সদর দরজা হাট করে খোলা। আমি গলিতে নেমে করোনা জয়ীর ছবি তুললাম। একটু আগে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফ্রন্টলাইন কোভিড যোদ্ধা ডক্টর যোগীরাজ রায় জানালেন, নিধি কোভিড মুক্ত। আমরা দুজনও দরকারে বেরোতে পারি। কলকাতা পুরসভাও একই তথ্য দিল।।
ট্রপিক্যালে আমাদের লালারস পরীক্ষার আজ ১৪তম দিন। আমাদের হালকা জ্বর এসেছিল প্রায় ২৫ দিন আগে। মেয়ের কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর এই কয়েক দিন আমরা নিজেদের স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি রেখেছি। ডক্টর যোগীরাজ হাসপাতালের কথা কল্পনাতেও আনতে বারণ করেছিলেন। এমনি এমনি কোনও ওষুধ খাওয়াতেও ছিল কঠোর নিষেধাজ্ঞা। আপনারা নিরন্তর খোঁজখবর নিয়েছেন। সর্বশক্তমানের কাছে প্রার্থনা করেছেন। যে ভালবাসা আমরা পেয়েছি তাতে চীর কৃতজ্ঞ। কত কত মানুষ। যাঁদের সঙ্গে সরাসরি আলাপ নেই। তাঁরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমার পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু এবং অবশ্যই আমার অফিস। আমার চিফ এডিটর, ডেপুটি এডিটর, নিউজ এডিটর, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর এবং আমার সহকর্মীরা প্রতিদিন বার বার ফোন করেছে। খবর নিয়েছে কি করছি, কেমন আছি, কি খেলাম, কখন ঘুমোলাম ইত্যাদি। নেদারল্যান্ডস থেকে, দক্ষিণ সুদান থেকে, বাংলাদেশের ঢাকা থেকে, হরিয়ানার হিসার থেকে, মুম্বই থেকে ফোন এসেছে। জনপ্রিয়তার নিরিখে অন্যতম শীর্ষ রাজনীতিক রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী শুভকামনা জানিয়েছেন। খেজুরি থেকে ছোটন, ডলি, মা, তনু, জেঠু, জেলা পরিষদের বিমানবাবু, তরুনাভ, সোমনাথ, রত্নদীপ দা, তনুজ দা, বিশ্বনাথ দা, রনজিৎ দা, অমিতাভ, কল্যান, ভীস্মদেব, শুভেন্দু-সহ বন্ধুরা সবসময় খোঁজ নিয়েছে। খেজুরি ১-এর বিডিও তীর্থঙ্কর ঘোষ দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফেরার কামনা করেছেন। জলপাইগুড়ি থেকে মানিকদা, বোলপুর থেকে সামাদদা- রাধামাধব, দুর্গাপুর থেকে অনুরাধা, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে অসীমদা, নৈহাটি থেকে বিক্রমদা-সহ কলকাতার বন্ধুরা সবাই বলেছেন —-যে কোনও দরকারে পাশে আছি। আমার স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের বিশেষভাবে ভালবাসা জানাই।
যে দুজনের কথা আলাদা করে বলতে হবে তারা হল, এই মুহূর্তে রাজ্যের সেরা রিপোর্টার গৌতম ব্রহ্ম এবং আমার পাশের বাড়ির প্রদীপ শ্রীমানী। আইসোলেশনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এই দুজনকে পাশে না পেলে এত সহজে এই লেখা লিখতে পারতাম না। সবাই ভাল থাকবেন। এখন কপি লিখি। সুযোগ হলে কাল-পরশু ফেসবুক লাইভে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব। জয়গুরু। ?