ভাষা দিবসে ভাসা। না কি ভেসে যাওয়া। ফেব্রুয়ারির একুশে এবার দ্বিতীয়বার সুবর্ণ বণিক সমাজ হলে।
একগুচ্ছ চিকিৎসকের ও স্বাস্থ্যকর্মীর সমাবেশ। একটাই মিল– এরা নাকি মাঝেমধ্যেই স্টেথো ফেলে কলম ধরে।
সোস্যাল মিডিয়ায় প্রথম ‘অসুখ’ কবিতাটা পড়ে চমকে উঠেছিলাম। দু-এক জায়গায় আবৄত্তিও করে ফেললাম। তখনও জানি না কবি পরিচিতি। তারপর তো ফেসবুকে কবিতার তীর্থ স্থান খুঁজে পেলাম। একুশের সুবর্ণ মুহূর্তে সেই আর্যতীর্থের মুখোমুখি।
ওদিকে অরুণাচল। আমার একটি লেখায় এই মেরুদন্ডী প্রাণীটিকে করুণাচল বানিয়েছিলাম। আমার চিরকালীন আক্ষেপ, অলরাউণ্ডার মানুষটা গদ্য আর একটু বেশি লেখে না কেন।
দেখা হলো সৌম্যদর্শন সৌম্যকান্তি পাণ্ডার সাথে। তরুণ তুর্কী কথাটা আজকাল খুব শোনা যায়।
সদাব্যস্ত পুণ্যব্রত গুণ। ছাত্র জীবনে বাংলা পরীক্ষায় “নামকরণের সার্থকতা” প্রশ্ন আসতো। পুণ্যকে দেখলেই সে কথা মনে পড়ে যায়।
বয়স লুকিয়ে ইয়ং সেজে বসে থাকার উপায় নেই। পুণ্য এগিয়ে আসে। আরে আপনি 1955 তো। ওপরে উঠুন। বয়স হলে ওপরে উঠতে হয় জানি তাই বিনা বাক্য ব্যয়ে মঞ্চস্থ। গুরুভার- ডা দীপঙ্কর ঘোষের জোড়া বই উদ্বোধন। ‘প্রাপ্তমনস্ক’ ও ‘জোড়া গোয়েন্দা’।
একটু আধটু লেখালেখি আর অনেকটাই প্রাপ্তবয়স্কতার সূত্রে প্রাপ্ত এ সম্মান মহার্ঘ। দীপঙ্কর খেয়াল করাল প্রাপ্তবয়স্ক নয় ‘প্রাপ্তমনস্ক’ হওয়াটাই আসল কথা।
ফেরার মুখে ঐন্দ্রিলের মুখোমুখি। যে কথা বলা হল না, ‘ডক্টর্স ডায়েরি’-র উপস্থিত সব লেখকদের মঞ্চে তুলে একটা ছবি যদি হোত। আজকাল এ সব ‘সঙ্গ-সুখে’র ছবি হাতড়ে বেড়ানোটাই তো বয়স কালের অবসর বিনোদন।