ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্য কেরালা, যেখানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষার হারও ঈর্ষণীয়। আশ্চর্য হতে হয় এহেন কেরালাতেই ঋতুমতী মেয়েদের মন্দিরে ঢুকতে না দেওয়ার মতো কুসংস্কার আজও চালু আছে। তবে আশার কথা হলো এই অন্ধকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন কেরালার মহিলারা। এবার তাদের মাথায় আরো এক নতুন জয়ের মুকুট। সামাজিক কুসংস্কার কাটিয়ে আরো এক আলোয় ফেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের মধ্যে নজির গড়ল কেরালার আলাপূজা জেলার মুহাম্মা গ্রামের মেয়েরা। দেশের মধ্যে প্রথম কৃত্রিম স্যানিটারি প্যাড মুক্ত গ্রাম হতে চলেছে মুহাম্মা।
মাসিকের সময় ব্যবহৃত সিনথেটিক প্যাড পরিবেশবান্ধব নয়। অনেকদিন ধরে এই তথ্য জানা সত্ত্বেও ভারতের অনেক আধুনিক মহিলাই মাসিকের দিনগুলিতে বেছে নেন স্যানিটারি ন্যাপকিনকেই। এই পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুহাম্মা গ্রাম পঞ্চায়েত গ্রামের সব মেয়েদেরকে মেন্সট্রুয়াল কাপ বিতরণের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। মূলত গ্রাম পঞ্চায়েত ও একটি বেসরকারি পরিবেশ বান্ধব সংস্থা যৌথ প্রচেষ্টায় এই কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে অর্থ যোগাচ্ছে ইসরোর কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি শাখা। তাদের লক্ষ্য পূরণে স্বাস্থ্য দপ্তরের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
পঞ্চায়েত আধিকারিকদের সূত্রে জানা গেছে, মোট গ্রামটিতে প্রত্যেক মাসে প্রায় ১ লক্ষ কৃত্রিম প্যাড ব্যবহৃত হতো । যা এলাকার জল ও মাটি দূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছিল। এই প্রকল্পে প্রত্যেক মহিলাকেই অল্প অর্থের বিনিময়ে একটি করে মেনস্ট্রুয়াল কাপ ও চারটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের প্যাড দেওয়া হবে। কারণ গ্রামের অনেক মহিলাই মেন্সট্রুয়াল কাপ এর সঠিক ব্যবহার ঠিক ভাবে জানে না। তাদের জন্যই মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাড দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।
সাধারণভাবে একটি মেনস্ট্রুয়াল কাপ পাঁচ বছর অব্দি ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ যদি হিসেব করি একটি কাপ মোট ৭৫০ টি স্যানিটারী ন্যাপকিনের বিকল্প হতে পারে। পাশাপাশি মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের সবচেয়ে ভালো দিক হলো এটি স্বাস্থ্যসম্মত ও এতে কোনোভাবেই পরিবেশ নোংরা হয় না। পাশাপাশি এটি বেশ সাশ্রয়ী ও বটে।
এখন দেখার দেশের অন্যান্য প্রান্ত গুলি কি মুহাম্মার অনুসরণ করেন নাকি ভরসার জায়গা হিসেবে বেছে নেন সিন্থেটিক প্যাডকেই।
It’s a most important progress for women health protection.
নিঃসন্দেহে বছরের প্রথম ইতিবাচক খবরটা পড়লাম। এই কাপ সম্পর্কে আরো বিশদে জানতে চাইবো।
Valo udyog.. informatics article