অনেক ডার্বি দেখেছি মাঠে গিয়ে, মাঠে না গিয়ে ছোটপর্দায়, তার চেয়েও বেশি শুনেছি। এই সমস্ত দেখা শোনার বাইরে গিয়ে যে ডার্বি চিরকাল মনে থাকবে সেটা আজকের অর্থাৎ এই ১৮ই আগষ্ট এর ডার্বি। এ এমন এক ডার্বি যেই খেলায় মাঠে বল গড়ালো না এক ইঞ্চি, রেফারির বাঁশি শোনা গেল না একটিবারের জন্যও। যে খেলায় ঘেরা মাঠ, ছড়ানো গ্যালারিতে একজনও দর্শক সমর্থক ছিলেন না,তারা ছিলেন প্রিয় মাঠের বাইরের রাস্তায়। তারা ছিলেন, বিপুল সংখ্যায় ছিলেন। রং বেরঙের জার্সি পরে ছিলেন, লাল হলুদ, সবুজ মেরুন সাদা কালো দলের প্রিয় পতাকা হাতে ছিলেন।
আজকের ডার্বি শুরুর সময় ঠিক ছিলনা, শেষ হওয়ার সময়ও নয়। তার মধ্যেই খেলা হল। সব খেলায় ফলাফল থাকে, ড্র, হার বা জিত। আজ এই অদ্ভুত খেলাতেও ফলাফল আছে। এই ঐতিহাসিক ডার্বির স্কোর লাইন এই রকম। যারা বলেছিলেন “খেলা হবে” তাদের একডজন গোল দিল তারা যারা বলেছিলেন, না খেলা হবে না, আমার ঘরের মেয়েটার এই ভাবে মরে যাওয়াটা কোনো খেলা নয়, খেলা হতে পারে না এই নিয়ে, আমরা লাল হলুদ, সবুজ মেরুন সাদা কালোর দল, আমরা খেলা হতে দেবো না। মাঠের ভেতরে খেলার দিনের উত্তেজনায় আমরা একে অন্যকে যত রকম গালাগালি করেছি, পাপ করেছি মা বোন তুলে, সব পাপ আজ মুছে গেল। আজকের রাস্তায় ওই প্রতিবাদের তিন ঘণ্টায় আমরা অপাপবিদ্ধ। ন্যায়বিচারের দাবিতে আমাদের পবিত্র স্লোগানের গর্জন কাঁপিয়ে দিক পৃথিবীর প্রতিটা সবুজ ঘেরা মাঠ আর ছড়ানো গ্যালারি। আর তার সামনের কালো পিচে ঢাকা রাজপথ। “খেলা হবে”? হবে না।
দারুণ সুপার লেখাটা।
প্রকৃতপক্ষে আজই ‘খেলা হবে’ শ্লোগান টার যথার্থতা
মানুষই তৈরি করলো। ‘না’ দিয়ে যে ‘খেলা’ নয় সবকিছু।
‘খেলাঘর ‘ নয় রাজ্য চালানো টা।
মেয়েদের সন্মান না থাকলে একটা জাতি তথা দেশ এভাবেই তার পচন ধরে এই মমত্বহীন শাসনব্যবস্হায়।
ধূর রেগে যাও কেন!!
বলেছি না জীবন বড়ো ছোট।
এ কেমন একটা যুগ এলো।
তবু তো কজন আছি বাকী।
এতো সময়টা পাল্টে গেল যে।
বেঁধে বেঁধে রই বন্ধু।
“পুড়ে যায় এ জীবন নশ্বর”
বইয়েই সব শক্তি গো।
সেই যে তুমি বলেছিলে না।
পড়ছি বই টা। দূর্দান্ত।
বাপ রে বাপ্। আর লিখবা না নাকি গো!