কোভিডের সংক্রমণের সংখ্যা যেদিন ছুঁয়েছে আট লাখের ঘর,
সেদিনই নেতার জার্সি বদলে উঠেছে পনেরো কোটি টাকা দর।
পনেরো কোটি.. পনেরোর পরে সাতটা বিশাল বিশাল শূন্যে, জিতেও বিরোধী হওয়ার পাপ বদলাবে সিংহাসনের পূণ্যে,
রীতিমতো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে ভোটাভুটির সুচারু অঙ্কে।
জ্বরের ধমকে যখন নাগরিক চাহিদা ও স্বপ্নেরা রয়েছে থমকে,
তখন ভুখা তিজোরির খিদে মেটাতে এটুকু তো ‘চলতা হ্যায়’
সবই যদি বন্ধ ,তবে সংসার চালাতে দেশের সেবকরা যান কোথায়!
আচ্ছা, এই পনেরো কোটি জামলো পেলে কি হতো বলুন তো?
কোন জামলো? আরে সেই যে মেয়েটা তেলেঙ্গানায় লংকা তুলতো,
ছত্তিশগড়ে বাড়ি ফিরছিলো আড়াইদিন হেঁটে, মনে পড়ছে না?
পনেরো কোটিতে কি যেতো ওর জন্য একটা চার্টার্ড ফ্লাইট কেনা,
যার আলোকিত জানলায় বসে ওর মতো অকালমৃত কিশোরীবেলাগুলো,
সোনালী আগামীর দিকে উড়ে যেতো? এই দেখো, চোখে পড়লো ধুলো,
তা নইলে এরকম অবাস্তব প্রশ্নতে চোখ ভিজে যায় বলুন কারো?
আচ্ছা, আকাশকুসুমের দিকে নাহয় এগিয়ে যাই আরো,
ওই যারা কাটা পড়েছিলো রেললাইনে বাড়ির পথে হেঁটে,
ধরা যাক, পনেরো কোটি গেলো সে দলের ময়লা পকেটে,
তাহলে কি হতো? ওদের মতো আরো বাকিদের ঘরে ফেরাতে
ওরা হয়তো অনেক, অনেক ট্রেন ভাড়া করতো..রক্ত লাগতো না আর রাষ্ট্রের হাতে,
পনেরো কোটিতে ঠিক কতজন পরিযায়ী বাড়ি পৌঁছাতো,বলতে পারবে?
এ নিয়ে আর বেশি কথা বললে নির্ঘাত বাড়ি বয়ে এসে কেউ মারবে,
তবু , পনেরোর পরে সাতটা শূন্যে কটা আমফানবিধ্বস্ত গ্রাম ঠিক হতো জানতে ইচ্ছে জাগে,
কিংবা কটা বন্ধ কারখানায় মাইনে সঠিক যেতো মজুরের ভাগে,
অথবা ফলিডল খেকো কজন চাষীর সংসার ওতে বাঁচানো যেতো ,
আমি মুখ্যুসুখ্যু লোক, হিসেব বুঝিনা, শুধু খামোখাই ভেবে করি সময়কে তেতো।
আচ্ছা বলো তো ভেবে, দেশপ্রেম করলে নিলাম, বাজারে এখন ঠিক কত দাম পেতো।