ইংরাজিতেই সব লেখো ভাই, বাংলা ভাষা ঘোড়ার ডিম,
বাংলা থেকে বাংলা হটাও, এটাই স্লোগান, অতঃকিম!
বাংলাতে সব বললে করো মুখ্যু বলে মশকরা,
সবকথাদের যায়না মোটেই ইংরাজিতে বশ করা।
কুঁচকে ভুরু দেখছো বড়? ভাবছো এসব কারসাজি?
দিলাম তবে শব্দ কিছু, ফেল যেখানে ইংরাজি।
গেঁড়ে কিংবা উদো বলে ডাকে যদি তোমায় কেউ
ইংরেজ কি বুঝবে নাকি বোঝায় তাতে কী আদৌ?
মায়ের ভোগে যাওয়ার মানে ইংরাজি আর কি জানে
বুঝবে কি সে ডাকলে মদন কিংবা আতাক্যালানে?
ইংরাজিতে যায়না বলা ধ্যাত্তেরিকা আব্বুলিশ,
পারিস যদি ‘লে হালুয়া’ ইংরাজিতে বদলে দিস।
আমরা জানি হুমদো কিংবা মেনিমুখো মানে কী,
দামড়া কথার হদিশ আছে ইংরেজদের জ্ঞানে কি?
মাইরি বলে দিব্যি খাওয়া ইংলিশে কি বল দেখি
ক্যাওড়ামো বা ছ্যাঁচড়ামোটা সাহেবসুবোর শব্দে কী?
পিন্ডি যদি চটকে দিলাম ইংরাজি তার কী হবে?
চিমশেপড়ার খুঁজতে মানে ডিকশনারি দৌড়বে।
আচ্ছা ছাড়ো, এসব নাহয় কথ্য ভাষায় বাক্যালাপ,
এসব কথা ভাববে কেন, তোমার গায়ে সভ্য ছাপ।
সোহাগ কথার ইংরাজি কি বলতে পারো খুব ভেবেও?
ন্যাকামি ঠিক কাকে বলে, সাহেব খুঁজে জানতে চেয়ো।
ইংরাজি তাই থাকুক মাথায়, বাংলা বুকের মধ্যে বাঁচে
‘অভিমান’ এর ইংরাজিটা পাইনি খুঁজে কারো কাছে।