বায়োপিক মায়োপিক হয়। তাতে শুধু পদকের নানা গুণগান,
সে ঘরে যায় না ক্যামেরা, পদকের ঝুলি যার ফাঁকা শুনশান।
খুন ঘাম এক করে লড়ে তবু হেরে যদি গিয়ে থাকো শেষে
মিশে যাও জনতায়, ছবি কেউ চিনবে না তোমার স্বদেশে।
এটাই নিয়তি এই রিয়েলিটি শো’য়ে। যে বিজয়ী সব নেবে সে-ই,
মিলিয়ন ফলোয়ারে তার নামে দেশ জুড়ে ট্যুইটের নাচাকোঁদা ধেই।
যে হেরে গেছে তার ঘর্ম বেকার, দুঃখের বোঝা নিয়ে ফিরে যাক ঘরে,
পদকেই থিতু শুধু লক্ষ্মীর ঝাঁপি। বাকিদের ভিতু ভিত চির-নড়বড়ে।
খেলুড়ের শৈশবে রূপো দূরে থাক, চামচই জোটেনা। ভরাপেট বিরল ঘটনা,
খেলার পাগল কোনো মানুষ না সলতে পাকালে, সে প্রদীপে আলো জ্বলতো না।
গ্রাম থেকে জেলাতে, জেলা থেকে প্রদেশে, নানা লাল ফিতে ফাঁস খুলে খুলে সে,
সবার সামনে আসে। ন্যাশনালে জিতে কিছু সংবাদে মৃদু ঢেউ দেয় অবশেষে।
অপুষ্ট কৈশোর সঙ্গী এদেশে প্রায় সব খেলুড়ের। প্রাদেশিক রাজনীতি, জাতপাতও আছে,
সঠিক কাঠামো নেই, ফিজিওর লোক নেই, তবু এত কিছু সয়ে প্রতিভারা বাঁচে।
তারা ছোটে, তারা ছোঁড়ে, ভল্ট দেয়, ঘুঁষি মারে, তুলে ফেলে শরীরের দ্বিগুণ ওজন,
চারাদের প্রয়োজন যেই সার জল, সেসব না দিয়ে তবু ফল হলে উৎসব হয় আয়োজন।
মায়োপিক বায়োপিক হেরে যাওয়া লড়াইয়ের গল্প বলে না।
অবশ্য বললেও দেখবে কজন?