নেশাভাংয়েরও শেষ থাকে। অতঃপর নেশা খৎম।
মৃত্তিকার
ওরিজিন্যাল কোদন্ড টঙ্কারে
মরণ।
তবে কি মাটিই শত্রু?
অবিরল গরল বিষ।
নির্বিকার আকাশচারী মাছ।
অতিকায় তিমিঙ্গিল সব
গিলে খায় চরাচর….
চরাচর-চরাচর বিশ্বচরাচর।
নিঃশব্দে মুছে যায়
ইন্দ্রধনু চাঁদ।
হে মানুষ-
তুমি আনত মানুষ,
এ্যাকবার ফিরে দ্যাখো
বন্ধ্যা পতিত জমি-
তোমার হৃদয়।
শোনা যায় বিখ্যাত সব চিত্রকরগণ তাঁদের বিচিত্র চিত্র আঁকার আগে বিভিন্ন নেশা করে থাকেন। এই বিষয়ে একটা ভয়ানক লেখা আছে। এক চিত্রকরের প্রদর্শনীতে একজন আনাড়ি অনভিজ্ঞ মানুষ ঘুরঘুর করছেন।একটা বহুবর্ণ ছবি দেখে তিনি বুঝভোম্বল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন দেখে স্বয়ং চিত্রকর এসে বললেন “অহো আপনি ছবিটি দেখছেন দেখে আমি পরম প্রীত হয়েছি। এটা আমার আঁকা”। বলাই বাহুল্য চিত্রকর হাজির হয়েই আত্মনামের জয়ঢাক বাজান। দর্শক মহা বিষ্ময়ে জিজ্ঞেস করেন “এইসব ….এইসব….” ওনার আর বাক্যস্ফূর্তি হয় না। বলা যায় সব স্ফূর্তি উধাও হয়ে যায়।
“হ্যাঁ” চিত্রকর বলেন “এসবই আমার ভেতরে আছে। সেটাই ছবিতে ফুটে উঠেছে”
দর্শক ইতস্ততঃ করে বলেন “ইয়ে এইসব আপনার ভেতরে আছে…?আচ্ছা তাহলে আপনি নিয়মিত ইসবগুল খান না ক্যানো?”
বয়স হচ্ছে বড্ড বাজে বকে ফেলি। বাদ্দিন। আজ আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো ওষুধের বা রাসায়নিক নেশা।
যে সব ওষুধ বাজারে সহজলভ্য-যেমন অ্যালপ্রাজোলাম অর্থাৎ বেঞ্জোডায়াজিপাইন এগুলোর কথা যেমন আসবে তেমনি এল এস ডি, গাঁজা, চরস, মারিজুয়ানা, হাশিস, ব্রাউন শুগারের কথা আসবে।আফিমের কথাও আসবে। এ্যাতো নেশা একসঙ্গে আমার সহ্য হবে না তাই সবই সংক্ষেপে সারবো। বিড়ি টিড়ি, সিগারেট টিগারেটও আসবে।
পুরো দমে লেখার আগে একটা সাবধান বাণী দিয়ে রাখি। এখন সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী আমেরিকার উন্নয়নশীল নেশা হলো গাঁজা। বলা হচ্ছে মদ এবং তামাকের পরেই গঞ্জিকা। এগিয়ে চলেছে দ্রুতগতিতে। এদেশের কমবয়সী ধূমপায়ীদের মধ্যে অধিকাংশই গাঁজা সেবন করেছে। এবং যারা বয়োঃসন্ধিকালে গাঁজা খায় তাদের নেশাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও বলে আজকালকার বাচ্চারা (নারী, পুরুষ ভেদ নাই) সকলেই প্রায় ক্যানাবিস (গাঁজা) ব্যবহার করে দেখেছে। তাতে কোনও ক্ষেতি নেই। কিন্তু যারা এই পদার্থ একবার পরীক্ষা করে দেখবে তাদের প্রতি দশজনে একজনের ভবিষ্যতে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং অভিভাবকদের দায়িত্ব থাকবে লক্ষণগুলো মনে রেখে অপ্রকাশ্যে ওদের দিকে খেয়াল রাখা। ওদের বন্ধু হয়ে, সমভাবে, দরদ দিয়ে মিশে ওদের মন্দ পথ থেকে সাবধান করা।
আমরা প্রথমে শ্রেণীবিন্যাস করে ফেলি।
(১) ল্যাবরেটারিজাত রাসায়নিকের নেশা [এরমধ্যে নিত্য ব্যবহৃত বেঞ্জোভায়াজিপাম, যথা ডায়াজিপাম, অ্যালপ্রাজোলাম, লোরাজিপাম (অ্যাটিভ্যান), এরপরে থাকছে লাইসার্জিক অ্যাসিড মিথাইল্যামাইড (ঘাবড়াবেন না প্লিজ, এটা এলএসডি) ইত্যাদি পড়ে।
(২) গঞ্জিকা বা গাঁজা বিদেশে ক্যানাবিস বা মারিজুয়ানা নামে প্রসিদ্ধ।
এর থেকে উৎপন্ন বহু রকম রাসায়নিক আছে। (ক্যানাবিস, ভাং, সিদ্ধি, ক্যানাবিনয়েড ইত্যাদি ইত্যাদি)
(৩) আফিম বা ওপিয়াম(
কোডিন-বহু প্রচলিত কাশির সিরাপ, ফেন্টানিল, হেরোইন, মর্ফিন, ট্রামাডল-বহুল প্রচলিত ব্যথার ওষুধ)
★★★★ ৶ ★★★★
এদের কর্মপদ্ধতিসমূহ
[পাঠককুলের সুবিধার্থে কিছুটা অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লেখা, জানি চিকিৎসককুল আমাকে মেরে পাট পাট করে ফেলবেন]
{৸} প্রথম দলের ওষুধ:- ডায়াজিপাম জাতীয় ওষুধগুলো ঘুমের ওষুধ বা দুশ্চিন্তা কমানোর ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এরা গাবার্জিক কেন্দ্রগুলোকে উদ্দীপ্ত করে। যেহেতু দুশ্চিন্তা আর হতাশা একই পথের পথিক। একজন এলে অন্যজন না এসে পারে না।আসলে কোনও মানসিক ব্যাধিই বিশুদ্ধ নয়। সবই মিলিয়ে মিশিয়ে থাকে। যার ফলে এইসব ওষুধে দুশ্চিন্তা বা অ্যাংজাইটি সাময়িক কমলেও হতাশা পুরো মাত্রায় থেকে যায়। ওষুধের ফলাফল শেষ হয়ে গেলে সবকটাই দ্বিগুণ হয়ে ফেরে (রিবাউন্ড ফেনোমেনান)। ফলতঃ মেসোলিম্বিক সিস্টেম, গাবার্জিক পাথওয়ে ও রিওয়ার্ড সেন্টার আবার ঐ ওষুধটা চায়। এবং চার সপ্তাহের বেশী এক টানা ব্যবহার করলেই মানুষটি ঐ ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।
এই ওষুধগুলোর শরীরের অন্যান্য অঙ্গে কুফল খুব বেশী না থাকলেও মানসিক ভাবে একটা মানুষকে অকর্মণ্য এবং স্মৃতিহীন করে দিতে পারে।
শুধুমাত্র ঘুমপাড়ানি কিছু ওষুধ আছে যারা অভ্যাস তৈরি করে না(?),তবে তাদের নাম আমি জানি না।
(@) এলএসডি- এই রাসায়নিক পদার্থ শরীরের বিভিন্ন অনুভূতির বোধটা বদলে দেয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ভীতি, দুঃস্বপ্ন এসে গ্রাস করে। কিছুদিন পরেই বহু এলএসডি নেশাখোর পাগল হয়ে যায়। পেশীর কর্মক্ষমতা কমে যায়। প্রতিবর্তী ক্রিয়া কমে আসে। মস্তিষ্কের আকার ছোট হতে থাকে।মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা অক্ষম হয়ে পড়ায় মুখে ভয়ের ছাপ পড়ে যায়। স্কিৎজোফ্রেনিয়া রোগে যা যা লক্ষণ সবই দেখা যায় ক্রমশঃ পাগলের লক্ষণ এবং অবাস্তব ধারণা ও বোধ তাকে গ্রাস করে। অবশেষে অক্ষম, জড়বুদ্ধি, জেদী অথচ বন্ধুত্বপূর্ণ একজন ধ্বংস হওয়া এক মানুষ হিসেবে পড়ে থাকে।
{√] গঞ্জিকা বা মারিজুয়ানা। আরও হাজার অষ্টোত্তর শত নাম আছে। উইড, পট,ডোপ, গ্রাস,সিদ্ধি, ভাঙ।এরা একই জিনিস ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। দাগী গুন্ডা যেমন উর্ফ হাতকাটা কাত্তিক, উর্ফ নুলো পানু, উর্ফ পেটমোটা গজানন,ঐ রকম আরকি!একে শোঁকা যায়, পান করা যায় বা খাওয়া যায়।
এটা কমলি নহি ছোড়তা ধরণের নেশা। পরে চাইলেও ছাড়া যায় না।
এগুলো কিছু মানুষের শরীরে আনন্দ তৈরি করে। বাকিদের ভয়, প্যানিক, সাইকোসিস তৈরি করে। অর্থাৎ সবাই যে মজাদার ট্রিপ পাবেই তা নয়। কিন্তু খাদ্য এবং যৌনতায় আগ্রহ বেড়ে যাবে। সাময়িক ভাবে মস্তিষ্কের ডোপামিন ক্ষরণ বাড়বে, ফলে একটা তাৎক্ষণিক তূরীয়ানন্দ বোধ হবে।
ক্ষতিকর দিক:- হার্টের ধমনীতে প্রদাহ মানে ইনফ্লামেশন হবে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়বে। সুতরাং হঠাৎ করে মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়বে। এছাড়াও যতক্ষণ গাঁজা রক্তে থাকবে ততক্ষণ হার্ট রেট অনেক বেড়ে থাকবে। লাংস, ফুসফুস:- ব্রঙ্কাইটিস হবেই হবে তারপর হাঁফানি।
অক্ষিধে এবং বমিভাব(বিবমিষা)। ফলতঃ সুন্দরী বালিকা হাড়গিলা কৃকলাস হয়ে উঠবে। ঘুম হবে না। পেশীদের দুর্বলতা থেকে আরম্ভ করে স্লিপ অ্যাপ্নিয়া সিন্ড্রোম সবকটাই হতে পারে।
খিঁচুনি বা তড়কা (বাংলায় যাকে কনভালশন বলে) একটু বেশী পরিমাণে নিলেই হবে।
মোদ্দাকথা মোট বুদ্ধিবৃত্তি ঢের কমে যাবে।
সুতরাং যে একটা চালু গপ্পো আছে না,বুদ্ধিমান ছেলেমেয়েরা গাঁজা খেলে বুদ্ধি খোলে?
পরীক্ষা করতে যেয়ো নি। শেষে রাস্তায় বসে হাপু গাইতে হবে।
(&) আফিম বা ওপিয়াম [এরও বিভিন্ন ভাগ আছে। কোডিন (কাশির ওষুধ), ট্রামাডল (ব্যথার ওষুধ), মর্ফিন (ব্যথা কমানোর) আরও বিভিন্ন ভাবে ওষুধটা বিক্রি হয়। এমনকি কালোবাজারিও হয়।]
বঙ্কিমচন্দ্রের কমলাকান্ত আফিহেন সেবন করে চূর হয়ে থাকতেন। চীনের মতো একটা বিরাট দেশ, কেবলমাত্র আফিংয়ের নেশায় ডুবে ছিলো। জাপান অতি সহজেই চীনকে নিজের কুক্ষিগত করে রেখেছিল। আক্ষরিক অর্থেই দেশটা ডুবে গেছিলো। দারিদ্র্য ভোলার জন্য নেশা। আরও দারিদ্র্য, সুতরাং আরও নেশা অথচ এখন এই দেশটা সবাইকে চমকে দিয়ে সবার আগে এগিয়ে গেছে।
মোটামুটি সব নেশার মতো এটাও মস্তিষ্কের সমস্ত কেন্দ্রকে অকেজো করে রাখে। সে সময় দুঃখ বেদনা যেমন থাকে না, তেমনই মস্তিষ্কের অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে যায়।
গন্ডগোল হচ্ছে যে আফিংয়ের নেশা বড্ড তাড়াতাড়ি শরীর মনের দখল নিয়ে নেয়।
(৹) কোষ্ঠকাঠিন্য, দৃষ্টি শক্তির ক্ষীণতা, কার্ডিওমায়োপ্যাথি, পেশীর ক্ষমতা হ্রাস, সামাজিক যোগাযোগ ছিন্ন হওয়া, লিভার নষ্ট হওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, রেসপিরেটরি সেন্টারের ক্ষমতা কমে যাওয়া (মস্তিষ্কের একটা ভয়ানক দরকারি অংশ),ইন্ট্রাক্রেনিয়াল চাপ বেড়ে যাওয়া, গল ব্লাডারে স্প্যাজম হওয়া (গল ব্লাডারে যতো ব্যথাই হোক ওপিয়াম গ্রুপের ওষুধ খাওয়া যাবেনা), কিডনি খারাপ হওয়া, তড়কা (বাংলায় কনভালসন),পেচ্ছাপ আটকে যাওয়া-এই সবই আফিং থেকে হতে পারে।
সব থেকে বড়ো কথা বুদ্ধি বৃত্তি, নিজের ভালো মন্দ জ্ঞান, সামাজিক সম্পর্ক-সবই ধ্বংস হয়ে যায়।
(©) কোকেন (কোকো গাছের থেকে এই বস্তুটি নিষ্কাশিত হয়)
এই বস্তুটি থেকে অতি সাময়িক মানসিক শান্তি, যৌন উত্তেজনা, রক্তচাপ এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, প্রবল আক্রোশ-সবকটাই হতে পারে।)
এটাকে নাকে নস্যের মতো ফুঁচ করে টেনে নেওয়া যায়। তামাকের মতো ধোঁয়ায় ফুঁকে দেওয়া যায় অথবা শিরায় সুঁই দিয়ে ইঞ্জেকশন নেওয়া যায় (মাগো বুই ফাই)।
এবং কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ফলাফল টের পাওয়া যায়। খুব বেশী হলে নব্বুই মিনিট এর এর স্থায়িত্ব। সুতরাং চরম নেশাগ্রস্ত বারবার এই নেশার বস্তুটি খুঁজবে, না পেলে লঙ্কাকাণ্ড বাধাবে (হনুমানোচিত কান্ড)। চুরি ডাকাতি, খুন কিছুতেই হাত কাঁপবে না।
এখানে আমরা অতিমাত্রায় কোকেন সেবনের কিছু ফলাফল জেনে নিই।
(●) ভয়ানক দুশ্চিন্তা
(●) ঝাপসা দৃষ্টি
(●) নীল বর্ণের ওষ্ঠ ও অঙ্গুলপ্রান্ত
(●) বক্ষশূল (বুকে ব্যথা)
(●) চোখের পিউপিল বিন্দুবৎ(পিন পয়েন্টেড)
(●) গোলাপী কফযুক্ত কাশি
(●) দ্রুত হৃদস্পন্দন
(●) ভুলভাল দেখা (হ্যালুসিনেশন)
(●) কাঁপুনি
(●) শরীর ঠান্ডা হয়ে আসা
(●) শ্বাসকষ্ট
(●) কোমা
এরপরে লিখতে ভয় লাগছে। যদিও কোকেন নিইনি। তবু এ্যাতোক্ষণ ধরে লিখছি তো? শরীরটা কেমন তাজ্ঝিম মাজ্ঝিম করছে (রবীন্দ্রনাথ থেকে টুকলি দিলাম)। এবার একটা সিগারেট খেয়ে নিকোটিন নিয়ে লিখি।
(¿) নিকোটিন (ইহা নস্য, তাম্বাকু, সিগার,বিড়ি, হুক্কা, খৈনি কিম্বা জর্দা, দোক্তা সবেতেই থাকে। আমার মহান ভারতে নিকোটিনের যে প্রকারভেদ পাওয়া যায় তা অতি ব্যাপক ও বিস্তীর্ণ।)
(৺) এই নেশায় মনে শান্তি হয়। দুশ্চিন্তায় আরাম হয়। পরীক্ষায় পড়া ভালো হয়। এবম্বিধ বিবিধ বক্তব্য বাজারে শোনা যায়। এটাতেও ডোপামিন নিঃসরণ বাড়ে এবং রিওয়ার্ড সেন্টারে প্রফুল্ল ভাব আসে। যেহেতু এটা ক্ষণস্থায়ী তাই কিয়ৎক্ষণ পরেই আবার তাম্রকূট সেবনের কূট প্রবৃত্তি জাগরুক হয়।
আমরা একজনকে নিকোটিন নেশাগ্রস্ত কখন বলবো?(একটা মারাৎমক এবং প্রবল প্রশ্ন)
উঃ যখন এই নিকোটিন আমার (আপনার পড়ুন) প্রতি মুহূর্তের প্রয়োজন হয়ে উঠবে, যখন আপনি সিগারেট খাওয়া বারণ বলে কোনও বিশেষ ব্যক্তির বাড়ি যেতে অস্বীকার করবেন। যখন সিগারেট খাওয়ার পরেই আপনার আবার সিগারেট খেতে ইচ্ছে করবে তখনই, কেবলমাত্র তখনই আমি আপনাকে সিগারেট বা নিকোটিনে আসক্ত বলে ঘোষণা করবো। এছাড়া কফি বা চা নিয়ে বসলেই অথবা বন্ধুবৃত্তে প্রবেশ করলেই ধূম পান করতে চাইবেন তখনও এটা নেশা।
এতে যে সব পার্শপ্রতিক্রিয়া হয় তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে যৌন ক্ষমতা হ্রাস (এ আমার কথা নয় হে প্রভু, বৈয়ের কথা), এরপর থাকবে হৃদযন্ত্রের গোলযোগ, মহিলাদের ক্ষেত্রে যুক্ত হবে ইনফার্টিলিটি এবং গর্ভাবস্থায় ধূমপানে অসুস্থ বা খুঁৎযুক্ত সন্তানের জন্ম দেওয়া।
{কখনও কখনও ধূমপান জিনগত হতে পারে। অর্থাৎ পিতৃপুরুষ বা মাতৃনারীর জিনে অতিরিক্ত নিকোটিন রিসেপ্টার তৈরি করার সঙ্কেত লেখা ছিলো তাই সন্তান ধূমপায়ী হয়েছে।}
দু পক্ষেরই শুগার, কোলেস্টেরল বাড়তে পারে।
কেউ যদি ভেবে থাকেন আমি তো জর্দা খাই বা খৈনি সুতরাং আমি নিরাপদ। এজ্ঞে না। আপনার ক্ষেত্রে মুখে ক্যানসারের সম্ভাবনা বহুৎ বেশী।
আর যাবার আগে শেষ কথাটি যাই বলে। যাঁরা পয়সার জন্য বা মানবতার জন্য উদয়াস্ত কাজ করছেন তাঁদেরও কিন্তু একই ভাবে ডোপামিন ক্ষরণ বাড়ছে। কাজ না করলে দুনিয়া মোহমায়া মনে হচ্ছে-তাঁরাও একটু কাজ বন্ধ করে ‘নিজের’ জন্য সময় বার করুন। নিজেকে ভালবাসুন। দেখবেন কোনও নেশারাই কাছে ঘেঁষতে পারবে না। ধন্যবাদ। জ্জ্যয় হিন্দ।