তখন জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন বোর্ড অফিস ছিল মেডিকেল কলেজের এ্যানাটমি ডিপার্টমেন্টের সামনের অংশে। অফিসের বাইরের দেয়ালে রেজাল্ট টাঙ্গানো হত। আর আমরা যারা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম, ভর্তির জন্য লাইন দিয়েছিলাম অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং-এর সামনে। আর ফ্রেশারস ওয়েলকামের দিন অধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে আমরা গ্রুপ ফটো তুলেছিলাম এমসিএইচ বিল্ডিংএর সিঁড়িতে।
চল্লিশটা বছর পেরিয়ে গেছে, ফটোগ্রাফ বিবর্ণ, কোনো ক্লাসমেটের ফেসবুক ওয়ালে দেখা মিলবে তার। কিন্তু স্মৃতি আজও অমলিন।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিংএ জেনারেল লেকচার থিয়েটার, ক্লাস ছাড়াও কত প্রোগ্রাম হয়েছে সেখানে। তার পাশে ইউনিয়ন রুম, যেখানে কাটিয়েছি ছাত্রজীবনের একটা বড় সময়। ইউনিয়ন রুমের সামনে কমন রুম, টেবিল টেনিস ক্যারাম খেলার ব্যবস্থা। আমাদের বেশ কিছু প্রোগ্রাম, প্রদর্শনী, রক্তদান এসব হত কমন রুমে।
কয়েক মাস আগে এমসিএইচ বিল্ডিংয়ে ফাটল দেখা দিল, রোগীদের সরিয়ে ফেলতে হল। তার কিছুদিন পর ফাটল কমন রুমের দেওয়ালে, এখনো পুরোপুরি সারানো হয়ে ওঠেনি।
আর আজ ফাটল ধরেছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং এ প্রিন্সিপালের অফিসের উপরে ঘড়ি গম্বুজে।
এক এক করে মেডিকেল কলেজের ঐতিহ্যময় হেরিটেজ বিল্ডিংগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ভেঙে পড়ছে। কর্তৃপক্ষের খেয়াল নেই!?
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং এর সামনে ছিল আমাদের প্রিয় ওভাল মাঠ। তার ডান পাশে সুপারের কোয়ার্টার। সেখান থেকে এক নম্বর গেটের দিকে বেরোতে গেলে ডান হাতে আর এস-এর কোয়ার্টার, আর এস ছিলেন রেসিডেন্ট সার্জন। আর এস কোয়ার্টার আর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং এর মাঝখানে ছিল আর পি অর্থাৎ রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ানের কোয়ার্টার। এরা থাকতেন দোতলা বিল্ডিং এর দোতলায়। আর এস কোয়ার্টারের একতলায় অর্থোপেডিক্স এর রেসিডেন্ট সার্জন আর আর পি কোয়ার্টারের নিচের তলায় পেডিয়াট্রিক্স এর আরএমও থাকতেন। এই বাড়িগুলো নেই। 2018 এ প্রথমে ভাঙ্গা পড়েছিল আর পি কোয়ার্টার। তারপর নির্বাণ যজ্ঞের বলি হয় আরএস কোয়ার্টার।
দশতলা এক বাড়ি তৈরি হবে, সেখানে হবে ক্যান্সার চিকিৎসার কেন্দ্র এমনটাই নাকি পরিকল্পনা।
40 ফুট গভীর গর্ত খোড়া হয়েছে। আর সেই গর্তের কারণে ফাটল ধরেছে হেরিটেজ বিল্ডিংগুলোতে।
মেডিকেল কলেজে ভবন ছিল এজরা বিল্ডিং, এমসিএইচ, ক্যাজুয়ালটি ব্লক, ডেভিড হেয়ার ব্লক, ইডেন হাসপাতাল… পাশাপাশি ছিল সবুজ–সুন্দর বাগান, ক্যাসুরিনা এভিনিউ, বৃষ্টি বা রোদের হাত থেকে বেঁচে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যাওয়ার টালির চালের রাস্তা। বেশিরভাগটাই নষ্ট হয়ে গেছে, মেডিকেল কলেজ আজ কংক্রিটের জঙ্গল। কতটা রোগীর প্রয়োজনে আর কতটা অন্য কোন কারণে তা নিয়ে কুজনে নানা কথা বলে।
কিন্তু আমরা মেডিকেল কলেজের সঙ্গে সমার্থক দুটি ভবন–এম সি এইচ আর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং ধ্বংস হয়ে যাক তা চাই না, কোন উন্নয়নের বিনিময়েই চাই না।
মেডিকেল কলেজের ডাক্তার, ছাত্র-ছাত্রী, প্রাক্তনী–সবাই আজ দাবি তুলুক–40 ফুট গর্ত মাটি দিয়ে বুজিয়ে দাও, সেখানে দশতলা বাড়ি নয় বাগান করো।
মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী আর বর্তমানের ছাত্রছাত্রীদের যতজন সম্ভব একসাথে যেতে হবে। ইতিহাসকে বিলুপ্ত করার অধিকার কারও নেই।
ধ্বংসযজ্ঞ চলছে| অনেক ক্ষতি হয়েছে| থামুক এবার|
অনেক কর্মযজ্ঞ হয়েছে…. চারপাশের অনেক অব্যবহৃত জায়গা…সে নিউটাউন হোক বা অন্য কোথাও.. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস, দরকার হলে গড়ে তোলা হোক…। এখান থেকে এবার হাত উঠুক। যদি কোনো উৎসাহী, প্রাক্তন মাটিয়ার সন্তান, এখনো এর ইতিহাস, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সবাইকার ভালোবাসা সম্বন্ধে অবহিত না হয়, সে বা তারা বিদায় নিন। অনেক হয়েছে…”সব কলেজের সেরা সে যে…..” র ঐতিহ্যবাহী বিল্ডিংগুলো এবার রক্ষা পাক…
This is maater of concern for each and all MATIAS.
AS MY UNDER STANDING GOES THESE ARE ALL HERITAGE BUILDING AS PER UNESCO. A LETTER MUST GO TO CONCERN AUTHORITY FROM MEDICAL COLLEGE UNION. AND A JOINT PETITITION from all ex – studentsTO UNESCO and prime minister of India
There is no in trying.
একদম ঠিক কথা বলেছেন বড় বড় ইমারত বানিয়ে তো কোনো উপকার হবে না যদি না আসল পরিষেবা দেবার মতো কোনো গঠন মূলক উন্নতি করা যায় এখানে বিশেষঙ্গ চিকিৎসক ;নার্স ; সাস্থকর্মী এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবস্থা সবই অপ্রতুল এবং এই সমস্যা মেটানোর কোনো সৎ প্রচেষ্টা ও নেই ঢাকঢোল পিটিয়ে এই বড় বড় ইমারত হয়তো একদিন উদ্বোধন ও হয়ে যাবে কিন্তু মে উদ্দেশ্য নিয়ে এই সব তৈরী করা তা কি মিটবে না আর ও পাঁচটা জায়গায় মতো এগুলিতে ও হয়তো সাধারণ রোগের চিকিৎসাই হবে? পুরোনো অভিঙ্গতা অন্তত তাই বলে কি হবে এই বড় বড় ইমারত দিয়ে? যদি সত্যি কোনো সদ্দিচ্ছা থেকে থাকে তাহলে কলেজ টা নষ্ট না করে বিকল্প কোনো স্থানের যেখানে দ্বীতিয় কোনো ক্যাম্পাস করা যাবে তার সন্ধান করা উচিত আসলে মেডিক্যাল কলেজের প্রতি মে আবেগ তা তো এদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয় সত্যিকথা বলতে মেডিক্যাল কলেজের অনেক প্রাক্তনির ও হয়তো তা নেই
অধ্যক্ষ্যের পাশের কেদারায় যতদিন রোগিকল্যান সমিতির হোতা নির্মল মাজী আসীন আছেন ততদিন এসব চলতে থাকবে, দুঃখজনক হলেও সত্যি।
আবেগটা জানা,
জান কবুল আর মান কবুল আর দেবোনা আর দেবোনা রক্তে গড়া MCH, এর মাটি, পরিবেশ, ঐতিয্য,
সঙ্গে আছি।
শুভাকাঙ্খী।
Pure sacrilege
This is what I call 21st century advancement!!!
Saddened for the development. Urgent remedial measures must be taken.
I like the valuable information you provide in your articles.