হাওয়াই চটি দিব্যি ছিল সিংহাসনে বসে,
হঠাৎ কী এক কান্ড হল, সুদিন গেলো ভেসে I
লুকিয়ে খেতো চপ কাটলেট, সামনে রেখে মুড়ি –
সব বিষয়ে চটির ছিল বিদ্যে ভুরি ভুরি I
এমনি ভালই কাটছিল দিন, দিব্যি রসেবশে –
হটাৎ চটি ফেঁসে গেল, মানুষ খুনের দোষে I
ওই যেদিন গভীর রাতে বেজে উঠল ফোন!
সেদিন থেকেই চটির কেমন কু গাইছে মন I
না, না,সে নিজে মারেনি,
মেরেছে তার সই I
আর মারলো কারা ধরবে কে তা,
তেমন প্রমাণ কই?
বিনীত সেই কন্ঠস্বর, কী যেন তার নাম!
ঘন্টা দুয়েক কথা শুনে, চটি বললো, “থাম” I
“খুন কী বলিস! আত্মহত্যা I
তুইও যেমন বোকা,
আর চটি কি ছাই মানুষ মারে!
মরেছে এক পোকা I
সাতটা দিন সময় দিলাম, ধরতে হবে দোষী I
সবকটাকে শূলে তুলে আমিই দেবো ফাঁসি I
আমাদের লোক খুন করেছে?
আস্তে বল, হাঁদা!
আসল খুনী ধরবি নাকি!
ধর একটা গাধা I
আর কী বলি…
সব কথা কি বলতে আছে ফোনে,
টিকটিকি আর হাকিম যত, সবাইকে নে কিনে I
আরও কিছু কলকাঠি নাড়তে হবে আমায় I
দিনের শেষে হিসেব হবে, কে কত কামায় I”
যেমন কথা অমনি কাজ, গাধা পড়ল জালে I
আর যা ছিল প্রমাণ টমান, মিটল ফাঁকতালে I
তারপর সে কান্ড কত!
টিকটিকি তো লাফায় I
হাকিম সেও কম কিসে যায়!
কেবল গলা কাঁপায় I
পথে কিছু কুকুর বেড়াল, রোদ বৃষ্টি ঝড়ে –
বিচার চেয়ে গলা ফাটায়, মাথা খুঁড়ে মরে I
হাওয়াই চটির ভয় নেই আর, মন বেজায় খুশি I
গাধা যখন পড়েছে জালে, হবেই তার ফাঁসি I
কে জানত, ছোট্টো পোকা মৃত্যুকে পার করে,
হাওয়াই চটির ওপর আবার পড়বে এসে ঘুরে!
হাকিম বললে, “গাধার হবে যাবজ্জীবন জেল,”
হাওয়াই চটির মাথায় বাজ, প্ল্যানিং তো সব ফেল!
তড়িঘড়ি হওয়াই চটি উচ্চ আদালতে,
ফাঁসি যদি না হয় তবে ঘুম হবে না রাতে I
“সব তো ঘেঁটে ঘ করেছ, তদন্ত না হাতি!”
এই না বলে মারল হাকিম বেজায় এক লাথি I
লাথি খেয়ে পড়ে চটি ওপর থেকে নীচে,
হরি নাম করতে ছোটে দিঘা সী বীচে I
এদিকে সেই আস্ত গাধা এখন কারাগারে I
ক্ষেপে গিয়ে চটি তাকে বিষ দিয়ে না মারে!
বেঁচে আছি দেখব বলে, হাওয়াই চটির শেষ I
তোমার আমার ঘরের লজ্জা, তাকিয়ে দেখে দেশ I