১. প্রতি মাসে নির্দিষ্ট দিনে নিজ-স্তন নিজে পরীক্ষা করুন। আদর্শ সময়, ঋতুস্রাবের ঠিক এক সপ্তাহ পরে (কেননা এই সময় স্তনের ব্যথা ও স্ফীতভাব সবচেয়ে কম থাকে)।
২. আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে, মাথার পিছনে দুই হাত রেখে স্তনে অস্বাভাবিক কোনো লক্ষণ আছে কিনা দেখুন। স্তনবৃন্তে অস্বাভাবিক কোনো ফোলা ভাব, দু’দিকের স্তনের অসম আকৃতি বা অসম আকার (asymmetry), কোনো টোল (dimpling) বা লেবুর কোয়ার মতো ঢেউ খেলানো খসখসে ভাব আছে কিনা দেখুন।
৩. এছাড়া স্তনের চামড়ার কোনো সমস্যা বা কোনো জায়গায় রংয়ের পরিবর্তন আছে কিনা লক্ষ্য রাখবেন।
৪. এরপর চিৎ হয়ে শুয়ে হাতের তিনটি মাঝের আঙুলের ডগা দিয়ে মৃদু চাপ দিয়ে স্তন পরীক্ষা করুন। যে দিকের স্তন পরীক্ষা করবেন সেদিকের হাত মাথার নিচে রেখে অন্য হাত দিয়ে পরীক্ষা করুন।
৫. প্রথমে গলার হাড়ের থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে উপর থেকে নিচে এবং নিচ থেকে উপরে সম্পূর্ণ স্তন পরীক্ষা করুন।
৬. অন্যদিকের স্তনটিও একইভাবে পরীক্ষা করুন।
৭. এরপর একইভাবে দু’দিকের বগলে কোনো শক্ত, ফোলা গ্রন্থি আছে কিনা দেখে নিন।
৮. শেষে স্তন টিপে দেখে নিন স্তনবৃন্ত থেকে কোনো অস্বাভাবিক ক্ষরণ (রক্ত, পুঁজ বা জলীয় তরল) হচ্ছে কিনা।