আর জি কর আন্দোলন চলছে। আগে যা শুধু ছিলো প্রকাশ্য রাস্তায় তা এখন অন্তরে অন্দরে ঢুকছে। আন্দোলনের বিরোধিরা যারা রাজপথে লোক সমাবেশ কম দেখে আনন্দ পাচ্ছে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। গাছের ডালপালা কমলেও শিকড় অনেক গভীরে ছড়িয়ে পড়ছে। জায়গায় জায়গায় তৈরি হচ্ছে অভয়া মঞ্চ। যে আন্দোলনকে মরশুমি ফুলের সঙ্গে অনেকে তুলনা করেছিলেন সেটা যে আদৌ মরসুমি ফুল ছিলো না সেটা অনেকেই আজকে টের পাচ্ছেন। যে চারাগাছকে মরসুমি ফুল এর চারা মনে হয়েছিল সেটা আসলে বটগাছের চারা। বাইরে দুটো পাতা দেখা গেলেও শিকড় গভীরে। এই আন্দোলন পুলিশ আইন আদালত তদন্ত আমলা মিডিয়া সবার আসল মুখ সামনে এনে হাজির করে দিয়েছে।
খেলার যেরকম নিয়ম থাকে, ন্যায়ের আন্দোলন তেমনি এক অন্য হিসেবে চলে। বিরাট মারকুটে ব্যাটসম্যান যেমন ম্যাচ জেতাতে পারেনা, তেমনি রাস্তায় দুয়েকদিনের জনপ্লাবন পরিবর্তন আনতে পারে না। দরকার পড়ে অজানা আনামা নাছোড় প্লেয়ারের, যে ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকে। কিছুতেই আউট করা যায়না। সেরকম কিছু প্লেয়ার আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি। যারা ক্রিজ কামড়ে পড়ে আছে। আমি রাস্তার আন্দোলন যখন তুঙ্গে ছিলো তখন যা আদাবাদী ছিলাম, এখন দিকে দিকে অভয়া মঞ্চ তৈরি হওয়াতে আরো বেশি আশাবাদী হয়ে উঠেছি। এই মঞ্চগুলি কোনো মরসুমি গাছের চারা নয়। একেকটি বট গাছের চারা। অচলায়তন এর কার্নিশে আজকে এদের যতোই অকিঞ্চিৎকর মনে হোক, একদিন এর শিকড় ধসিয়ে দেবে দুর্নীতির রাজপ্রাসাদের ভিত। হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে ক্ষমতার দম্ভের তোরণ।
তোমার আমার একই স্বর
জাস্টিস ফর আর জি কর।