আর জি কর মেডিকেল কলেজের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের এক মহিলা দ্বিতীয় বর্ষের পোস্ট গ্রেজুয়েট ট্রেনির মৃতদেহ পাওয়া গেল সেমিনার রুমে। তার পোষাক আসাক এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে করা হচ্ছে যৌন নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে তাকে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম এবং জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের তরফে ঘটনার যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি করে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে মেইল করা হয়েছে।
জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল-এর ডাকে আর জি কর মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে বিকাল ৪ টায় জমায়েত হন সদস্য সংগঠন গুলির চিকিৎসক ও মেডিকেল পড়ুয়ারা। মেডিকেল কলেজ ডেমোক্রাটিক স্টুডেন্টস এসোশিয়েসনের অনেক সদস্য-সদস্যারাও বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ দেখান মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারও।
প্রথমে আর জি করের অধ্যক্ষ মেয়েটির মানসিক সমস্যার ধুয়ো তুলে আত্মহত্যার দিকে দিক নির্দেশ করার চেষ্টা করেন। তড়িঘড়ি ময়না তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিক্ষোভের চাপে অবশ্য বিশেষভাবে গঠিত একটি দল ময়না তদন্ত করে। সেই দলের গঠনেও সমস্যা রয়েছে। আর জি করের মেডিকেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট-ভাইস প্রিন্সিপাল নিজ কলেজের দুই শিক্ষক চিকিৎসক ও এন আর এস মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষক চিকিৎসককে নিয়োগ করেন। যদিও এটা তাঁর আওতায় নয়, অন্য কলেজের কাউকে তিনি নিয়োগ করতে পারেন না, পারেন রাজ্যের ডিএমই। কলেজের পক্ষ থেকে এক সই বিহীন বিজ্ঞপ্তিতে ১১ জন সদস্যের এক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, সেই কমিটির কয়েক জন সদস্যকে নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম হত্যাকারীর শাস্তি না হওয়া আবধি নীরব হবে না।