নীট পরীক্ষা নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হওয়ার পর অবশেষে সুধীবৃন্দ বুঝতে পেরেছেন ডাক্তারি ক্ষেত্রেও বেনো জল ঢুকেছে। এতদিন পায়ে হালকা হালকা আর্দ্রতা অনুভব হচ্ছিল, কেউ গুরুত্ব দেয়নি, এখন যেই চটি চাপাটি জলে ভাসতে শুরু করেছে- ওমনি টনক নড়েছে 
এবার চেয়ার টেবিল ভাসবে, অপেক্ষা করুন। কারণ ইঞ্জিনিয়ারিং এর বারোটা বাজানো হয়ে গেছে, নার্সিং কলেজ নিয়েও ব্যবসা শেষের মুখে, ডাক্তারি ছাড়া এখন শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবসাজনক আর বিশেষ কিছু পড়ে নেই- সুতরাং ব্যবসা তো হবেই বস। আর ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেন, আর মিউনিসিপ্যালিটি থুড়ি গরমেন্ট কি বসে আঙুল চুষবে! তা তো হয়না… পুরো এক খোকা দিতে হবে 
ডাক্তারিক্ষেত্রে দুর্নীতি বলুন, স্বজনপোষণ বলুন, ছিল, আছে- দুঃখের বিষয় হলো ভবিষ্যতে আরো বাড়বে- তবে বেশিদিন নয়। আগামী দশ কি বিশ বছরের মধ্যে এই ব্যবসাও শেষ হয়ে যাবে পূর্বোক্ত লাইনগুলোর মতোই। এতে বড়লোকদের বিশেষ সমস্যা নেই। যেভাবে ঢালাও মেডিক্যাল কলেজ প্রাইভেটে খুলছে, পাড়ার নেড়ি কুকুরও কাল ডাক্তার হয়ে যাবে মনিবের পয়সা থাকলে… সাথে ঢালাও সংরক্ষণও আসছে- মোদি-রাহুল এই বিষয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ। সুতরাং মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষদের ছেলেপিলেকে ডাক্তারি পড়ানোর স্বপ্ন আগামী দিনে ধাক্কা খাবে আরো। এবং আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় এই স্বপ্নটাও খুব বেকার- পেটে ভাত না জুটলে সেবাটেবা সব গ্যাস হয়ে মাথায় উঠে যাবে। আর ডাক্তারিতে ভাতের অভাব খুব শীঘ্রই আসছে- ডেন্টালে ইতিমধ্যে আছে, ডাক্তারিতে খুব দেরি নেই।
নীট পরীক্ষা যদি আজীবন স্বচ্ছ হয়, আমার সাদা মনে একটাই প্রশ্ন আসে- অনলাইন পরীক্ষার পরও রেসাল্ট বের হতে দু’সপ্তাহ লাগবে কেন? কী প্রসেসিং হয় এত সময় ধরে? যে কোন সর্বভারতীয় অনলাইন প্লাটফর্ম যারা প্রাইভেটে মক টেস্ট নেয়- সেসব পরীক্ষার ফল কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ পেয়ে যায়, সেটাই স্বাভাবিক সম্পূর্ণ অনলাইন একটা পরীক্ষার জন্য। সেটা এই পরীক্ষায় কখনোই সেরকম হয়না। কেন? কেন তার উত্তর এবছর আমরা পেয়েছি।
এবং এর ফলাফল খুবই ভয়ঙ্কর আগামী দিনের জন্য। বেকার হোক, অবান্তর হোক- স্বপ্ন তো স্বপ্নই- অন্যায্য ভাবে সেটা ভেঙে যাওয়া খুব কষ্টের।
অনেক কথা বলার ছিল, তবে বলা গেল না- পাশ করে গেলে এবং বেঁচে থাকলে অনেক গল্প বলার আছে…