সবার ব্যথা মুছতে যেতো একটা মানুষ।
যে সব ব্যথার হয় না ওষুধ অ্যানালজেসিক,
যে বিষবেদন কমবে কিসে জানেই না কেউ সেটা সঠিক,
তেমন ব্যথাই না সারালে একটা মানুষ হতো না খুশ,
ভরসা দিতো সবার বুকে, ‘হতাশ হয়ে হারলে হবে?
বলছি উপায়, একটু শোনো, কেমন করে লড়তে হবে।‘
একটা মানুষ, হাসতো খুবই, আর হাসাতো আড্ডাখানায়
তার শরীরে তার চেহারায় কেমন করে কষ্ট মানায়?
মৃত্যু যখন ডাকলো তাকে, একে একে বিকল হলো সকল স্নায়ু,
তখনো সে হাস্যমুখে সবার সাথে ভাগ করে নেয় বাকি আয়ু।
আজকে তাকে স্মরণ করে সবাই শোকে।
মৃত্যু, এতই লাগলো ভালো সুব্রতকে?
সুব্রত দা, ওরফে টাকো, রসিকতার ভাঁড়ার সহ,
মুছে গেলো জীবন থেকে, কষ্ট সয়ে দুর্বিসহ।
হাত আর পায়ের শক্তি গেলো ক্রমে কমে,
বলতে কথা টান পড়ে যায় শ্বাসের দমে,
তবুও একবগ্গা এত, হামেশা মুখ পুবের দিকে,
একটা মানুষ, মুখের হাসি করেনি যার কষ্ট ফিকে।
সুব্রত বা টাকোদাতে বাদ থেকে যায় চিত্র,
সু-ব্রতী সে বরাবরের, সাধারণের থেকে পুরো ভিন্ন সে চরিত্র..
ডাকবে মানুষ, চিনবে মানুষ অন্য নামে তাকে। ‘ব্যথাহরণ মিত্র’।
অসাধারণ।