সন্দেশখালিকে নিয়ে কোনো কবিতা হয় না।
কবি কী লিখবেন শুনি? দু দশটা পংক্তি জুড়ে
পর পর শুধু ছিঃ ছিঃ?
নিজের সঙ্গে সে যে খেলা কানামাছি
কি ছন্দে বাঁধা যায় সেই গা শিউরানো বিবরণ,
ছাই দিয়ে প্রতিমা কি গড়া যায় কোনো,
ঘেন্না ও বিবমিষা কোনো ভাষা কবিতায় পড়েছে কখনো?
প্রতিবাদে দু চারটে কড়া কথা লেখা যায় বটে,
তীক্ষ্ণ বিদ্রুপ ছুঁড়ে দেওয়া যায় অপরাধ-ঢাল হওয়া ক্ষমতার দিকে,
গালাগালি দেওয়া যায় নড়নচড়নহীন প্রশাসক মোটা চর্বিকে,
কিন্তু সে কেবল নিজেরই মেটানো হবে ঝাল,
সন্দেশখালি কাল থাকবে যেখানে ছিলো গতকাল,
শাজাহান গিয়ে শুধু এসে যাবে অন্য আঞ্চলিক হিটলার কেউ,
প্রতীকেরা বদলায়, ভোট আসে ভোট যায়,
সত্যি বদল কিছু হয় কি আদৌ?
আজ সন্দেশখালি নানা তিতকুটে সন্দেশে ভরা।
কিন্তু সে ব্যতিক্রম, নাকি আজ সেটাই নিয়ম,
সেটাও ভাবতে হবে।
ক্ষমতা যা চায় , যেইভাবে চায় , সেইভাবে কুর্নিশে বেঁকে জনগণ,
গণের তন্ত্র আর দেশে এলো কবে!
গাঁয়ে গাঁয়ে গিয়ে দেখো, শহরে শহরে ঘোরো,
আপাতমসৃণ সব প্রলেপ সরিয়ে দেখো কত দগদগে ঘা’য়ে ভরে গেছে দেশের শরীর,
যে জলে ডোবাবে পা, কেটে নিতে বসে আছে হাজার কুমীর।
এই এত প্রতিবাদ, এক জনজোট, দলে যাওয়া নিচুদের ফেটে পড়া ক্ষোভ,
আগে কি দেখোনি কেউ? জায়গা বদলে যায়, প্রদেশেরা বদলায়,
বদলায় শাসক আর মাফিয়ার নাম পরিচয়,
ঘোলাজলে ল্যাটা মাছ খুব ধরা হয়.. তারপর? তারপর?
তারপর কিছু নয়। খবরে আসবে উঠে আর কোনো গাঁ বা শহর,
শোনা যাবে ‘ হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা’ জাতীয় কথা কিছু বিরোধীর মুখে,
আগ্নেয়গিরি লাভা গড়িয়ে বেড়াবে দুটো দিন ফেসবুকে,
নাগরিক যে তিমিরে সে তিমি’র পেটে বসে আঁধার পোয়াবে,
প্রতীকের ভোমরারা ফুলে ফুলে মধু খাবে সুখে।
সন্দেশখালি নিয়ে কোনো কবিতা হয় না তাই।
এ পাঁকে গিয়েছে দেশ আশরীর-মস্তক ঢুকে। এ শুধু একটা ক্ষত,
বিনাটিকা মানুষের গুটির অসুখে।