কলকাতা শহরে এবং তার চারপাশের বিভিন্ন জায়গার নাম কী ভাবে দেওয়া হয়েছে সেই নিয়ে প্রায়ই নানা রকম তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ি। জানতে পাই, বহু জায়গার নাম সরকারিভাবে ধার্য হবার আগেই মানুষ-ই কোনও না কোনও নাম দিয়েছে — যেমন রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনের দিঘির নাম লালদিঘি কারণ রাইটার্সের ছায়া-পড়ে বলে সবাই এই নামে ডাকতে শুরু করেছিল। উত্তর কলকাতার বিখ্যাত চারকোনা দিঘির নাম গোলদিঘি, কারণ সাহেবরা একসময় সৌন্দর্যায়নের উদ্দেশ্যে পুকুরটি গোল করে কাটিয়েছিল। কলকাতার ঐতিহাসিক, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ দেবাশিস বসুর কাছে জেনেছি যে জায়গা বুঝে কাজ করতে হয়। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের মাটির যে প্রকৃতি তাতে গোলাকার দিঘি টেঁকে না। পাড় ভাঙতে ভাঙতে এবড়োখেবড়ো হয়ে যায়। তাই কিছুদিনের মধ্যেই গোলদিঘির চৌকো আকার আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও নামটা এখনো টিঁকে আছে। অনেক সময় সরকারিভাবে দেওয়া নামেরও উৎপত্তি জানা যায় না — যেমন রহিম ওস্তাগর লেনের নাম কোন বিখ্যাত দর্জির নামে তা নাকি কেউ জানে না। একথা পড়েছি শ্রীপান্থর লেখা বইয়ে।
আজকে অবশ্য তেমন গুরুগ্রম্ভীর আলোচনা করতে বসিনি। এই লেখার উদ্দেশ্য কলকাতার তিনটি জায়গার নাম, কিন্তু সেই তিনটি নামের আগে একটা বিখ্যাত চতুর্থ জায়গার নাম দিয়ে শুরু করি।
বিটি রোডে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার মোড়ের নাম ডানলপ ব্রিজ বা ডানলপের মোড় আমরা সকলেই জানি। ওখানে ডানলপ টায়ার কম্পানির কী আছে? কিছুই না। স্কটিশ পশুচিকিৎসক জন বয়েড ডানলপ এবং ডানলপ টায়ার কোম্পানির কথা অজানা নয়, যদিও ডানলপের সাহাগঞ্জ ফ্যাকটরির অস্তিত্বই আজ বিপন্ন, কিন্তু একসময় যেহেতু বি টি রোডের উপর রেল ব্রিজটার দুপাশে বড় বড় করে ডানলপের নাম লেখা বিজ্ঞাপন জ্বলজ্বল করত, তাই নামটা আজও রয়ে গেছে।
প্রায় ডানলপের মতো পরিচিত আর একটা জায়গা রয়েছে সল্টলেক উপনগরীর মধ্যে। যখন সল্টলেক তৈরি হয় তখন বেশিরভাগ এলাকাতেই কোন পরিচায়ক-স্থান বা ল্যান্ডমার্ক ছিল না। সল্টলেকের মাঝখানে সেন্ট্রাল পার্কের গা-ঘেঁষে একসারি সরকারি অট্টালিকা-সম বাড়ির ব্যক্তিগত (বাড়িগত) নাম ছিল বটে, কিন্তু বসতিপূর্ণ এলাকায় সব বাড়ি কাছাকাছি দেখতে, সব রাস্তাই পাশের রাস্তার মতো, এবং কার্বন কপির মত সারি সারি ট্রাফিক আইল্যান্ড বা গোল-চক্কর। সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গাকে আলাদা করে চেনানোর মত মানুষের তৈরি স্ট্রাকচার ছিল কেবল একই জাতের। জলের ট্যাঙ্ক। ট্যাঙ্কগুলো যে একটা আর একটা থেকে দেখতে খুব আলাদা তা নয়, কিন্তু নম্বর দেওয়া বলে এক নম্বর ট্যাংক, দু নম্বর ট্যাংক বলে চেনা যেত, এখনও যায়।
কিন্তু ট্যাঙ্কগুলো দূরে দূরে — এক নম্বর এবং তিন নম্বর ট্যাঙ্ক, তিন এবং চার নম্বর ট্যাঙ্ক — এদের মধ্যে দূরত্ব অনেক, তাই এ ছাড়াও প্রধানত বাস দাঁড়ানোর জন্য বাসস্টপ এর নামকরণ ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তার ফলে প্রাইভেট বাস কন্ডাক্টররা আশেপাশে যা দেখতেন তার ওপরে ভিত্তি করেই সেই সব বাসস্টপের নাম দিয়েছিলেন। মনে পড়ে ২০৬য়ের রুটে ‘লালকুঠি’ বাসস্টপের কথা। একটা চারমাথার মোড়ে কেবল একটাই বাড়ি, সেই বাড়ির রং লাল। কিছুদিন পরে অবশ্য বাইরে থেকে আসা লোকে জিজ্ঞেস করতে শুরু করল, “বললাম, লালকুঠি যাব, বাস কন্ডাক্টরও নামিয়ে দিল; কাগজে লেখা ছিল, লালকুঠির ডানদিক দিয়ে… কিন্তু লালকুঠি কই? রাস্তার লোক একটা হলদে বাড়ি দেখিয়ে বলে — এ-ই লালকুঠি! সল্ট লেকে কি রং-কানা লোক থাকে নাকি?” বলতাম, “বাড়ির মালিক হয়ত নিজের বাড়ির লালকুঠি নাম পছন্দ করতেন না তাই রং বদলে দিয়েছেন।” আরও কিছুদিন পরে একজন জিজ্ঞেস করলেন, “আচ্ছা কোন বাড়িটার জন্য লালকুঠি নাম ছিল?” আমি চারপাশে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম। বাড়িটাই দেখতে পেলাম না। কবে ভেঙেছে, কবে নতুন গড়েছে কে জানে; এখন লালকুঠি নামের বাসস্টপও আর বোধহয় নেই।
সময়কে কলা দেখিয়ে যে নামটা এখনও আছে সেটা হল ‘কোয়ালিটি’। খুব অদ্ভুত কারণে তার নাম কোয়ালিটির মোড়। ইংরেজি বর্ণমালার টি-অক্ষরাকৃতি এই মোড়ের রাস্তার দু-ধারে তখন ক-টা বাড়ি ছিল তা হাতে গোনা যেত। তার মধ্যে একটি বাড়ির যে দেওয়ালটা কলকাতা বা উল্টোডাঙ্গা থেকে আসার পথে দূর থেকে চোখে পড়ত, তাতে প্রায় মাটি থেকে তিনতলা সমান কোয়ালিটি আইসক্রিমের একটা বিজ্ঞাপন ছিল। বাড়িটা এখনও আছে, কিন্তু সেই দেওয়ালটা আর দৃশ্যমান নয়, কেন না সামনে আরো অঢেল বাড়ি তৈরি হয়েছে। কয়েক দশকে বাড়িটা নিশ্চয়ই বেশ কয়েকবার রং হয়েছে এবং বাড়ির মালিক কোয়ালিটির কাছ থেকে অর্থ আর পাননি বলে সেই কোয়ালিটির ছবি নিশ্চয়ই আর সে দেওয়ালে নেই। কিন্তু জায়গাটার নাম রয়ে গেছে কোয়ালিটি।
মানুষ কেন, কখন, কোন জায়গার কী নাম দেবে সেটা অনেক সময় আগে থেকে বোঝার কোনও উপায় থাকে না। বিশেষত কলকাতা শহরে এই ধরনের নামকরণের পিছনে কলকাতাবাসীর একটা প্রচ্ছন্ন সেন্স অফ হিউমরও কাজ করে।
তখন সল্টলেক থেকে একটা মিনিবাস চলত দক্ষিণ কলকাতার কোন প্রান্ত অবধি আমার মনে নেই, কিন্তু সুবিধে ছিল এই, যে বাড়ির খুব কাছ থেকে সেই বাস মেডিক্যাল কলেজের সামনে দিয়ে যেত কলেজ স্ট্রিটের ধরে। ঘুরপথ, সময়ও বেশি লাগত, কিন্তু তখন মেডিকেল কলেজে নিয়মিত যাওয়া আমার প্রয়োজন ছিল না, যেতাম প্রধানত আড্ডা দিতে। তাই লম্বা যাত্রার ঝিমুনি এবং বিরক্তি কোনওটাই আমাকে স্পর্শ করত না, কারণ পুরো রাস্তাটাই বসে যেতে পারতাম।
একদিন জানলার ধারে বসে ঝিমোতে ঝিমোতে চলেছি, হঠাৎ পূর্বাচল হাউসিংয়ের সামনে দিয়ে যাবার সময় কন্ডাক্টরের হাঁকডাকে চমকে উঠলাম। জায়গাটা ঠিক কোথায় বলি — আজ সেখানে একদিকে পূর্বাচল হাউসিং এস্টেট অন্যদিকে হায়াত হোটেল, বা হায়াতের ঠিক আগে।
কন্ডাক্টর বা তার হেল্পারের যে পরিত্রাহি হাঁকাহাঁকিতে তন্দ্রা ভেঙেছিল, তা হল, “লেটার-বক্স… লেটার-বক্স… লেটার-বক্স আসবেন…।” ১৯৮৮ সাল। তখনকার মানুষ প্রচুর চিঠি লিখতেন, তাই পোস্ট অফিসের সামনে ছাড়াও বহু জায়গায় সরকারি ডাকবিভাগ লেটার-বক্স বসাত রাস্তার মোড়ে বা অন্যান্য জায়গায়। সারা কলকাতায় ক-হাজার লেটার-বক্স তখন থেকে থাকতে পারে আমার কোনও আন্দাজ নেই এবং সল্টলেকেও লেটার-বক্সের অভাব ছিল এমন নয়, সুতরাং একটা বিশেষ লেটার-বক্সের কী এমন বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে যার জন্য একটা বাসস্টপের নামই লেটার-বক্স হয়ে গেল তা জানার আগ্রহে উদগ্রীব হয়ে জানলার বাইরে তাকিয়ে রইলাম।
ডাকবিভাগ ততদিনে জমির সঙ্গে লাগানো ছোটো থামের মতো গোল, লোহার, লাল লেটার-বক্স তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে; তখন যে নতুন লেটার-বক্সগুলো কলকাতার রাস্তায় লাগানো হত সেগুলো ছিল সত্যিই বাক্সের আকারের। ল্যাম্পপোস্টের মতো দু-ফুট উঁচু অ্যালুমিনিয়াম নলের ওপরে বসানো থাকত। পাতলা ধাতুতে তৈরি, আঙুল দিয়ে টোকা দিলে টংটং শব্দ হত। চিঠি সংগ্রহ করার জন্য চাবি দিয়ে সামনের ডালাটা পুরোটাই দরজার মতো খুলে ফেলা যেত। দেখতে দেখতে বাস এসে থামল নির্দিষ্ট বাসস্টপে; বিস্ফারিত চোখে প্রত্যক্ষ করলাম যে লেটার-বক্সটির কল্যাণে বাসস্টপের নাম, সেই লেটার-বক্সের সামনের দরজাটা নেই। সম্পূর্ণ খোলা একটা বাক্স দাঁড়িয়ে আছে এবং অবিশ্বাস্যভাবে সেই বাক্সের ভেতরে দু-চারটে বন্ধ ইংল্যান্ড লেটার পড়েও রয়েছে পোস্টম্যানের অপেক্ষায়।
বলা বাহুল্য খুব হেসেছিলাম এবং আজ আফসোস হয়, তখন যদি হাতে ক্যামেরা থাকত তাহলে আজ সে ছবি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইত্যাদিতে দিয়ে ভাইরাল হবার অপেক্ষায় থাকতাম। মনে হয়েছিল, যদি ডাকবিভাগ লেটার-বক্সটার ঢাকনাটা লাগিয়ে দেয় তাহলে এই নামকরণের বৈশিষ্ট্যটা নষ্ট হয়ে যাবে। জানতে চেয়েছিলাম বাস থেকে নামার সময় কন্ডাক্টরের কাছে। সে একগাল হেসে বলেছিল, “সরকারের ১৮ মাসে বছর। যতদিন নতুন দরজা লাগবে ততদিনে নামটা সবাই জেনে যাবে।”
বহুদিন সে রাস্তায় যাওয়া হয় না। লেটার-বক্সটা নিশ্চয়ই আর নেই কিন্তু বাসস্টপ-টার নাম এখন কী সেটা জানতে মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে।
কলকাতার, তথা দেশের বাইরে থেকে আশা আগন্তুকরা প্রায়ই বলেন, কলকাতা শহর অতি সাংঘাতিক জায়গা, তা না হলে যে রাস্তার উপরে মার্কিন কনসাল জেনারেল এবং ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার উভয়েরই অফিস, সেই রাস্তার নাম কেউ হো-চি-মিন সরণী রাখে? ভাবা যায়, যখন মার্কিনিরা প্রথম জানতে পেরেছিল যে তাদের কনসুলেটের ঠিকানা হারিংটন স্ট্রিট থেকে বদলে হো-চি-মিন সরণী হয়েছে, তখন তাদের ক-জনের ক-টা দাঁত কিড়মিড় করার ফলে খসে খসে বা ভেঙে ভেঙে পড়ে গিয়েছিল! অনেকেই জিজ্ঞেস করেছেন, “এই বুদ্ধিটা প্রশ্নাতীতভাবে তোমাদের বামপন্থী ইতিহাসের ছাপ, কিন্তু বলতে পারো, কে সেই মহাপুরুষ যাঁর মাথায় এই রাস্তার নাম হো-চি-মিন সরণী রাখার বুদ্ধি প্রথম এসেছিল?”
২০২৪য়ের বইমেলায় গল্প করছিলাম শ্রী গৌতম ঘোষের সঙ্গে। কলকাতার গোর্কি সদনের রাশিয়ান সেন্টার অফ সায়েন্স এন্ড কালচারের প্রোগ্রাম অফিসার। এটা-সেটা নিয়ে কথা বলতে বলতে তিনি তাঁর ভিয়েতনাম-যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন। বলছিলেন কী ভাবে মিছিল করে সকলে গেছিলেন হ্যারিংটন স্ট্রিটে আমেরিকান কনসুলেটের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে। বলছিলেন পুলিশ আটকে দিয়েছিল। চৌরঙ্গী হয়ে হ্যারিংটন স্ট্রিটে ঢুকতে পারেননি। সেখানেই বিক্ষোভ চলছে; গৌতমবাবুর কী মনে হয়েছিল, দু-চারজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন দেখতে, ক্যামাক স্ট্রিটের দিক থেকে হ্যারিংটন স্ট্রিটে ঢোকা যায় কি? কী আশ্চর্য! সেখানে পুলিশি বন্দোবস্ত কিছুই নেই, অর্থাৎ মিছিল যদি সে-দিক দিয়ে ঢুকত, তাহলে আমেরিকান কনসুলেটে পৌঁছানো কোনও ব্যাপারই ছিল না। বিক্ষোভকারীরা সঙ্গে কেউ নেই তখন, কিন্তু নবযুবক গৌতম ঘোষের উষ্ণ রক্ত তাতে থমকানোর নয়, তিনি দু-চারটে ইঁটপাটকেল ছুঁড়ে শান্তি পেলেন না, হঠাৎ চোখে পড়ল দেওয়ালের গায়ে লোহার ফলক, তাতে এম্বস্ করে রাস্তার নাম লেখা — হ্যারিংটন স্ট্রিট।
ডঃ দেবাশিস বসুর মুখে শুনেছি, যে তিনটি প্রধান উপায়ে কলকাতা শহরের রাস্তার নেমপ্লেট লেখা হত এবং হয়, তার মধ্যে এটা একটা — যদিও কিছুদিনের মধ্যেই কালের গতিকে লোহার ওপর লেখা অপাঠ্য হয়ে যেত। সবচেয়ে বেশি টেঁকসই ছিল এনামেল করে লেখা নেমপ্লেট, যার দেখা এখন আর মেলে না, সে প্রথাটাই উঠে গেছে বলে।
যাক সে কথা, বিক্ষোভ করতে করতে শ্রী গৌতম ঘোষের খেয়াল হল, এ রাস্তার নাম হবে হো-চি-মিনের নামে।
যেমন ভাবনা তেমন কাজ! মুষ্টিমেয় সেই বিক্ষুব্ধ ক-জন ছাত্র ঝাঁপিয়ে পড়লেন স্ট্রিট-সাইনটার ওপর।
ভাবা, বা বলা যত সহজ, কাজটা করা মোটেই তেমন সহজ ছিল না। লোহার নেমপ্লেট দেওয়ালের গায়ে গাঁথা থাকত লম্বা লোহার ডাণ্ডা দিয়ে। খালি হাতে সেই প্রোথিত ডাণ্ডা টেনে খুলে আনা চার-পাঁচ-জন বাঙালির সাধ্য ছিল না। এদিক ওদিক তাকিয়ে নজরে পড়ল পথপার্শ্বে উপবিষ্ট এক মুচির দিকে। তাকে বলা হল, “তোমার নেহাই-টা দাও, আমাদের কার্যোদ্ধার করি।” সে বেচারা মুচি বুঝতে পারছে না কী করবে, কিন্তু গরিবের ভালো-মন্দ নিজের উদ্দেশ্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালে বামপন্থী, ডানপন্থী কেউই তাকে রেয়াত করে না — আমার এ চিরকালীন বিশ্বাস অটুট রেখে তার নেহাই-টা কেড়ে নেওয়া হল। এবং তার সাহায্যে অচিরেই বিশাল সে লোহার নেমপ্লেট দেওয়ালের মায়া এবং বন্ধন কাটিয়ে পেরিয়ে এল। এরপর সম্ভবত পাশের পানের দোকানদারের চুনের ঘটি নিয়ে সেই দেওয়ালে হো-চি-মিনের নাম লিখতে আর দেরি হয়নি।
এর কিছুদিন পর সরকারিভাবে বামপন্থী সরকার রাস্তার নাম বদলে দিয়ে হো-চি-মিনের নামে সরণী সৃষ্টি করেন, সেটা গৌতমবাবুর কথায় — ‘অন্য গল্প’।