তখনও মণিপুরের জাতি দাঙ্গা সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে আসেনি, যদিও এক মাসের ওপর হয়ে গেছিল দাঙ্গা শুরু হয়েছে, কেবল করণ থাপার নিয়মিতভাবে মণিপুর সমস্যা নিয়ে তাঁর প্রোগ্রাম করে চলেছিলেন। আমার পুত্রের এক মণিপুরী সহপাঠী আমাদের কাজকর্ম সম্পর্কে জানতো। সে যোগাযোগ করে আমাদের সংগঠন মণিপুরে চিকিৎসা ত্রাণ পাঠাতে প্রস্তুত কিনা।
৩ বছর আগে ২০২০ র আমপানের সময় শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ ও ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম ত্রাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিল। তার পুরোটা খরচ করা যায়নি। শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ সিদ্ধান্ত নিল মণিপুরের ১৩ টি জেলায় আড়াইশোর বেশি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ সরকারি স্কুলগুলোতে শরণার্থী শিবির করে আছেন, তাদের চিকিৎসা তরণের জন্য এই অর্থ খরচ করা হবে। সায় দিলো ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামও।
প্রথম দফার চিকিৎসা সামগ্রী ইমফলে পৌঁছয় ১৬ই জুন। পৌঁছানোর দায়িত্ব নিয়েছিল কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট মেডিসিনাল ইউনিট। মণিপুরের যুব সংগঠন MitSna (চোখ ও কান) সেই সামগ্রী নিয়ে কাজ শুরু করে। তারপর ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির মণিপুর শাখা, মাচা লেইমা নামক মহিলা সংগঠন এবং ডক্টর প্রতিতা চেরিটেবল ট্রাস্ট এই চারটি সংগঠনের মাধ্যমে আমরা ওষুধপত্র এবং মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন পাঠিয়ে চলেছি। শেষ দফার সামগ্রী পৌঁছেছে আজ। সরবরাহ আমরা জারি রাখবো।
মণিপুর সমস্যার সমাধানে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার সক্রিয় হোক–এই দাবি জানানোর পাশাপাশি দুর্গত মানুষের পাশে থাকতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।