আমাদের প্রিয় বাসভূমি ধরিত্রীর বয়স বাড়ছে, আর তার সাথে একরকম তাল মিলিয়েই বলা যায়- বাড়ছে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা। আজ যেকোনো বাড়ির অন্দরমহলে উঁকি মারলেই দেখা মিলবে শ্লথ পদক্ষেপে নড়েচড়ে বেড়ানো বৃদ্ধ মানুষ ও বৃদ্ধা মানুষী জনের ; রাষ্ট্রীয় পরিভাষায় যাঁদের পরিচয় সিনিয়র সিটিজেন্স হিসাবে। বৃদ্ধ মানুষের ভিড় বাড়ছে। এই প্রবণতা কেবলমাত্র এদেশীয় এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই , কেননা বয়স্ক বা বৃদ্ধ সহ- নাগরিকদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যেই এক বৈশ্বিক চেহারা নিয়েছে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী কালে চিকিৎসাবিজ্ঞানের অপরিমেয় উন্নতি, আর্থ সামাজিক বিকাশ, জনকল্যাণ মূলক রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি মানুষের গড় পরমায়ু অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে সন্দেহাতীতভাবে। মানুষ দীর্ঘতর সময় ধরে বাঁচবে এমন বিষয় আমাদের খুশি করে, স্বস্তি দেয়। কিন্তু অন্যদিকে,সমাজ সংসারে এই হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া বৃদ্ধ মানুষদের সংখ্যা রাষ্ট্রের কাছে এক নয়া চ্যালেঞ্জ হিসেবেও দেখা দিয়েছে। চ্যালেঞ্জ শুধু এই সংবেদনশীল জনসংখ্যার জন্য অন্ন-বস্ত্র- বাসস্থানের পর্যাপ্ত পরিমাণে সংস্থানের নয়, চ্যালেঞ্জ এই সব মানুষদের জন্য যথোপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করারও। কেননা কেবলমাত্র বয়সজনিত কারণেই একদা কর্মক্ষম এইসব মানুষ আজ এক বিশেষ শ্রেণিতে নাম লেখাতে বাধ্য হয়েছে ।এরা রাষ্ট্রের ভাষায় অনুৎপাদনশীল জনগণ মাত্র।
এমন পরিবর্তন,জনসংখ্যা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ডেমোগ্রাফিক শিফট বা জনসংস্থানের পরিবর্তন বলা হয়, তাকে যথাযথ সুষ্ঠুভাবে অর্থবহ করার জন্য যে ধরনের স্বাস্থ্য ও সামাজিক পরিকাঠামোর প্রয়োজন তার ব্যবস্থাপনা কায়েম করা যে কোনো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার আশু কর্তব্য। এজন্য চাই দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। পশ্চিমের দেশগুলোতে বয়স্ক মানুষদের যত্ন আত্তি তথা রোগব্যাধির চিকিৎসার জন্য নানান ব্যবস্থা চালু থাকলেও আমাদের দেশের বৃদ্ধ বৃদ্ধারা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
অথচ জনসংখ্যা বিজ্ঞানীদের অভিমত, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর মোট বার্ধক্য জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ বসবাস করবে দুনিয়ার তথাকথিত নিম্ন ও মধ্য আয়ভোগী দেশগুলোতে। এই সারির দেশে আমার আপনার দেশ ভারতবর্ষও যে সামিল তা বোধহয় আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিগত কয়েক বছরের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার সাপেক্ষে বার্ধক্য জনসংখ্যা, মানে ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির হার দ্রুততর যা আগের সব হিসাবকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। ২০৫০ সাল নাগাদ এই হার বর্তমানের ১২ শতাংশ হারকে ছাপিয়ে ২২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। বিষয়টিকে হালকা ভাবে দেখা মোটেও ঠিক হবেনা।
পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে মানুষের অভিনয় কালের সময়সীমা বাড়ছে , এটা সন্দেহাতীতভাবে পরম আনন্দের বিষয়। কিন্তু তাঁদের এই বেঁচে থাকাটা যেন সুস্থ সবল আনন্দদায়ক হতে পারে, তার আয়োজন করাটাই হবে আরও অনেক বেশি জরুরি।
আজকের নিবন্ধের শুরুতেই এমন সব ভারি ভারি কথা আলোচনার মুখ্য উদ্দেশ্যই হলো পাঠকদের কাছে একটা বিনম্র বার্তা পাঠান যে, বিচিত্র সব রোগব্যাধিতে পরিকীর্ণ এই দুনিয়ার বৃদ্ধ মানুষদের জন্যও কিছু আধিব্যাধিকে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে। চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় এদের বলা হয় জেরিয়াট্রিক ডিজিস বা বার্ধক্য জনিত রোগ ; জীবনের উপান্তে এসে বৃদ্ধ মানুষেরা যে খুব স্বস্তিতে থাকেন তেমনটা তো নয়, বরং এক বিষাদময় নিরাপত্তাহীনতা একটু একটু করে গ্রাস করে তাঁদের। এর সাথে যুক্ত হয় শরীর জুড়ে নানান রোগের দাপাদাপি। একথা মানতেই হবে যে দেহ যন্ত্রের কার্যকলাপ চিরকাল একভাবে একই ছন্দে চলতে পারে না। কিছু কিছু পরিবর্তন অত্যন্ত স্বাভাবিক , যেমন চোখে কম দেখা বা চোখে ছানি পড়া, কানে সামান্য কম শুনতে পারা, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, পেশির শিথিলতা বা শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খানিকটা কমে যাওয়া। এইসব শরীরী সমস্যাগুলোকে খানিকটা মেনে নিতেই হবে। তবে ক্রনিক কিডনির সমস্যা অথবা অন্য কোনো উপসর্গ যা বাকি জীবনটাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে তাকে বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে জেরিয়াট্রিক মেডিসিনের সাহায্য নিতে হবে।
একবার দেখে নেওয়া যাক বার্ধক্যের রোগ বলতে ঠিক কোন গুলোকে আমরা আলাদা করে নিতে পারি যেগুলোর চিকিৎসার জন্য বিশেষ ধরনের ওষুধপত্রের প্রয়োজন হবে? একথা মাথায় রাখতে হবে যে জেরিয়াট্রিক মেডিসিনের ব্যবহার কেবলমাত্র বৃদ্ধ মানুষদের চিকিৎসার কাজেই ব্যবহার করা হয়। একই রোগে আক্রান্ত তরুণতর মানুষের চিকিৎসায় এইসব ওষুধের প্রয়োগ সীমিত কেননা এগুলো বয়স্ক মানুষের ভিন্নতর প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবেই প্রস্তুত করা হয়।
একথা মনে রাখতে হবে যে বয়ক্রম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বয়স্কদের মধ্যে এমন কিছু অক্ষমতা প্রকাশ পায় যেগুলো অল্প বয়সীদের মধ্যে সেভাবে দেখা যায় না যেমন রক্তচাপ বেড়ে যাওয়াটা একটা আন্ত প্রাজন্মিক বা ইন্টারজেনারেশনাল সমস্যা হিসেবে গণ্য হলেও কার্ডিওভাসকুলার ডিজিস, ইসচেমিক হার্টের সমস্যা, ইউরিনারি ইনকনটিনেন্স,ভ্যাসকুলার ডিমেনশিয়া, মাল্টিপল স্কেলেরোসিস এবং আরও কিছু রোগ একান্ত ভাবেই বার্ধক্য আক্রান্ত মানুষদের সমস্যা। শুধু বয়সের বিচারে নয় সম্ভাব্য রোগ ব্যাধির বিচারেও মানুষের জীবনের এই পর্বটি পূর্ববর্তী ফেলে আসা সময়ের থেকে অনেকটাই আলাদা, স্বতন্ত্র।
মানুষ ভেদে রোগের প্রকৃতির পরিবর্তন খুব স্বাভাবিক,তাও কিছু ক্রনিক রোগের প্রকোপ প্রবীণদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে অধিকাংশ বয়স্ক মানুষই এই সব ক্রনিক রোগের শিকার হন তাঁদের বার্ধক্য বয়সে। এই রোগগুলো হলো –
- আর্থারাইটিস
- ক্যান্সার
- ক্রনিক কিডনির সমস্যা
- ডিমেনশিয়া,অ্যালঝাইমার্স এবং পারকিনসন্স
- ডায়াবেটিস
- ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিস এবং
- স্ট্রোক
এই রোগগুলোর সঙ্গে আমাদের প্রায় সবারই কমবেশি পরিচিতি রয়েছে। সেই কারণে এদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় এই মুহূর্তে যাবনা। এই নিবন্ধের পরবর্তী অংশে আমরা কেবল ডিমেনশিয়া ও পালমোনারি ডিস্অর্ডার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দু – একটা কথা বলে এই পর্যায়ের আলোচনায় ইতি টানবো।
ডিমেনশিয়া,অ্যালঝাইমার্স ডিজিস ও পারকিনসন্স ডিজিস
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্মৃতির ভাণ্ডারে বড়ো রকমের টান পড়ে। বয়সজনিত কারণে মানুষের মনে রাখার ক্ষমতা ও চিনতে পারার সামর্থ্য অনেকটাই লোপ পেয়ে যায়। এই ধরনের সমস্যাগুলোকে এক ছাতার তলায় এনে ডিমেনশিয়া নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে ঘটনা পরম্পরায় মস্তিষ্কের কোশের কোনো রকম ক্ষতি হলে অথবা কোষগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার কারণে সেগুলো আস্তে আস্তে শুকিয়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। কী করে বোঝা যাবে যে একজন মানুষ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন? চিকিৎসকদের মতে, যখন–
- কোনো বয়স্ক মানুষ কোনো কিছু মনে করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন,
- মনের মধ্যে জট পাকিয়ে থাকা কথাগুলোকে ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারেন না ,
- কোনো কিছুকে দেখে চিনতে পারার ও স্থান পরিসর সম্পর্কে ধারণা লাভের সামর্থ্য ও সংবেদন হারিয়ে ফেলেন,
- কোনো সহজ সমস্যার সমাধান ও তার কার্যকারণ সম্পর্কে ধারণা করতে পারেন না ,
- দ্বিধাগ্রস্ততা ও মানসিক স্থিতিশীলতার অভাব ,
- অপেক্ষাকৃত জটিল কাজকর্ম ঠিকঠাক করতে না পারা, একটু গভীর ভাবে ভাবতে না পারা, কোনো কাজের পরিকল্পনা ও সংগঠনের কাজ করতে না পারা,
- ব্যাক্তিত্বের স্তরে লক্ষণীয় পরিবর্তন,
- আচরণগত সমস্যা ,
- হ্যালুসিনেশন বা স্বপ্নবিলাস
অ্যালঝাইমা’র্স ডিজিস্ হলো এক বিশেষ ধরনের ডিমেনশিয়া। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যত সংখ্যক মানুষ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হন তাঁদের ৭০ শতাংশই অ্যালঝাইমার্সের শিকার। গবেষক চিকিৎসকদের মতে মস্তিষ্কে প্রোটিন জমা হলে তা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে । এও এক বিস্মরণ ঘটিত বার্ধক্য জনিত সমস্যা। এর প্রধান লক্ষণ চিহ্নগুলো হলো –
- কোনো পরিচিত মানুষ, স্থান বা ঘটনাক্রমকে মনে করতে না পারা,
- কোনো কিছুতে মনোনিবেশ করতে পারে না,
- কোনো কিছুতেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলা, সন্দেহবাতিকগ্রস্ত হয়ে পড়া, আক্রমণাত্মক হয়ে পড়া ,
- অ্যাপাথি ও হতাশগ্রস্ত হয়ে পড়া,
- ঘন ঘন সিদ্ধান্ত বদলে ফেলা,
- সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা,
- অসম্পূর্ণ অসংলগ্ন সিদ্ধান্ত বা বিচার,
ডিমেনশিয়ার তৃতীয় শ্রেণিটি হলো পার্কিনসন্স ডিজিস। অতি বৃদ্ধ বয়সে মানুষজন এই ভয়ঙ্কর স্নায়বিক রোগের শিকার হন। পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলো তাদের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে মস্তিষ্কের ডোপামিনের পরিমাণ কমে যায়, এবং মস্তিষ্কের সংবেদন নিয়ন্ত্রণ শক্তি একেবারেই লোপ পেয়ে যায়। এই রোগে শরীরের বিশেষ কোনো অংশে অনিচ্ছুক কম্পন শুরু হয়, দেহের পেশিগুলো তাদের স্বাভাবিক নমনীয়তা হারিয়ে শক্ত ও অনমনীয় হয়ে যায়। চলাচলের ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে যায়। পার্কিনসন্স রোগের কোনো প্রতিকার আজও উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিশেষ সমস্যার প্রকৃতি অনুযায়ী কিছু থেরাপির ব্যবস্থা করা হয় মাত্র।
পালমোনারি ডিস্অর্ডার – ব্রঙ্কাইটিস
আমাদের শ্বসন যন্ত্রের সমস্যাগুলোকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় পালমোনারি ডিস্অর্ডার। এদের মধ্যে শরীরের ব্রঙ্কিয়াল ট্র্যাকের সমস্যাকে বলা হয় ব্রঙ্কাইটিস। বার্ধক্য অবস্থায় এই রোগে আক্রান্ত হন অনেক প্রবীণ মানুষ। এই রোগে আক্রান্তের ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে সংক্রমণ দেখা যায় ও প্রচুর পরিমাণে মিউকাস বা কফ জমা হয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের সাধারণ সক্রিয়তায় বাধা সৃষ্টি করে। এরফলে আক্রান্ত শারীরিক অস্থিরতার শিকার হন।
অনেক মানুষ আছেন যাঁরা বার্ধক্য বয়সেও দীর্ঘদিন ধরে লালিত ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে পারেন না। এই অভ্যাস থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারলে ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যাকে ঠেকিয়ে রাখা যায়। এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সবসময় পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, চাই পর্যাপ্ত সময়ের জন্য বিশ্রাম, পরিমিত জলপান, এবং যন্ত্রণাদায়ক মাথা ব্যথার সুচিকিৎসা।
এই রোগের লক্ষণগুলো হলো –
- বুকে ব্যথা,
- ক্লান্তিবোধ ,
- প্রচুর কফ সহ টানা কাশি,
- কষ্টকর মাথাব্যথা ,
- গলার ভেতরে ঘা,
- নাক দিয়ে নাগাড়ে তরল সর্দি নিঃসরণ অথবা নাক বন্ধ হয়ে থাকা।,
ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসের চিকিৎসায় প্রভূত উন্নতি হয়েছে আধুনিক সময়ে। সুতরাং বিশ্বস্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে রোগ মুক্তির জন্য।
বৃদ্ধ বয়সে কষ্টকর হয় এমন দুটি রোগ সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় কথাই এখানে উল্লেখ করলাম। নিদান দেবার দায়িত্ব আমার নয়। কেননা সেই কাজের জন্য অভিজ্ঞ, দায়িত্বশীল চিকিৎসকরা রয়েছেন, আছেন জেরিয়াট্রিক মেডিসিনের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। এ কাজটা তাঁদের ওপর ছেড়ে, আপাতত বিদায় নিচ্ছি।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন।
বার্ধক্য কোনো রোগ বা ব্যাধি নয়, এইটি আমাদের জীবনের পরিণত পর্যায়।একে সম্মান করতে শিখুন। মনে রাখবেন – জীবনের এই পথ সবাইকে পাড়ি দিতে হবে।
রথযাত্রা, জুলাই ৭, ২০২৪