মেডিকেল কলেজ আমার কলেজ। এই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা চিরকাল আমার ভাইবোনের মতো। সেই ভায়েরা আবার অনশন শুরু করেছে। অনশন দুদিন পেরিয়ে গেল। এবং সময় যত গড়াচ্ছে ততই অশনিসংকেত দেখছেন আমার মতো মেডিকেল কলেজের বহু প্রাক্তন ছাত্র।
কী দাবি তাদের?
২০১৬ সালের পর কোনো মেডিকেল কলেজেই কোনো ইলেকশন হয়নি। ছাত্রছাত্রীদের দাবী ছিল অবিলম্বে ইলেকশন করতে হবে। দীর্ঘ ছয় মাস আন্দোলনের পর ঠিক হয়, ইলেকশন হবে ২২শে ডিসেম্বর। কিন্তু গত ৬ তারিখ জানানো হয় হায়ার অথরিটির নির্দেশে আপাতত ইলেকশন বন্ধ থাকবে।
এরপর ছাত্র ছাত্রীরা প্রিন্সিপালকে ঘেরাও এবং নানা আন্দোলনের মাধ্যমে হায়ার অথরিটির সিদ্ধান্ত বদলাতে চেয়েছে। আন্দোলন ভাঙার জন্য গ্রুপ ডি সংগঠন, অপরিচিত মানুষজন থেকে মেরুদণ্ডহীন শিক্ষকদেরও কাজে লাগানো হয়েছে। শারীরিক ভাবে আক্রান্ত হয়েছে আন্দোলনকারীরা।
বাধ্য হয়েই তারা চরমপথে যেতে বাধ্য হয়েছে। পাঁচজন ছাত্র অনশন করতে শুরু করেছে ৮ তারিখ দুপুর থেকে।
মেডিকেল কলেজের এই দামাল ছেলেগুলোকে আমরা কলেজের প্রাক্তনীরা হাড়ে হাড়ে চিনি। এদের অনশন মানে একবিন্দু খাবারও তারা মুখে তুলবে না। নিজেদের আদর্শের সাথে কারো অনুরোধেই তারা আপোষ করবে না। তারা শুধু নিজেদের বিবেকের কথা শোনে।
যার ফলে খুব দ্রুতই তাদের শরীর খারাপ হতে শুরু করেছে।
হায়ার অথরিটির কাছে অনুরোধ যতো দ্রুত সম্ভব তাদের দাবী মেনে নেওয়া হোক। শুধু তো একটা ন্যায্য কলেজ ভোটের দাবী। এই আপোষহীন মেধাবী ছেলে- মেয়েগুলি আমাদের সম্পদ। আমাদের মতো গরীব রাজ্যে এদের মতোই ডাক্তার আরো বেশি বেশি দরকার। আমাদের দ্বায়িত্ব এদের সযত্নে লালন করা। কোনোভাবেই এরা যেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি না হয় সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
#মেডিকেল_লড়ছে