জাস্টিস কিন্তু শুধু অভয়া’র জন্য চাওয়া নয়।
কয়েকটা আসামীর জলদি শাস্তি হলে হবে না এ যুদ্ধবিজয়,
এই ক্ষত করে গেছে আরো যত ভয়ানক ক্ষতি
জাস্টিস তবে হবে যদি হয় সেই সবকিছু মেরামতি।
ডাক্তারি পড়ুয়া-মগজে লিঙ্গের ভেদাভেদ কখনো ছিলো না,
পিঠোপিঠি এক বেডে মাঝরাতে
ক্ষণিক জিরিয়ে নেওয়া ছেলেটা ও মেয়েটার ভাবনায়,
ধর্ষণ দূরে থাক,
জাগেনি শ্লীলতাহানিরও সম্ভাবনা,
সবকিছু বদলে গিয়েছে, সন্দেহ সকলের মন কুরে খায়,
সহপাঠী মানে স্রেফ বন্ধু
সে বিশ্বাস যদি আর না ফিরে আসে,
তাহলে কয়েকটা যাবজ্জীবন আর ফাঁসি হলে,
জাস্টিস পুরো হবে না সে ।
যে কাদামাখা সিস্টেমের কথা উঠে আসছে,
চাউর হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে,
সেখানে মেধা দুর্নীতির কাছে দশগোল খেয়েছে,
টাকায় বিকাচ্ছে পরীক্ষা পাশ ও গোল্ডমেডেল,
যে সব ডাক্তার এইসময় বেরোচ্ছেন ,
পশ্চিমবঙ্গের ডিগ্রি হলে সে সন্দেহ তাঁদের হবে আজীবন সামলাতে,
অথচ মেধা ও সম্মানের এই গণধর্ষকদের না হবে ফাঁসি,
না হবে জেল
তাঁরা বড়জোর বদলি হতে পারেন এক সিন্ডিকেট থেকে আরেক সিন্ডিকেটের কোলে,
এই সব ঘুঘুর বাসা যদি অটুট থাকে,
আর জি করের মেয়েটা সত্যি জাস্টিস কি পাবে তাহলে?
মেয়েরা রাতে বেরোবে,
যখন আর যেমন প্রয়োজন,
কাজে, আড্ডায় পার্টিতে অথবা এমনিই
তারপর ইচ্ছেমতো সময়ে বাড়ি ফিরবে।
এসময় পথে,কাজের জায়গা ও আড্ডাগুলো থাকবে নিরাপদ,
পুরুষ বেরোলে ঠিক যতটা , ততটাই।
এর জন্য যেই পরিবেশ দরকার, রাষ্ট্র চেষ্টা করবেন করতে তেমনি,
সেই আশাতেই পথে নামা, হাঁটা , রাত দখল, মোমবাতি।
দাবী তো একটাই।
ধরা চাই সুযোগসন্ধানী যত দ্বিপদ শ্বাপদ!
এখন যদি উল্টো নোটিশ আসে ‘ নাইটডিউটি’ করে দাও কাটছাঁট,
পিছু হটা সেটা তবে,
নিঃসাড়ে চালু করা তালিবানি পাঠ,
আগামী কন্যার জন্য সে অভ্যাস হবে মহাভয়ংকর,
শেকল পরানো পায়ে রাষ্ট্র দেখাবে তবে
নারীর জায়গা হলো ঘর।
রাতদিন সব কাজে পুরুষ নারীর ভাগ সমান সমান,
যতদিন তা না ঘটে ,
ততদিন যাবে না বলা,
এইবারে জাস্টিস পেলো আর জি কর।