বাস করুন, এমনকি সাধারণতম অসুখের চিকিৎসার নিদান দেওয়ার মুহূর্তে ডাক্তারদের এরকম হাজারটা বিষয় মাথায় রাখতে হয়, যেগুলো বইয়ে লেখা থাকে না – কিন্তু, এসব কথা মাথায় না রাখলে চিকিৎসাটিই বেকার হয়ে যায়। এবং, এই প্রত্যেকটা বিষয় ভেবে নিতে হয় ওই সামান্য মিনিটকয়েকের মধ্যেই – কেননা, উপচে পড়া রোগীর ভিড়ে একজন রোগীর পিছনে বেশী সময় দেওয়া কঠিন তো বটেই – উল্টে পরের রোগীই পিছনের রোগীর সাথে আলোচনার ছলে ডাক্তারকে শুনিয়ে গজগজ করতে থাকেন।
সে যা হোক, এইসব গভীর চিন্তার মাঝেই, টেবিলে শোয়ানো শিশুটিকে একঝটকায় উপুড় করে দিয়ে, মা বলে উঠলেন – ডাক্তারবাবু, দেখুন না, হেগে হেগে পোঁদটা একদম লাল হয়ে গ্যাছে।
প্রবল বিরক্ত হলাম। ঝাঁঝিয়ে উঠে বললাম, ভদ্রভাবে কথা বলতে শেখোনি!! মা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ – এবং আমার লেখা প্রেসক্রিপশনটি মন দিয়ে শুনে ওষুধপত্র পথ্য বুঝে বাড়ি চলে গেলেন।
কিন্তু, মায়ের সেই অবাক হওয়ার দৃষ্টিটা আমার পিছু ছাড়ল না। এই ঘটনার পরে প্রায় দুদশক কেটে গিয়েছে – চিকিৎসার অভিজ্ঞতা অল্পবিস্তর বেড়েছে আমার – সেই অবাক চোখের কথাটা আমার অভিজ্ঞতা আর বোধের সাথে মিলিয়ে নতুন করে ভাবায় আমাকে।
প্রথমেই যেটা মনে হয়েছিল, আমার জন্ম বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে – ডাক্তারি পড়া বাঁকুড়াতে। শহুরে বাবুদের ভাষার বাইরে যে একটা বিপুল অংশের মানুষের ভাষা রয়ে গিয়েছে – যে ভাষায় শব্দের ব্যবহার বা যে ভাষার পিছনের সংস্কৃতি, সে বাংলাভাষা হয়েও আমাদের শিরোধার্য বাংলাভাষার চাইতে অনেক দূরে – সে কথা জানতে পারিনি, এমন তো নয়। মাধ্যমিকের পর থেকেই হোস্টেলজীবন শুরু হয়েছে – অতএব, সংস্কৃতঘেঁষা বাংলাতে বন্ধুদের সাথে কথা বলি সর্বদা, এমনও নয়। তাহলে?
অথচ, ডাক্তারি শিক্ষার একেবারে প্রাথমিক পাঠের মধ্যেই বলা হয়, রোগীর কাছে অসুস্থতার কথা জিজ্ঞেস করার সময় – যার নাম হিস্ট্রি টেকিং – কথা বলতে হবে যথাসাধ্য রোগীর ভাষায় – সে ইতিহাস লিপিবদ্ধ করতে হবে যথাসম্ভব রোগীর ভাষাতেই। উদাহরণ দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, কেউ শ্বাসকষ্ট বা নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধে বোধ করলে সে উপসর্গকে লিখতে হবে ডিফিকাল্টি ইন ব্রিদিং বলেই – ডাক্তারি পরিভাষা অনুসারে ডিস্পনিয়া বলে লেখা যাবে না। আমরা আমাদের কথা বলার ভাষায় বা রোগীপরিজনের ভাষায় উপসর্গের কথা লিখে রাখতে পারি না – লিখি ইংরেজিতে, অর্থাৎ অনুবাদ করে। যেকোনো অনুবাদের মতোই, উপসর্গের ভাষান্তরেও অসুস্থ মানুষটির বয়ান কি হারিয়ে যেতে থাকে? কিন্তু, সে তো অনেক পরের পর্যায়ের প্রশ্ন – আমার প্রশ্ন তো আরো অনেক বুনিয়াদি পর্যায়ে আটকে রয়েছে।
এক্ষেত্রে অসুস্থ শিশুটির উপসর্গের কথা মা শোনাতে চাইছিলেন তাঁর নিজের ভাষাহ – হ্যাঁ, যে ভাষা তিনি জেনেছেন এবং যে ভাষায় তিনি রোজকার জীবনে কথাবার্তা বলে থাকেন – ঠিক সেই ভাষায় উপসর্গ লিপিবদ্ধ করার প্রশ্ন না উঠলেও, ভাষাটির শালীনতা নিয়ে আমি এমন বিচলিত হয়ে উঠলাম কেন?
আর সেই শালীনতা প্রসঙ্গে আমার উষ্মাপ্রকাশ চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে যে দেওয়াল তৈরী করে ফেলল, তা কি এক্ষেত্রে ও বটেই, এমনকি পরের দফাতেও চিকিৎসকের সামনে নিঃসঙ্কোচে সব কথা খুলে বলার পথে এই মায়ের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না??
বাংলা মাধ্যমেই লেখাপড়া করেছি আজীবন। আগেই বলেছি, লেখাপড়ার অধিকাংশটাই বড় শহর থেকে দূরে। এর পরেও এমন দূরত্ব রয়েই গেল”!
আজ যখন লেখাপড়া ব্যাপারটাই ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে – ডাক্তারি পড়তে ঢোকার পরীক্ষার ক্ষেত্রেই বাংলামাধ্যমে পড়া একটা বড়সড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সেক্ষেত্রে এই দূরত্ব কতখানি বেড়ে যেতে পারে?
গ্রামেগঞ্জে মফস্বলে ইংরেজি মাধ্যম ইশকুল গজিয়ে উঠছে অজস্র। ঠিক কোন আর্থসামাজিক শ্রেণীর মানুষেরা সেখানে পড়তে যান? আর কারা পড়েন সরকারি বাংলা মাধ্যম ইশকুলে? ডাক্তারিতে ঢোকার পরীক্ষায় প্রথমোক্তরা যদি কিছুটা এগিয়ে থাকেন, তাহলে ডাক্তারি পঠনপাঠনরত ছাত্রছাত্রীদের আর্থসামাজিক বিন্যাসটি ঠিক কেমন দাঁড়ানোর সম্ভাবনা??
আরেকটা গল্প মনে পড়ে গেল। পেটের কোনো অপারেশনের পরে একটা চিন্তা থাকে, অপারেশনের ধকল কাটিয়ে পেটের মধ্যেকার পাকস্থলী-অন্ত্র নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পেরেছে কিনা। না, জটিল টেকনোলজির প্রয়োজন হয় না। পেটে স্টেথোস্কোপ বসিয়ে এবং রোগীকে প্রশ্ন করেই উত্তর পাওয়া সম্ভব।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে পাঁচ বছর লেখাপড়ার পরে সদ্য পাশ করেছি। ইন্টার্নশিপ চলছে – রোটেশন ডিউটিতে সার্জারি বিভাগে। গ্রামীণ এক বয়স্কা মহিলার পেটে কৃমি আটকে গিয়েছিল – অপারেশন হয়েছে গতকাল। এমনিতে হাসিখুশীই আছেন বৃদ্ধা – কিন্তু, ওই যে, পেটের ভিতরের জিনিসপত্র খুশী আছে কিনা, সেটাও জানা জরুরী। দেখি, এক শহুরে ট্যাঁশ সহপাঠী (ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষায় অধিক আলোকপ্রাপ্ত সহপাঠীদের এমন নামেই ডাকার চল ছিল সে আমলে) বুড়ির কাছে গিয়ে প্রশ্ন করছে, আপনার উইন্ড পাস হয়েছে কিনা এবং রোগিনী অবাক বিস্ময়ে সদ্য-ডাক্তারের পানে চেয়ে আছেন। সহপাঠী বন্ধু ইংরেজি ছেড়ে বাংলায় নামলেন – আপনার বায়ু সরেছে? এই শব্দবন্ধের অর্থ বুঝতে সাধারণত কারোরই অসুবিধে হত না – কিন্তু, বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত সেই বৃদ্ধা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। এমন সময় আরেক সহপাঠী বন্ধু – মেদিনীপুরের গ্রামাঞ্চল থেকে আগের পড়াশোনা – সে এই অবস্থা দেখে এসে জিজ্ঞেস করল, ও মাসি, সকালে পাদটাদ হয়েছে তো!!! ফোকলা দাঁতে একগাল হাসি নিয়ে বুড়ি ঠিক কী উত্তর দিয়েছিলেন, সে বিস্তারে যাওয়া নিষ্প্রয়োজন – কিন্তু, যে কথাটা বলতে চাইছি, আমার সেই ট্যাঁশ বন্ধু এই অমার্জিত শব্দটা জানত না, এমন তো নয় – এতদসত্ত্বেও, একটি জরুরী প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া সত্ত্বেও সে ভাষা নিয়ে ছুঁৎমার্গ ছাড়তে পারল না।
না, সবসময়ই রোগীর কাছে পৌঁছানোর জন্যে খুব অমার্জিত ভাষার প্রয়োজন পড়ে, এমন নয়। এখুনি তো বললাম, বায়ু সরেছে কিনা দিয়েই দিব্যি কাজ চলে যায়। যেমন, যৌন মিলন বিষয়ে প্রশ্ন করতে হলে, মেলামেশা করেন কিনা জিজ্ঞেস করলেই দিব্যি কাজ চলে যায় – বাজারচলতি প্রতিশব্দের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু, রোগীর কাছে পৌঁছাতে হলে – এবং তাঁর কাহিনীর কাছে পৌঁছাতে চাইলে – তাঁর গ্রহণযোগ্য ভাষায় কথা বলার জন্যে চিকিৎসককে তো প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমার সেই দুই সহপাঠীর মধ্যে পরবর্তী জীবনে কে পেশায় সফল বা প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার, তার বিচার আগের কাহিনী থেকে হয় না – গল্পটি বলতে বসা স্রেফ এটুকু বোঝাতে, যে, বিভিন্ন ধরনের মানুষের চিকিৎসা করার মুহূর্তে চিকিৎসককে বিভিন্ন ভাষারীতির জন্যে প্রস্তুত থাকতে হয়। নিজের আর্থসামাজিক আবহ বা শিক্ষার কমফর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতে হয় চিকিৎসককে। রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কটি কথোপকথন নির্ভর – সেই কথোপকথন অনেক সময় ভাষা-নিরপেক্ষ, অর্থাৎ হাতের স্পর্শ বা চোখের দৃষ্টির মধ্যে দিয়েও যথেষ্ট কথার আদানপ্রদান হতে থাকে – কিন্তু, সে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভাষা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
রোগীর নিজস্ব ভাষারীতিতে চিকিৎসকের স্বাচ্ছন্দ্য যেমন সহজেই নৈকট্যের সম্ভাবনা তৈরী করে – ভাষা বিষয়ে মানসিক কাঠিন্য ঠিক ততো সহজেই দূরত্ব সৃষ্টি করে ফেলতে পারে। না, বইয়ে বা সিলেবাসে এসব কথা লেখা না থাকলেও, এ শিক্ষা প্রতি চিকিৎসকের দৈনন্দিন যাপনের অংশ – অন্তত, তেমনটাই প্রত্যাশিত। পাঁচতারা হাসপাতালের বাতানুকূল আউটডোরে বসে রজঃস্বলা নারীকে মাসিক হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করা আর বীরভূমের প্রত্যন্ত হেলথ সেন্টারে বসে পিরিয়ডের খবর জানতে চাওয়া, একইপ্রকার দূরত্ব সৃষ্টি করে। সমস্যা এই, দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে গেলে, প্রথম ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপারটাকে চিকিৎসকের কান্ডজ্ঞানহীনতা বা আদবকায়দা শিক্ষার অভাব বলে দেখি, আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ভাবি রোগিনীর অশিক্ষা।
চিকিৎসক হয়ে উঠতে হলে, অসুস্থ মানুষটির কথা কান পেতে শুনতে চাইলে, চিকিৎসক হিসেবে বসে থাকা মানুষটিকে ভুলে যেতে হয় নিজের আর্থসামাজিক অবস্থানের কথা – ভুলতে হয় সেই অবস্থানের সুবাদে প্রাপ্ত ভাষার সংস্কারের ভার। শিশুটির মায়ের কথা শোনার মুহূর্তে সে দায় পালনের ক্ষেত্রে আমি ব্যর্থ হয়েছিলাম।
শুনেছি, আজকাল নাকি বড় বড় কোচিং সেন্টারে কোচিং না নিলে ডাক্তারিতে প্রবেশ খুব একটা সহজে হয় না। সেসব কোচিং-এর খরচও নাকি লাখের অঙ্কে। এর সাথে তো ইংরেজিমাধ্যম আর বাংলামাধ্যমের সমস্যা আছেই। অতএব, কারা ডাক্তারিতে ঢোকার সুযোগ পেতে পারেন আর কারা পেতে পারেন না – অন্তত কাদের সম্ভাবনা বেশী আর কাদের নয় – তার একটা সহজসরল ছাঁকনির ব্যবস্থা আগে থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে। তাঁরা ঠিক কেমন ভাষায় অভ্যস্ত হবেন? আমাদের দেশের দুস্থ-দরিদ্র মানুষগুলোর ভাষা তাঁরা বুঝতে পারবেন তো??
ভাষা বড় জটিল বিষয়। কখনও সেতু হয়ে থাকে, কখনও বা অলঙ্ঘ্য দেওয়াল।
মানুষ চিকিৎসকের কাছে আসেন বড় নাচার হয়ে – খুব অসহায় মুহূর্তে। সেই অসহায়তার সময়টিতে ভাষা যদি পাঁচিল হয়ে থাকে, হতাশার ভাষা ক্রোধে বদলে যেতে সময় লাগে না। তখন??
সাধারণ বিষয়ে অসাধারণ লেখা।
একেবারে বাস্তব পরিস্থিতি। বাংলায় বড় হওয়া সব বঙ্গসন্তানই তথাকথিত গ্রাম্য ভাষা যথেষ্ট জানে বলে আমার বিশ্বাস। বিষয়টা হলো নিজেকে flexible বা approachable করে তোলা। রোগী-চিকিৎসকের মধ্যে চিরাচরিত হায়ারার্কি ভাঙার দরকার। আর একটা বিষয় হলো পরিস্থিতি। হয়তো ওই ট্যাঁশ সহপাঠী একই ভাষায় রোগিনীকে জিগ্যেস করতো যদি সে একা থাকতো।
খুব ভালো লেখা।
MCI in it’s new curriculum that started from 2019 has included a module called AETCOM (Attitude Ethics and Communication). All years need to have training in AETCOM for particular number of hours and then modules have been sent by MCI. I am part of the committee that implements it at our college. Your write up goes in the same vein. Very pertinent. With decline in communication skills among the new generation of doctors (so called english medium kids who come to study) this becomes a vital part of medical education. Thanks for this. Sharing
খুব ভাল আর কাজের কথা লিখেছো বিষাণ। এই সমস্যা হয়েছিল মথুরাপুরে চাকরী করতে গিয়ে।পিলপিল গুলগুল এই সব উপসর্গের মানে বুঝতে।জেলা থেকে জেলায় কথ্য ভাষা বদলায়। সেটার সঙ্গে সড়গড় হতে সেখানে থাকা দরকার।সাধারন মানুষের সাথে মেসা দরকার। সেই পাট ই যে উঠে গেছে,ভাগের duty তে। আর আমাদের syllabus e communication as a subject শেখান জরুরী। we are bad communicator mostly.নবীন রা পড়বে আশা করি।
দেহসংক্রান্ত বোধ গড়ে ওঠার প্রেক্ষিতে থাকে দীর্ঘ ব্যক্তিগত ইতিহাস । এই ইতিহাস-বোধকে রোগীর-দ্বারা-রোগের-ব্যাখ্যার মধ্যে নির্ণায়ক কারণ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না-করতে পারলে সহানুভূতিশীল হওয়া দুষ্কর । হয়তো রোগের স্পষ্ট ছবি ফুটে ওঠে আপনার মতো মুষ্টিমেয়, যাঁরা শরীরটাকে দেখেন রোগীর দৃষ্টিকোণ থেকে , তাঁদের চোখেই । তাঁর দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁর দেহ তাঁর চেতনা বহির্ভূত কোনো বস্তু নয়, বরং তাঁর কাছে তাঁর দেহ হলো যেভাবে তিনি জগতে উপস্থিত হয়েছেন কিম্বা হচ্ছেন, তার ধরণ সংক্রান্ত চেতনা বা বোধ। যেভাবে তিনি যন্ত্রণা সম্পর্কে সচেতন হচ্ছেন তার দৈহিক বোধ। বোধের ভিত্তি জ্ঞান । স্নায়বিকতায় বস্তুময় সেই জ্ঞানকে চিকিৎসকের বোধগম্য ভাষায় চিহ্নায়িত করা যে কী কঠিন যন্ত্রণার, তা আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন মরমীয়া বীক্ষণে ।
ভালো লেখা। চিকিৎসক আর প্রশাসকদের জন্য স্থানীয় ভাষায় বুৎপত্তি খুবই দরকার। প্রথম ক্ষেত্রে তা না থাকলে রাম বুঝতে শ্যাম হয়ে যেতে পারে এবং রোগীর প্রাণসংশয়ও হতে পারে।
বিষয় নির্বাচন এককথায় অসাধার, ভাষা ব্যবহার চিকিৎসক ও রোগীর দুরত্ব কমিয়ে ও আনে বাড়িয়েও দেয়,আর একটি বিষয় সেটা হল হাতের লেখা,কত ডাক্তারবাবু কি সুন্দর হাতের লেখায় লেখেন,আবার কেউ কেউ কি লেখেন হয়ত পরে নিজেও বুঝে উঠতেপারবেন না,শুধুমাত্রনির্দিষ্ট একটি বা দুটি ওষুধেরদোকান বুঝতে পারব, এই বিষয় টা নিয়ে একদিন লেখার অনুরোধরইল।
Satti osadharon lekha. Koto Jana theke j bonchito Ami. Apurbo apurbo. Khub valo laglo. Onek suvechha onek onek ❤️
খুব গুরুত্বপূর্ণ লেখা ! সবাই পড়ুন !
সত্যি কথা। গভীর বোধসঞ্জাত। নমস্কার জানাই।
বিষয়টি আমার খুব প্রিয় l বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত l