তিলোত্তমা কোনোদিন ফিরবে না। এটা আমরাও জানি, ওর বাবা মাও জানে। তবুও মানুষ দুটো চোখের জল চেপে রেখে দৌড়ে বেড়াচ্ছে বিচারের আশায়। সাতমাস পরেও মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট পাননি। সমস্ত অপরাধী ধরা পড়লেও, এই বাবা মায়ের ঘরে তাদের মেয়ে কোনোদিন ফিরে আসবে না। এই সত্যি আমরাও জানি, ওনারাও জানেন।
একটা প্রশ্ন নিজের কাছে করুন তো, ওনার সব হারিয়ে কেনো এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন? লড়াই এর পরে ওনাদের প্রাপ্তি শূন্যই থাকবে। মেয়ে ফিরবে না।
তবুও কেন লড়ছে?
ওনাদের মৃতা মেয়েকে আপনারা নিজেদের মেয়ে ভাবছেন কিনা জানিনা, তবে সারা দেশের সন্তানদের ওনারা নিজেদের সন্তান ভাবছেন। ওনারা লড়ছেন আপনাদের সবার সন্তানের সুরক্ষার জন্য। আপনাদের কাউকে যেন সন্তানহারা না হতে হয়। ওনারা লড়ছেন আপনাদের লড়াই।
এবার আপনাদেরই ঠিক করতে হবে, আপনার সন্তানের সুরক্ষার যে লড়াই তিলোত্তমার বাবা মা লড়ছে, আপনি সেই লড়াইয়ে সঙ্গে থাকবেন কিনা। যতদিন না বিচার মেলে ততদিন রাস্তায় থাকবেন কিনা।
যদি থাকেন তাহলে এটাই প্রমাণ হবে আপনারা শুধু সন্তানের জন্মই দেননি, দায়িত্বশীল পিতা মাতাও হতে পেরেছেন।
যাদের সন্তান চিরতরে হারিয়ে গেছে তারা যখন হতাশ নয়, তখন আপনার হতাশার বিলাসিতা সাজে না। আপনাদের সন্তান এখনো জীবিত আছে। এখনই তাদের সুরক্ষার লড়াইয়ে শামিল হোন। এখন বসে থাকলে বড্ড দেরি হয়ে যাবে। আগুন লাগার পরে কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে কোনো লাভ নেই। যারা এই লেখা পড়লেন, তারা একবার নিজের সন্তানের মুখের দিকে তাকান। তাকিয়ে ভাবুন এই মুখটা মৃত অবস্থায় দেখলে আপনার ঠিক কেমন লাগবে।
এটা ভাবতে পারলেই আপনি উত্তর পেয়ে যাবেন। তিলোত্তমার ন্যায় বিচারের আন্দোলনে আবার রাজপথে নামবেন, নাকি ধুর কিছুইতো হলো না বলে ঘরে বসে থাকবেন। আমরা রাজপথেই আছি। যদি আসেন দেখা হবে।
অপূর্ব 🙏🙏