। ধিক!!
আঠারোয় মেরে দিলে? ভোট বুঝি এমনই বালাই?
যে ছেলেটা মরে গেলো আমারই রক্ত সে, পুত্র বা ভাই।
বি জে পি করেই যদি, এ স্বাধীন দেশ, তোমাদের বলার কি আছে?
কি লাভ সে ভোট করে, আঠারোরা এই দেশে যদি নাই বাঁচে?
জানি জানি ও তোমার দলে ছিলো না, ওর মুখে শ্রীরামের জয়,
তা বলে শত্রু নাকি? গদি যাওয়া আসা কোনো বড় কথা নয়,
আজকে রয়েছো তুমি, কাল অন্য কেউ আসবে সেখানে ঠিক,
তাই বলে গুলি খেয়ে মরবে যুবক? ভোট দিয়ে খুন হবে আমনাগরিক?
এ কোন বাংলা দেখি রক্তের দাগ লাগা গোটা ম্যাপ জুড়ে?
ওই তরুণের সাথে আমাদের সম্মানও চিতার আগুনে দিলে ছুঁড়ে,
সুখ তো কবেই গেছে, ফেরত দেবেনা কোনো দল সেটা জানা,
তাই বলে আঠারোর লাশ নেবো কাঁধে? মা’র কোল খালি হবে ভোট দিলে হানা?
‘ আমাদের কেউ নয়, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মৃত’ , সেই বিবৃতি এসে যাবে এরপরে।
এ গণতন্ত্রে ধিক, যার ভোট উৎসবে আঠারোরা গুলি খেয়ে মরে।
আমাদের আজ কাল পরশুতে তোমরা বাড়াবে শব জানি সংখ্যাতে,
বাম ঘাস বিজেপি’র আঠারোরা সাবধান, জান চলে যেতে পারে ভোটের আঘাতে।
যে প্রতীক বেছে নিক এই আঠারোরা, বাংলার সন্তান নেই দুধেভাতে।
আর্যতীর্থ