নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এর সম্পাদকীয়তে (“ডায়িং ইন এ লিডারশিপ ভ্যাক্যুয়াম” – ৮.১০.২০২০) বলা হল কোভিড-১৯ বিশ্ব জুড়ে সংকট তৈরি করেছে এবং এ সংকট দেশের নেতৃত্বকে বুঝে নেবার একটা পরীক্ষা। আমেরিকার নেতৃত্ব এ পরীক্ষায় পূর্ণত বিফল হয়েছে। ২০০,০০০-র উপরে মানুষের জীবনহানি হয়েছে, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, অসংখ্য বেকার তৈরি হয়েছে। “নেতৃত্ব ছাড়া অন্য কেউ এরকম হঠকারীভাবে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেললে কিংবা টাকা তছনছ করলে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হত। এরপরেও আমাদের নেতৃত্ব তাদের কৃতকর্মের জন্য আমাদের কাছে অব্যাহতি দাবী করেছে। কিন্তু এই নির্বাচন আমাদের হাতে বিচারের ক্ষমতা দিয়েছে। যৌক্তিক মানুষেরা আমাদের প্রার্থীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে আপত্তি জানাবে নিশ্চয়ই। কিন্তু সত্য কখনো ‘লিবারাল’ বা ‘কনজারভেটিভ’ নয়। আমাদের জীবদ্দশার সবচেয়ে বড়ো জনস্বাস্থ্যের সংকটের প্রশ্ন যখন এসেছে তখন পরিস্থিতি দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের রাজনৈতিক নেতারা বিপজ্জনকভাবে অকর্মণ্য। আমরা এদেরকে আর উৎসাহ কিংবা সামর্থ্য জোগাতে পারিনা যাতে তারা আবার নেতা হিসেবে ফিরে আসে এবং হাজার হাজার আমেরিকানের মৃত্যু ঘটে। আমরা এদের আর ফেরার অনুমতি দিতে পারিনা।”
পৃথিবীর সর্বাধিক মান্য মেডিক্যাল জার্নালে (ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর ৭৪-এর বেশি) আমেরিকার নির্বাচনের প্রাক্কালে এরকম সম্পাদকীয় লেখা হচ্ছে। দুটি ভাবনাপথ উন্মুক্ত হল – প্রথম, স্বাস্থ্য সংকটের সময়, যখন অসংখ্য মানুষের অসহায় মৃত্যু ঘটছে আমেরিকার মতো বিশ্বের কর্তা সবচেয়ে ধনী দেশে সেসময়ে দেশের নেতৃত্বের চূড়ান্ত অপদার্থতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা; দ্বিতীয়, নেতৃত্ব দেবার ক্ষেত্রে ভয়াবহ শূণ্যতা। ল্যান্সেট-এ “রোজা লুক্সেমবার্গ অ্যান্ড দ্য স্ট্রাগল ফর হেলথ” প্রবন্ধে (১২.০১.২০১৯) রিচার্ড হর্টন বলেছিলেন – “প্রাইভেট ইন্সিউরেন্সের ক্রমবিস্তার, আউটসোর্সিং ও পাব্লিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ, এবং ইচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে কম অর্থ দেওয়া জাতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থাগুলোকে টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গে ফেলেছে।”
আপামর মানুষের ক্ষেত্রে প্রায় সমধর্মী সংকটের মোকাবিলা হয়েছিল আজ থেকে ১০০ বছরেরও বেশি আগে পৃথিবীর একটি ভূখণ্ডে। কি সেই সময়? কি সেই ইতিহাস? সে ইতিহাস চেনার এক প্রচেষ্টা এই প্রবন্ধে।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল-এই আরেকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল (৩০.০৯.২০২০) “রুথলেস হেলথ ল” শিরোনামে। আমেরিকায় সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলতর অংশের জন্য যে Affordable Care Act (ACA) রয়েছে সে আইন ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে রদ করার চেষ্টার বিরোধিতা করে – “যখন আমেরিকায় ৭০,০০,০০০-র বেশি মানুষ করোনা-আক্রান্ত এবং ২০০,০০০-র বেশি মানুষ মারা গেছে, সেসময় মানুষকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত করা দেশের পক্ষে দুর্ভাগা এক সময়কে বোঝায়। এবং যে সময়ে সার্স-কোভ-২-এর আক্রমণে কালো ও অন্য বর্ণের মানুষ, জনজাতির মানুষ এবং শ্রেণী-নির্ভর অসাম্য নাটকীয়ভাবে ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে, এগুলো সংবাদপত্রের প্রথম পাতার খবর হচ্ছে সেরকম এক মুহূর্তে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত এ সুযোগ থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা দেশের পক্ষে সবচেয়ে কুৎসিৎ সময় – যা স্বাস্থ্যের অসাম্য আরও বাড়িয়ে তুলবে।”
অর্থাৎ, বিষয়টি চলে এলো রাষ্ট্রের তরফে সামাজিক অসাম্যের ক্ষেত্রে, বিশেষত স্বাস্থ্যের অসাম্যের ক্ষেত্রে, কি দৃষ্টিভঙ্গী নেওয়া হবে এবং রাষ্ট্রের পদক্ষেপ এই অসাম্যকে ত্বরান্বিত কিংবা উপশমিত করবে – এ প্রশ্নে।
সায়ান্স-এর মতো বিশ্ববন্দিত জার্নালে প্রকাশিত (১৫ মে, ২০২০) “অ্যান আনইক্যুয়াল ব্লো” প্রবন্ধে বলা হয়েছিল – “যে সমস্ত মানুষেরা সবচেয়ে বেশি রিস্ক বহন করে তারা প্রান্তিক – দরিদ্র এবং সংখ্যালঘু, যারা এমনভাবে সামাজিক বৈষম্যের মুখোমুখি হয়েছে যে তাদের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা স্বাস্থ্যের সুযোগ পাওয়া থেকে অনেক দূরে রয়ে গেছে অতিমারিকালের আগেও।”
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল-এ প্রকাশিত হয়েছিল “ডেড ম্যান ওয়াকিং” (নভেম্বর ১৪, ২০১৩)। একজন দরিদ্র “কালো রোগীর” ইন্সিউরেন্স না থাকার জন্য তিলে তিলে অমোঘ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবার ভয়ঙ্কর অভিঘাত লেখকদের ভাষায় “শকড”, “স্যাডেনড”, “ডিসহার্টেনড” এরকম কোন শব্দবন্ধ দিয়েই প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছিলনা – “উই ওয়্যার সিমপ্লি অ্যাপালড।” কারণ? কোলনের ক্যান্সারে ভোগা এই হতভাগা দরিদ্র মানুষটির ইন্সিউরেন্স না থাকার জন্য জীবনের জমানো সমস্ত সঞ্চিত অর্থ (১০,০০০ ডলার) সিটি স্ক্যান করানোর মতো সাধারণ পরীক্ষানিরীক্ষায় ব্যয়িত হয়ে গেছে। লেখকদের শেষ কথা – “আমাদের কাছে ভয়াবহ এবং বেদনাদায়কভাবে নিষ্ঠুর মনে হয় যে মি. ডেভিস এবং তার মতো এই ধনী দেশের হাজারো হাজারো মানুষ মরে যাবে স্রেফ ইন্সিউরেন্স না থাকার জন্য।”
ঘটনাটি আমাদেরকে একাধিক কঠোর সত্যির সামনে দাঁড় করিয়ে দিল – (১) ইন্সিউরেন্স থাকা বা না থাকার ওপরে রোগীর বেঁচে থাকা বা মরে যাওয়া নির্ভর করছে, এবং (২) যেহেতু রাষ্ট্র নাগরিকের স্বাস্থ্য এবং ইন্সিউরেন্সের দায়িত্ব নেয়না (বহুজাতিক ইন্সিউরেন্স হাঙ্গররা বসে আছে সেখানে) সেজন্য সার্বজনীন কোন ইন্সিউরেন্স নেই। ইন্সিউরেন্স হতদরিদ্রদের জন্য নয়।
করোনা অতিমারির সময়ে এই অসাম্য এবং এর ভয়াবহতা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল-এ প্রকাশিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধে (“Structural Racism, Social Risk Factors and Covid-19 – A Dangerous Convergence for Black Americans”, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০) – “বছরের পর ধরে গড়ে ওঠা অর্থনৈতিক সম্পদের অভাব সমাজে গঠনগতভাবে রেসিজমকে রক্ষা করেছে। এবং এর ফলে বিভিন্ন সামাজিক রিস্ক যেমন খাদ্য, বাসস্থান ও সামাজিক সুরক্ষার অনিশ্চয়তা এবং ইন্সিউরেন্সের অভাব কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্যের সুবিধে পাওয়া থেকে বঞ্চিত করছে।”
অর্থাৎ, নির্জলাভাবে এটা সত্যি যে স্বাস্থ্য কেবলমাত্র একটি সংজ্ঞা নয়, এর সাথে যুক্ত হয়ে আছে রাষ্ট্রিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গীর প্রশ্ন। এখানে প্রশ্ন আসবে দেশের মানুষের বিষয়ে, রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকের সম্পর্কের ব্যাপারে কি অবস্থান নেবে রাষ্ট্রের পরিচালক ও নীতি নির্ধারকেরা সে বিষয়ে।
চলবে
এগুলো আর আজকাল এইভাবে কেউ তুলে ধরে না, খুব সুন্দর, অনেক কিছু জানতে পারলাম, এত সুন্দর উপস্থাপনার জন্য তোমাকে কুর্নিশ।
Wonderful sir
আজ এই মহামারীতে,দেশের জনগণের কি ভয়া বহ অবস্থা।কিন্তু আজ পর্যন্ত ।এর টিকা কেহ আবিষ্কার করতে পারেনি।আমাদের যত নেতা,রাজনীতি বিদ সব খামোশ হয়ে রয়েছেন।আজ জনসাধারণের কি অবস্থা,কেউ চিন্তা ভাবনায় করে না।এর নিত্য প্রযোনিয় জিনিস পত্রের দাম,হু হূ করে বাড়তেছে।কিন্তু আমরা আবার সেই রাজনীতি নেতাদেরই ফেরত আনতে ছি।আমাদের ঘুম কবে ভাঙবে,আমরা জানিনা।।আজ দেশের পরিস্থিতি কি দাড়িয়েছে।জি, ডি,পি,কোথায় নেমে এসছে।কবে ঘুম ভাঙ্গবে আমাদের।।
খুব সত্যি কথা।
আমেরিকার সমস্যা হচ্ছে এদের জনস্বাস্থ্য যতটাই বাজে, এদের চিকিৎসা ও নতুন চিকিৎসার টেকনোলজি উদ্ভাবন ততটাই ভালো। যার জন্য খরচ , নাগাল, আর চিকিৎসা পরিষেবার মান, এই তিনটে র মধ্যে থেকে যেকোনো দুটোকে বেছে নিতে হয় ।
যে কারণে ভেবে দেখলে ইন্সিউরেন্সের কনসেপ্ট টা খারাপ নয়, কিন্তু কে ইনসিউরেন্সের দায় নেবে সেটা স্থির হওয়া উচিত। এখন সমাজপতিরা, নির্বাচিত সরকার বা শাসক বা মালিক দায় গ্রহণ করলে সে একরকম, আবার ইন্সুরেন্সের দায় রোগীর ঘাড়ে ফেললে তার একরকম সমস্যা। আমরা যখন বলি স্বাস্থের অধিকার, আসলে আমরা বলতে চাই স্বাস্থ্য পরিষেবার নাগাল পাওয়ার অধিকার। যে কারণে ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ার ইউনিভার্সাল অ্যাকসেস ব্যতিরেকে কাঁঠালের আমসত্ত্ব 🙂
কিন্তু বাজার বড় বালাই।
এই যে প্রিভেনশন, পাবলিক হেলথ কে দূরে সরিয়ে সব টেকনোলজি দিয়ে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা, এটার একটা অর্থনৈতিক প্রেক্ষিত তৈরি হয়েছে, এবং নিও লিবারাল অর্থনীতির বাজারে এ আরো খারাপ বই ভালো হবে বলে মনে হয় না।
তোমার সোভিয়েত সমাধান নিয়ে আলোচনাটি আগ্রহ নিয়ে পড়ব।
চলুক
খুব সত্যি কথা।
আমেরিকার সমস্যা হচ্ছে এদের জনস্বাস্থ্য যতটাই বাজে, এদের চিকিৎসা ও নতুন চিকিৎসার টেকনোলজি উদ্ভাবন ততটাই ভালো। যার জন্য খরচ , নাগাল, আর চিকিৎসা পরিষেবার মান, এই তিনটে র মধ্যে থেকে যেকোনো দুটোকে বেছে নিতে হয় ।
যে কারণে ভেবে দেখলে ইন্সিউরেন্সের কনসেপ্ট টা খারাপ নয়, কিন্তু কে ইনসিউরেন্সের দায় নেবে সেটা স্থির হওয়া উচিত। এখন সমাজপতিরা, নির্বাচিত সরকার বা শাসক বা মালিক দায় গ্রহণ করলে সে একরকম, আবার ইন্সুরেন্সের দায় রোগীর ঘাড়ে ফেললে তার একরকম সমস্যা। আমরা যখন বলি স্বাস্থের অধিকার, আসলে আমরা বলতে চাই স্বাস্থ্য পরিষেবার নাগাল পাওয়ার অধিকার। যে কারণে ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ার ইউনিভার্সাল অ্যাকসেস ব্যতিরেকে কাঁঠালের আমসত্ত্ব 🙂
কিন্তু বাজার বড় বালাই।
এই যে প্রিভেনশন, পাবলিক হেলথ কে দূরে সরিয়ে সব টেকনোলজি দিয়ে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা, এটার একটা অর্থনৈতিক প্রেক্ষিত তৈরি হয়েছে, এবং নিও লিবারাল অর্থনীতির বাজারে এ আরো খারাপ বই ভালো হবে বলে মনে হয় না।
তোমার সোভিয়েত সমাধান নিয়ে আলোচনাটি আগ্রহ নিয়ে পড়ব।
চলুক
(অরিনের হয়ে পোস্ট করলাম ওঁর মতামত)
লেখাটা পড়ে মনের উপরে যথেষ্ট প্রভাব পড়লো।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অসাম্যতার ভয়ানক, করুণ পরিণতি পড়ে মনের উপরে যথেষ্ট প্রভাব পড়লো…
ডা: জয়ন্ত ভট্টাচার্য মহাশয়ের পুরো প্রবন্ধটাই পাঠ করেছি। প্রবন্ধটি সময়োপযোগী এবং সঠিক দিক নির্দেশক। রাষ্ট্রিয় পরিকাঠামোর তুলনামূলক বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে তিনি স্পষ্ট ভাবেই দেখিয়ছেন, যদি কোন রাষ্ট্র তার পরিকাঠামো গণমুখীণ ভাবে গড়ে তোলে তবে প্রান্তিক স্তর পর্যন্ত পরিষেবা পৌঁছানো সম্ভব অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ভাবে।
প্রবন্ধটির শুরুতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রের আপামর জনসাধারণের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া বা রাষ্ট্রের সরাসরি হস্তক্ষেপে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে যে বক্তব্য পেশ করা হবে তাতে কিছুটা ফাঁক থেকে যাবে বা প্রসংগান্তরে গিয়ে প্রবন্ধটি শেষ করা হবে।
কিন্তু প্রবন্ধটি চিন্তাশীল সমাজ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছে সুখপাঠ্য হবে যখন তাঁরা তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখবেন 2020 সালের আধুনিক ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমেরিকার করুণ অবস্থা COVID–19 র অতিমারীকে কেন্দ্র করে। আর একদিকে বিশ্লেষিত হয়েছে 1917–37 পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিভাবে দেশের বুদ্ধিজীবী ,বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে আপামর জনতা মহামারী, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগেরমোকাবিলা করে একটি জনহিতকর শিশু রাষ্ট্র নির্মান কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন।
এই প্রবন্ধটি পাঠের মধ্যে দিয়ে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে বাহ্যিক ভাবে আমেরিকা নামক রাষ্ট্রটিকে যতই সমৃদ্ধ মনে হোক আভ্যন্তরীণ দিক থেকে তা একই বারে ফাঁপা।
এ ধরনের রাষ্ট্রিয় পরিকাঠামো কখনই একটা আদর্শ রাষ্ট্রের তকমা পেতে পারেনা । বৈজ্ঞানিক ভাবে এটাই সত্য।
ডাক্তার জয়ন্ত ভট্টাচার্য মহাশয়কে অশেষ ধন্যবাদ।
Sk Mandal, Islampur, U/D.
চমৎকার শুরু।
মূল বিষযবস্তু এসে গিয়েছে।
সমাজবাদী রাষ্ট্রে বীমা কোম্পানী চিকিৎসা বা অন্য কোন ব্যবসা করতে পারে না। রাষ্ট্রকেই সব দায়িত্ব নিতে হয়।
পরের অংশের প্রতীক্ষায় রইলাম।
your writing is appreciatable what knock to everyone. well done keep it up.
রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকদের সম্পর্কটা ঠিক কি রকম সেটা স্পষ্ট হওয়া দরকার……. দারুণ সময়োপযোগী লেখা
চমৎকার লেখা
রিচার্ড হর্টনের কথাটা অতি বড় সত্যি। সামান্য সিটি স্ক্যান করতে সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ খরচ হল যা হর্টন-এর অভিমতকে জোরালো করে। লেখক চোখ খুলে দেবার মত ঘটনাগুলির উল্লেখ করে পাঠককে সজাগ করার চেষ্টা চালিয়ে গেলে ভাল।
. very nice writing. well done.
keep it up.
সময়োপযোগী ও তথ্য বহুল লেখা। ভীষণভাবে বোধগম্য। সকলের পড়া উচিত।
Excellent research
Lekhata pore samogrik vabe valo laglo.??,prantik manuser sastho somporke rastra ba netara je vabito non abong insurance diye je sarbojonin upokar somvob noy Ata bujhlam.
বেশ ভালো লাগলো পড়ে।