★
বছর তিরিশেক আগে আমার শাশুড়িমা জামশেদপুরে প্রয়াত হয়েছিলেন। সেই উপলক্ষ্যে আমার দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের মা জামশেদপুরে গেলেন খড়দা থেকে। ফিরতে ফিরতে একসপ্তাহ পার। ছেলেদের স্কুলে গেলে সটান বলে দেওয়া হল অনুপস্থিতি যেহেতু তিনদিনের বেশি, ওদের মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। মানে অসুস্থতার সার্টিফিকেট। এটাই নাকি নিয়ম। তীব্র প্রতিবাদ করেছিলাম। দিইনি। এ তো সরাসরি মিথ্যে শেখানো।
এ এক আশ্চর্য কুপ্রথা। সত্যি অসুস্থ হলে তার জন্য সার্টিফিকেট দেওয়ায় কোনওই আপত্তি নেই। সেটা যথার্থও। কিন্তু ডাক্তার মিথ্যে সার্টিফিকেট দিলে তার ওপরে কিছু বলা যাবে না এ কেমন নিয়ম?
আর সরকারি ডাক্তার হলে তো কথাই নেই। আপামর জনগণ থেকে সমস্ত প্রতিষ্ঠান জানে আর বোঝে সেই সার্টিফিকেট মিথ্যে। তবু সেটাই গ্রাহ্য। কেন?
ডাক্তারের মিথ্যে সার্টিফিকেট কর্মক্ষেত্রে দেওয়া হয়, আদালতে দেওয়া হয়। কখনও স্রেফ ব্যক্তিগত পরিচয়ের খাতিরে, কখনও টাকার বিনিময়ে, কখনও প্রভাবশালীদের রক্তচোখকে সন্তুষ্ট রাখতে। এতে ডাক্তারের পেশা-সম্মান কোথায় যায়, যারা দেয় মিছে সার্টিফিকেট তারা বোঝে না?
ছিঃ, এসএসকেএমের সংশ্লিষ্ট ডাক্তারেরা, ছিঃ!
অথচ এখানেই তো কুকুরের ডায়ালিসিস করতে অস্বীকার করেছিলেন অনতিঅতীতের কেউ! এককথায় নাকচ করেছিলেন প্রভাবশালীর অনৈতিক আবদার।
এত ভয়? অনেক সম্মানের পিজি হাসপাতালের সেই গর্বকে অনৈতিকতার ধুলোয় মেশানো হল যখন, এই ব্যাপারে জড়িত সেখানের কেউ… কোনও ডাক্তার প্রতিবাদ করল না?
★