গা শিরশির করছে বুঝি? শিউরে উঠে কুঁকড়ে গেলো মন?
শান্তি নামক ভ্রান্তিবিলাস
যেমন করে ছিঁড়লো সে লাশ,
তেমন করেই স্বপ্নে এসে করছে জ্বালাতন?
তাই যদি হয়, সাবাস তবে, বাহবা ভাস্কর,
ভেতর-ঘরে পৌঁছে গেছে মেয়ে অভয়ার স্বর।
মূর্তি দেখে বলবে আহা, তেমন কোনো ভাবনা ছিলো নাকি?
নয়ই আগস্ট প্রতি বছর,
ডাঁই মালা সব ওটার ওপর,
ভিজবে রুমাল ঘামেই কেবল, চোখের জলে ফাঁকি..
শব-উৎসবের সে ছকগুলোর নাড়িয়ে দিলে ভিত,
তবেই তো এই মূর্তি সফল, মেয়ে অভয়ার জিত!
তাকিয়ে দেখো, বিকৃত মুখ, গলার শিরা ফুলেছে চিৎকারে,
পেলবতার চিহ্ন কোথাও নেই,
দেখলে পরে চিত্ত হারায় খেই,
তাকিয়ে দেখো, নরক কেমন শ্বাস ফেলে রোজ ঘাড়ে,
তোমার মেয়েটা, আমার মেয়েটা এই বিপদের মাঝে,
বালিতে মুখ থাকলে গুঁজে কাজ কিছু হয় না যে।
ভয় পেয়েছো? ও ভয় মেয়েদের রোজের চেনা সঙ্গী,
তোমার ঘরে, আমার বাড়ির,
এদেশ জুড়ে সকল নারীর,
বয়েস জুড়ে ভুল ছোঁয়াতে ঠিক ওরকম হয় যে মনের ভঙ্গী,
তোমার অজানা, তাই দর্শনে হারিয়ে ফেলছো দিশে
ও মূর্তি আছে এদেশে মেয়েদের প্রতি আয়নায় মিশে।
অথবা তোমার ভাবনাতে ভুল, আবার দেখো কচলে নিয়ে চোখ,
আতংকে নয় ওই চিৎকার,
বস্তুত ওটা রণ-হুংকার,
ওই আসে সে যে নরক মাড়িয়ে, তার গর্জনে কেঁপে ওঠে ধর্ষক,
আকাশে বাতাসে জয় জয় তার, দশদিকে ধায় স্বর,
পুনরায় দেখো, মানুষ তো ছার,
সে আওয়াজ শুনে কম্পিত ঈশ্বর…
মন তোলপাড় করছে মূর্তি? সাবাস হে ভাস্কর,
প্রতিবাদপীঠ বনে গেলো আজ কলেজ আর জি কর।