সুরাটের ডাক্তার সংকেত মেহতা। ৩৭ বছরের অ্যানেসথেসিস্ট কয়েকদিন আগে কোভিড আক্রান্ত হয়ে ভরতি হন হাসপাতালে। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট আর অক্সিজেনের ঘাটতির জন্য তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল।
সেই সময় তার থেকে দুটো বেডের ব্যবধানে আরেকজন রোগী ভর্তি, যার বয়স ৭১ বছর। তার শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে দেখে ডাঃ সংকেত বুঝতে পারেন সেই ব্যক্তির ভেন্টিলেশনের সাপোর্ট দরকার। আর তা করার জন্য ইনটিউবেশন অর্থাৎ একটা টিউব বসানো দরকার, মুখ থেকে গলা পর্যন্ত, যা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকই করতে পারেন।
কিন্তু সেই মুহুর্তে সেখানে কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন না। ডাক্তার এলেও প্রয়োজনীয় পিপিই ইত্যাদি পরে কাজ শুরু করতে বেশ খানিকটা সময়ের দরকার। আর এই কাজটা করতে দেরি হলে রোগীর ব্রেন স্থায়ীভাবে খারাপ হয়ে যেতে পারে।
তখন আর নিজের কথা ভাবার সময় নেই চিকিৎসকের। নিজেই অক্সিজেনের নল খুলে এগিয়ে যান। তিনি জানেন, এভাবে অক্সিজেন খুলে ফেলা তার শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। এর জন্য ভবিষ্যতে বড়সড় ক্ষতির আশংকাও যথেষ্ট। তাসত্ত্বেও ধীর পায়ে এগিয়ে যান বৃদ্ধের দিকে। একজন অ্যানেসথেসিস্ট হওয়ার সুবাদে এই কাজটা তার ভালই জানা। তাই ওই শারীরিক অবস্থাতেও ইনটিউবেশন করেন সাফল্যের সঙ্গে। বেঁচে যান বৃদ্ধ।
আর ডাক্তার মেহতা এখনও লড়ছেন কোভিডের সঙ্গে। নিজের জীবন তুচ্ছ করে এভাবে একজন ডাক্তারই বোধ হয় পারেন অন্যের জীবন বাঁচাতে।