- গাছগুলো বড় জ্বালাচ্ছে , বুঝলে হে!
দেখে যেন লোক ওদের খুব সন্দেহে,
সে ব্যবস্থা করা দরকার।
ওরাই তো তেল সুতো দ্রোহ চরকার।
আজ্ঞে, গাছেরা? মানে ওই সময়ের বৃক্ষসমূহ?
ইতিহাসে ওনাদের মোছাটা দুরূহ,
দেশটা তো ওনাদেরই হাতে গড়া স্যার,
সিলেবাসে কেটে দেওয়া আলাদা ব্যাপার,
কিন্তু পুরোপুরি উপড়িয়ে ফেলাটা আত্মঘাতী হবে,
বাস্তব ওইভাবে মোছা যায় কবে!
ধুত্তেরি! কৌশল, কৌশল ,
বিকৃত বিক্রীত দুটো ইতিহাসে জেনো সেটাই আসল।
ওই সব মহীরুহে আগামী খুঁজতে আসে ছায়া,
বড় ভয়ানক সেই অতীতের মায়া,
যদিও মূল সমস্যা সেটা নয় মোটে।
বেশি গেলে ওদের নিকটে,
মানুষ দেখতে পাবে লড়বার অস্ত্ররা বাঁধা আছে ডালে,
এতদিন যাদেরকে রাখেনি খেয়ালে ।
একবার পথ পেয়ে গেলে কেটে যাবে ভয় ,
বৃহন্নলার থেকে অর্জুন হতে আর কতটা সময়,
কিছু একটা করতেই হবে বৃক্ষগুলোকে,
এড়ায় মানুষ যেন পড়লেও চোখে।
আজ্ঞে সে তো ভারী সহজ ব্যাপার,
এত কেন ভেবে সারা হচ্ছেন স্যার,
চোখের সমুখে ওই খোলা আছে পথ।
ওই যে, অজ্ঞাতবাস পর্ব! উপায় রেখেছে লিখে তো মহাভারত।
কি বলছো ! রয়েছে উপায়?
বলো বলো, কোন পথে গাছদের দূরে রাখা যায়,
ওদের ছায়ায় বসে কেউ যদি চিনে নেয় ঠিক স্বপ্নকে,
বুঝে নেয় অবনতি আসলে চলেছি বেচে প্রগতি- মোড়কে,
কুরুক্ষেত্র হতে কদিনই বা লাগবে বলো তো,
এই আদিগন্ত বাধ্য শস্যের ক্ষেতে বাধা কেবল ওই মহীরুহ যত ।
আজ্ঞে বিক্রীত কলমেরা আছেই তো সাথে,
মানুষেরা বসে আছে মুঠোফোন হাতে,
গাছেদের গল্পকে বিকৃত করে বেচা সহজ তো খুব ।
ফরওয়ার্ড করবারও রয়েছে বেকুব,
অচিরে কীর্তি ভুলে সকলেই মন দেবে দোষের পচায়,
কেচ্ছা সত্যি কি না খুঁচিয়ে জানতে আজ কে আর চায়!
আরিব্বাস!
সাবাস সাবাস!
বেঁধে দিই যদি খুঁজে ডালে কিছু বিকৃত মড়া,
মানুষ থাকবে দূরে, গাছেদের কাছাকাছি যাবেই না ওরা।
কাজেই পাবে না কেউ লড়াইয়ে নামার মতো অস্ত্রের খোঁজ, কেয়াবাত কেয়াবাত, করে দিলে জিতবার পথটা সহজ ।
যাও , নির্দেশ দাও ,
পচা খুঁজে শুরু হোক সে বমি-করন,
আর শোনো, তোমায় খেতাব দেবো ।
তুমিই তো বাতলালে এ সমীকরণ।
আজ্ঞে কৃপা আপনার ।
বানানটা তবু যেন হচ্ছে না স্যার,
শমী বানানোতে মন দিচ্ছি যখন….
বরঞ্চ বলি একে শমীকরণ।