Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

পেস মেকার – শরীরের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহন ব‍্যবস্থা

IMG_20210310_094102
Dr. Dipankar Ghosh

Dr. Dipankar Ghosh

General Physician
My Other Posts
  • March 9, 2021
  • 11:36 pm
  • No Comments

একটি হাতুড়ে প্রতিবেদন

ফাল্গুনী সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। কৃষ্ণপক্ষের প্রথম প্রহরে কৃষ্ণবর্ণ হয়ে উঠেছে পলাশ শিমুলের ফুল জঙ্গল। বিদ‍্যুৎহীন অন্ধকারে সাথীহীন হাতুড়ে বিস্তীর্ণ ঢেউ খ‍্যালানো মাঠের দিকে আনমনে তাকিয়ে ছিলেন। বহুদূর থেকে একটা এলোমেলো সঞ্চারমান টর্চের আলো এগিয়ে আসছে। বাংলার মাস্টার মুস্তাক আহমেদ আসছেন।

আসার কথা ছিলো। আজ কলকাতায় গেছিলেন। হার্ট বিশেষজ্ঞের কাছে। হাতুড়ে আলো লুকিয়ে রাখা ম্রিয়মান লন্ঠনটার শিখা বাড়িয়ে খবরের কাগজ ঢাকা টেবিলে স্থাপন করলেন।

মাস্টারের সঙ্গে এসেছেন ওনার স্ত্রী সাবিনা বৌদি। বৌদি ঘরে ঢুকেই প্রশ্ন করলেন “আচ্ছা, দাদা হার্ট ব্লকটা কি জিনিস?”

লন্ঠনের আলোয় হিজাবের পেছনে উদ্বিগ্ন চোখদুটি আর স্খলিত আঁচলের ফাঁকে পূরন্ত নতমুখী একটি স্তন দৃশ্যমান হয়।

মাস্টার বড়ো ভালো বাংলা পড়ান। একদিন পড়ন্ত বৈশাখে হাতুড়েকে জীবনানন্দ বোঝাচ্ছিলেন। “আমরা বেসেছি যারা অন্ধকারে শীত-রাত্রিটিরে ভাল …..নরম জলের গন্ধ নদী বারবার তীরটিরে মাখে….” ভালবেসেছি অথচ উনি উল্টে নিলেন বেসেছি ভালো তারপর মধ্যে দিলেন কর্মবাচ‍্যটা গুঁজে আর নদী আর জল যেন আটা নদীর গন্ধ দিয়ে তাদের মাখা হচ্ছে …”দূরে আজানের ডাক আসে আসহাদ আল্লাই লাহ’ ইল্লাহ ..”।

আজ সেই মাস্টার আর তার উদ্বিগ্ন স্ত্রী হাতুড়ের সামনে। আজ কবিতা নেই শুধু ভয়— মৃত‍্যুভয় …

হাতুড়ে বলতে আরম্ভ করেন “বৌদি, হার্ট ব্লক বলতে কিন্তু হার্টের আর্টারিতে ব্লক বোঝাচ্ছে না। ওটাতে আর্টারি ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যায়। তখন প্লাম্বার দিয়ে লাইন পরিষ্কার করতে হয় অথবা নতুন পাইপ লাইন বসাতে হয়। কিন্তু মাস্টারের যেটা হয়েছে সেটা ইলেকট্রিক লাইনে গন্ডগোল।”

পরিষ্কার কৃষ্ণপক্ষ সন্ধ্যায় হাটুরে রবি বাড়ি ফিরছে দেখা যায়। গলায় কাছা- সদ‍্য পিতৃহারা। বেচারা পেটের জ্বালায় বাবার কথা ভাবতে সময় পায়নি। পেট চলে প্লাস্টিক বাসনের দোকান থেকে। দোকান বন্ধ তো পেট বন্ধ। অনেক পেট। ওর বাবা ফেরার সময় হাতুড়ের ঘরে একটু জিরিয়ে জল বিড়ি খেয়ে দুটো দুঃখের গল্প করে তারপর যেতো। সে পর্ব শেষ হলো।

মুস্তাক আহমেদ ভাই প্রশ্ন করে “ইলেকট্রিক লাইন মানে? বুঝলাম না যে….”

হাতুড়ের নিশ্বাস দখিনা বাতাসকে উষ্ণতর করে তোলে, “শোনো মাস্টার, আমাদের শরীরের ভেতরে একটা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আছে। তাপ বিদ্যুৎ বা জল বিদ‍্যুৎ নয় এখানে ইলেকট্রোলাইট থেকে নার্ভ বিদ্যুৎ তৈরি করে”

সাবিনা বৌদি অবাক হতে ভুলে যান “বিদ্যুৎ উৎপাদন … কী বলচো তুমি হাতুড়ে ভাই?”

হাতুড়ে নিজে একটা সিগারেট ধরান। হেসে বলেন “মাস্টার তুমি এটা টানলেই ফুটে যাবে গ … আমি সব কাজ শেষ করে বসন্ত শেষের গান গাইছি তাই আমি ধূমপান করি … তারপর শোনো ঐ বিদ‍্যুৎ কেন্দ্রটা থাকে হার্টের ডান দিকের একদম ওপর বাগে – হার্টের পেছনে লুকানো…. এটাকে এস এ নোড বা পেস মেকার‌ও বলা হয়”

বৌদি- আমাদের উতলা কবি মুস্তাকের প্রেমে পাগল বৌদি বলেন “ঐ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটা খারাপ হয়ে গেছে?”

হাতুড়ের ধূমপান একটু রাজকীয় – দূর দিগন্তে চক্ষু মেলে আপন সুখে সাদাকাঠিতে টান দ‍্যান। তারপর হাতুড়ে ফিরে আসেন আবার আলোচনায়। “ ঐ কেন্দ্র থেকে একটা তার একটা সাব স্টেশনে আসে। তার নাম এভি নোড, এখানেই বিদ‍্যুৎ পরিবহনের ব‍্যবস্থা হয়। এখানে লাইন ভাগ হয়। একভাগ ডাইনে যায় অন্য ভাগ বাঁয়ে। এরা আবার যেতে যেতে ছোটো ছোটো ভাগ করতে করতে যায় …”

“ওর অসুবিধাটা কোথায়?” সাবিনা বৌদির মাথায় হিজাব নাই বরং চোখে লড়াই করার আগুন আছে। কার সঙ্গে লড়াই করবি রে তুই বালিকা? শত্রু অনেক কুটিল।

“মাস্টারের সাব স্টেশন মানে এভি নোড খারাপ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ হার্টের আসল জায়গাগুলোয় পৌঁছচ্ছে না” জীবনানন্দ আর ধানশিরিটির তীরে ফিরে আসার কবিতা বলা মাস্টার মৃত্যুর মুখ কি তুমি দেখিয়াছ?

মুস্তাক ফিসফিস করে প্রশ্ন করেন “ভাই, তাহলে আমার হার্টটা চলছে কি ভাবে?” মুস্তাকের প্রশ্নে একটু অবিশ্বাস খেলা করে।

হাতুড়ে সিগারেটে (মৃত‍্যুদূত জেনেও) শেষ সুখ টানটি দিয়ে বলে “সবটুকু প্রকৃতির অদ্ভুত কার্যকলাপ বুঝলা, মুস্তাক? হার্ট তো বড়ো দরকারি তাই সব কিছু লোডশেডিং হলেও – আলো না থাকলেও একটা ব‍্যবস্থা আছে। যেটা দিয়ে হার্ট কয়েকটা দিন কোন রকমে নিজেকে চালিয়ে নিতে পারে। এই সময়টুকু তোমার হাতে আছে… এই সময়টাতে ইডিওভেন্ট্রিকুলার রীদমে হার্ট চালু থাকে”

মুস্তাক নতুন ডেস্কটপ কিনেছেন। বলেন “কম্পিউটারের ইউ পি এস য‍্যামন?”

হাতুড়ে নিশ্চিন্তির হাসি হাসেন “অবশেষে বুঝেছো তাহলে?”

সাবিনা বৌদি লন্ঠনের হলদে শিখার দিকে তাকিয়ে বলে “আর্টারির মতোন এই ইলেকট্রিক লাইনটা সারানো যায় না?”

হাতুড়ে মাথা নাড়েন “না, বৌদি। এই লাইনটা তো কনসীলড লাইন তাই এই লাইনে মেরামতি নাই”

মুস্তাক বলেন “তাহলে?” বলে দম বন্ধ করে থাকেন।

“না গো মাস্টার। আবার নতুন করে উৎপাদন কেন্দ্র আর ইলেকট্রিক লাইন বসাতে হবে – মানে পেস মেকার ..”

“ওকে কতদিন থাকতে হবে হাসপাতালে?”

“মোটামুটি তিন চার দিনের বেশী নয়…. দশ মিনিটের ছোট্ট কাজ … টের‌ও পাবে না হে”

মুস্তাক কৃষ্ণ ফাল্গুনীর পঞ্চমী সন্ধ্যায় উচ্চারণ করতে থাকেন আর তার চোখ দিয়ে অবিরল জল গড়িয়ে পড়ে “যদি আমি ঝরে যাই একদিন কার্তিকের নীল কুয়াশায়; যখন ঝরিছে ধান বাংলার ক্ষেতে- ক্ষেতে ম্লান চোখ বুজে, যখন চড়াইপাখী কাঠালীচাঁপার নীড়ে ঠোঁট আছে গুঁজে ….উরে ব্বাপ রে …”

শেষটুকু জীবনানন্দ লেখেন নি। মাস্টারের পাছুতে হাতুড়ের সজোর লাথিতে শব্দটি উৎসারিত হয়েছে। সাবিনা দুই বন্ধুর মারামারি দেখতে অভ‍্যস্ত।

হাতুড়ে গজগজ করতে থাকেন “যাচ্ছে শালা ফোড়া কাটার মতো একটা কেস করতে …. এমন কাব্য আওড়াচ্ছে য‍্যানো ক্ষুদিরামের বাবা …ফাঁসিতে ঝুলতে যাচ্ছে …”

মুস্তাক হাসে “ঠিক আছে হাতুড়ে ভাই, বদলা লুঙাই লুঙা ওয়াপস আনে দো..”

PrevPreviousএকত্রিশ জন চিকিৎসকের দিনলিপি
Nextল্যামার্ক, অর্জিত বৈশিষ্ট্যের উত্তরাধিকার ও এপিজেনেটিক্স-এর ইতিহাস ১ম পর্বNext
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

হো চাচা লাল সেলাম।

May 21, 2025 No Comments

১৯ মে ২০২৫ হোচিমিন এর সাথে আমাদের দেশের বৌদ্ধিক সম্পর্ক বহুদিনের। উনি নানান প্রবন্ধ লেখেন ভারত নিয়ে যেমন ব্রিটিশ উপনিবেশিক নীতি (১৯২৩), লেটার ফ্রম ইন্ডিয়া

রূপকথার রাক্ষসী

May 21, 2025 No Comments

তোকে আমরা কী দিইনি? সততার মাদল হয়ে বাজবি বলে তোকে দিয়েছি এই শহরের মোড়ে মোড়ে অজস্র ফ্লেক্স। যথেচ্ছারের সুখে মিছে কথার ফোয়ারা ছোটাবি বলে তোকে

স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ ৮৭১ জন যোগ্য চিকিৎসক সিনিয়র রেসিডেন্ট পদে যোগ দিতে পারছেন না কেন?

May 21, 2025 No Comments

স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ ৮৭১ জন যোগ্য চিকিৎসক আজও সিনিয়র রেসিডেন্ট পদে যোগ দিতে না পারায় রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা চরম সংকটে পড়েছে। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চিকিৎসক সংকট দিনে দিনে

দম্ভ, স্পর্ধা না ঔদ্ধত্য?!

May 20, 2025 No Comments

‘অগ্নীশ্বর’ সিনেমা দেখেন নি, এ রকম মানুষ আমাদের প্রজন্মে খুব কম থাকার কথা, অবশ‍্য বর্তমান প্রজন্মের কথা আলাদা। কাহিনীকার মেডিকেল কলেজের প্রাক্তনী বলাইচাঁদ মুখোপাধ‍্যায়, পরিচালক

উনিশ এগারো

May 20, 2025 No Comments

বাংলাকে যারা ভালোবাসো তারা উনিশকে ভুলো না এত সরকার গেলো এলো কেউ দিনটাকে ছুঁলো না। অমর একুশে ফেব্রুয়ারী যেই বাঙালী রক্তে লাল, মে’ মাস উনিশ

সাম্প্রতিক পোস্ট

হো চাচা লাল সেলাম।

Dr. Samudra Sengupta May 21, 2025

রূপকথার রাক্ষসী

Dr. Arunachal Datta Choudhury May 21, 2025

স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ ৮৭১ জন যোগ্য চিকিৎসক সিনিয়র রেসিডেন্ট পদে যোগ দিতে পারছেন না কেন?

Medical College Kolkata Students May 21, 2025

দম্ভ, স্পর্ধা না ঔদ্ধত্য?!

Dr. Amit Pan May 20, 2025

উনিশ এগারো

Arya Tirtha May 20, 2025

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

555233
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]