“আপনি যদি দেখেন যে এটি প্রয়োগ করার পরে নিম্নলিখিত উপসর্গ/লক্ষণগুলি দেখা যাচ্ছে তাহলে তক্ষুনি হাসপাতালে চলে যাবেন কারণ এটি প্রাণঘাতী হতে পারে- হাত পা, পায়ের গোছ, মুখ, ঠোঁট ফুলে যাওয়া বা গলা ফুলে যাওয়া যার জন্য ঢোঁক গিলতে বা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এগুলি ছাড়াও যদি শরীরের কোথাও চুলকানি যুক্ত রেশ যা ফুলে উঠছে, চাকা চাকা হয়ে দেখা যায় তাহলে বুঝবেন ওটা সাইড এফেক্টের এলার্জির জন্য।”
“এ ছাড়াও আপনি লক্ষ্য করতে পারেন যে অন্যদের তুলনায় সহজে আপনি সংক্রমিত হচ্ছেন বা শরীরে কালশিটে পরে যাচ্ছে। এগুলি রক্তের মধ্যে সাইড এফেক্টের জন্য ( এগ্রেনুলোসাইটসিস, নিউট্রপেনিয়া, বা থ্রম্বোসাইটপেনিয়া)। আপনি দেরি না করে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।”
এই ফ্যাক্ট শিট শব্দটি বাজারে খুব চালানোর চেষ্টা করছে এন্টি ভ্যাকসাররা। কোভিভ ভ্যাকসিনের ফ্যাক্ট শিটে কি ভয়ানক সব সাইড এফেক্ট লেখা আছে যা দিয়ে লোকজনকে ভয় দেখিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়া থেকে বিরত করার পুণ্যব্রতে এরা লিপ্ত হয়েছেন। এদের মতে করোনা কোভিভ বলেই কিছু নেই। ওটা “সামান্য সর্দি জ্বর”। প্যারাসিটামল খেলেই সেরে যায়।
এদের জন্যই ওপরে এই সাইড এফেক্টগুলি লিখলাম। আজ্ঞে না, ওটা কোনো ভ্যাকসিনের নয়, ওটা প্যারাসিটামলের সাইড এফেক্ট। যে প্যারাসিটামল আমরা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ও প্রেসক্রিপশন ছাড়াই প্রচুর খেয়ে ফেলেছি এদ্দিনে। এবার বলুন তো কতজনের ওই সব ভয়ানক সাইড এফেক্ট হয়েছে? আসলে দেশের ড্রাগ আইন অনুযায়ী প্রতিটি ওষুধের (এবং ভ্যাকসিনের) সাইড এফেক্ট লিখিতভাবে ফ্যাক্ট শিটে জানাতে বাধ্য ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা, সে সাইড এফেক্ট যতই রেয়ার (বিরল) হোক না কেন।
পৃথিবীতে আজ অবধি একটিও মর্ডান মেডিসিন (ও ভ্যাকসিন) আবিষ্কার হয় নি যেটি সাইড এফেক্ট শূন্য। সম্ভাবনা যখন নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকে তখনই সেই ওষুধটি ব্যবহারের সেফটি সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেয় বিধিবদ্ধ সংস্থা। তাই ফ্যাক্ট শিটের নামে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনোই কারণ নেই। ওই ভাবে ভয় পেলে প্যারাসিটামলও খাওয়া যাবে না। মনে রাখবেন যে এই সাইড এফেক্টগুলি এতই বিরল যে ওই ওষুধগুলি নিরাপদ বলে ছাড়পত্র পেয়েছে।