শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের প্রধান ক্লিনিক উলুবেড়িয়া মহাকুমার চেঙ্গাইলে, মালটিস্পেশালিটি ক্লিনিক, সাধারণ অবস্থায় এটি ছোট কোন হাসপাতালের আউটডোরের সঙ্গে তুলনীয়। লকডাউনের সময় কেবল একজন জেনারেল ফিজিশিয়ানের ক্লিনিক চলছে, রোগীর সংখ্যা অনেকটা কম। এখন একে সিঙ্গল ডক্টর ক্লিনিকের সঙ্গে তুলনা করা যায়।
গত পয়লা এপ্রিল থেকে কিভাবে চালাচ্ছি আমরা ক্লিনিক?
- কর্মীদের দুইভাগে ভাগ করে ৭ দিন ৭ দিন করে ডিউটি দেওয়া হয়েছে। যাদের বাড়ি থেকে আসা যাওয়া করা সম্ভব না তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- রোগীরা আসামাত্র তাদের কারোর জ্বর কাশি বা শ্বাসকষ্ট আছে কিনা জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। যদি থেকে থাকে তাহলে তাকে আলাদা করে বসানো হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেখে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
- অন্য রোগীদের বসানো হচ্ছে পরস্পর থেকে ১ মিটার বা ৩ ফুট দূরে দূরে।
- সাধারণভাবে রোগীরা মাস্ক পরে আসছেন। না পরে এলে সুলভে মাস্ক বিক্রির ব্যবস্থা আছে।
- রোগীদের সাবান জল দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
- ডাক্তার n95 মাস্ক পড়ে রোগী দেখছেন। যথা সম্ভব ইতিহাসের উপর নির্ভর করে প্রেসক্রিপশন করা হচ্ছে। প্রত্যেক পেশেন্ট দেখার পর সাবান জল দিয়ে হাত ধোয়া হচ্ছে।
- স্টেথো, ব্লাড প্রেসার মেশিন বা থার্মোমিটার ব্যবহার করা হলে তারপরেই সানিটাইজ করা হচ্ছে।
- কেবল যে কর্মীরা স্যানিটাইজেশন করছে তারা গ্লাভস পরছে। অন্যরা কেবল মাস্ক পরছে আর সাবান জল দিয়ে হাত ধুচ্ছে।
- ডিসপেন্সারিতেও ভিড় হতে দেওয়া হচ্ছে না। একজন রোগী ওষুধ নিয়ে যাওয়ার পর আরেকজনকে ঢোকানো হচ্ছে।
সিঙ্গেল ডক্টর চেম্বার যেখানে কর্মি কম সেখানে কি করা যায়?
- অ্যাপয়েন্টমেন্ট এমন ভাবে দিন যাতে ক্লিনিকে ভিড় না হয়।
- কাশি জ্বর শ্বাসকষ্টের রোগীদের আলাদা করে ব্যবস্থা করুন।
- অন্য রোগীদের বসান ১ মিটার বা ৩ ফুট দূরে দূরে।
- চিকিৎসক ও কর্মীরা মাস্ক পড়ুন। প্রত্যেকবার রোগী দেখার পর সাবান জল দিয়ে হাত ধোন।
- যন্ত্রপাতি যা যা ব্যবহার হলো স্পিরিট দিয়ে জীবাণুমুক্ত করুন।
- ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র জীবাণুমুক্ত করুন ১ শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দ্রবণ দিয়ে। 1 লিটার জলে সাত গ্রাম ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে এই দ্রবণ তৈরি করা যায়।
লেখা পড়ে ভালো লাগলো।
Ami nije kichhu contribute korte chai .salt lake e kothay giye diye asbo janale bhalo hoy .