দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি বিশেষ ২৫
ফেরো।
ভয়ের থেকে, ক্ষয়ের থেকে,
এই হতাশার লয়ের থেকে,
এই যে যুদ্ধে যাওয়ার ভয়ে লড়ার আগেই হেরো,
সময় আবার সুযোগ দিলো,
বছর পোশাক পাল্টে নিলো,
ক্যালেন্ডারের পাতার মতোই হতাশাকে ছেঁড়ো,
নিরাশ থেকে আশার দিকে,
বোবার থেকে ভাষার দিকে,
ডোবার থেকে ভাসার দিকে হাত চালিয়ে ফেরো।
নৌকারা যায় মাঝির মতো,
বৈঠারা পায় জলের ক্ষত,
স্রোতের মতো যায়না ভেসে।
ওই ভাসাটা সব্বোনেশে,
জল তো নেবেই তোমায় ঠেলে আরো খাদের গভীর ঘেঁষে,
থই পাবে না একটু বাদেই,
ফিরে আসা তোমার কাঁধেই,
নাও নিতে চাও যেদিকপানে, বৈঠা তেমন মেরো।
রোজের যাওয়া গড্ডালিকায়,
ওসব তোমায় শোভা কি পায়,
বছর তোমায় ডাক দিয়ে যায়, আশার দিকে ফেরো।
মারী আছে, খাঁড়ি আছে,
কুমীর বদের ধাড়ি আছে,
ধারেকাছেই থাকবে তারা,
লক্ষ্য থেকে দিশেহারা করার টিকি দাড়ি আছে,
তাই বলে নয় শিরদাঁড়াটা নুইয়ে দেওযা আগের মতো,
লড়াই করার অভিজ্ঞানে থাকুক গায়ে যুদ্ধক্ষত ।
রাজা উজির অমাত্যরা
তোমার আমার নয় তো তাঁরা,
কোন উপহার ট্রয়ের ঘোড়া বুঝতে হবে আমাদেরই,
স্বাধীনতার নামে কারা যাচ্ছে বেচে পায়ের বেড়ি।
বছর নিলো পাল্টে পোশাক,
সরিয়ে এবার মাছ ঢাকা শাক,
বস্তাপচা গন্ধগুলোর উৎস খুঁজে ঝেড়ো,
অনাগত প্রজন্মকে,
স্বপ্ন দেখাও আশার চোখে,
বর্তমানের কালি মোছার দায় যে আমাদেরও।
নতুন বছর বর্ম পরে,
যুদ্ধ আনো নিজের দোরে,
যে দেশ তোমার স্বপ্নে আঁকা, সেইদিকে হাত নেড়ো।
ফেরো।