Holoprosencephaly নামক একটি বিরল রোগে (যেটি আসলে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় হওয়া অনেক গুলো ত্রুটির সমাহার) মানুষও ঠিক একই রকম এক চোখ নিয়ে জন্মাতে পারে। এক্ষেত্রে ব্রেনের প্রোসেনসেফালন বলে যে অংশ থাকে, সেটি ঠিকঠাক দুই ভাগে ভাগ না হলে অনেক সময় আমাদের দুটো চোখ আলাদা হয় না। বরং একটি চোখ হিসেবে মাঝখানে থাকতে পারে।
বলে রাখি – এসব শিশুরা প্রায়ই মৃত জন্মায় বা জন্মের পর মারা যায়। আর নাক, সেটিও আর নাকের মত হয় না। বরং চোখের উপরে একটি বাড়তি অংশ হিসেবে তৈরি হয় , যাকে বলে Proboscis, এছাড়াও ব্রেনে নানা রকম গণ্ডগোল থাকে।
কখনো কখনো অন্য প্রাণীর মধ্যেও এটা দেখা গেছে। মূলতঃ SHH বলে একটি জিনের কারসাজি বলে ভাবা হয় এটিকে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মিউজিয়ামে এই রকম বাচ্চাদের সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। তো এরকম কোন শিশু জন্মালে দেবতা/দৈত্য ইত্যাদি ইত্যাদি হৈচৈ না পাকিয়ে একটু বিজ্ঞানের সাহায্য নিন।
আর হ্যাঁ, এই রকম সমস্যার সমাধানও আছে। গর্ভাবস্থায় বিশেষজ্ঞ রেডিওলজিস্টকে দিয়ে নিয়মমতো ইউএসজি করালে, আগেভাগেই সমস্যার সমাধান করা যায়।
আর হ্যাঁ – একটি তথ্য – যাদের দুটো চোখ থাকতেও কোন কাজে লাগে না, যুক্তি তর্ক প্রমাণের ধারেকাছে না গিয়ে যাদের দুটি চোখ আসলে একটি চোখের মত কাজ করে, চোখে দেখার আগেই সবকিছুতেই আদিম গন্ধ পায় যারা, যাদের মস্তিষ্কের দুই গোলার্ধ আলাদা ভাবে কাজ করার ক্ষমতা অর্জন করে না, কখনো কখনো দেবতা/দৈত্যদের মত ব্যবহার ও করে, তারা কিন্তু মোটেই Cyclops নন! তারা Cyclops-এর আধুনিক বংশধর কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে – Cyclops নামে এক চোখের ভয়ঙ্কর আকৃতির দৈত্যকে।