একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান এর বেতন ১০০০০।
কনসোলিডেটেড।
একজন ডাক্তারের বেতন ৮৪০০/১০৫০০ টাকা (৪/৫ সপ্তাহ হিসেবে)। ৭০০x৩=২১০০ টাকা সপ্তাহে।
ভাবছেন কি সব লিখছি?
ধুস্… লিখেছেন মাননীয় রেজিস্ট্রার … ইংরেজি ভাষায় …
কোথাকার রেজিস্ট্রার?
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
কোলকাতা ৭০০০৩২।
বিজ্ঞাপনে কোথাও পাছার থুড়ি ছাপার ভুল আছে মনে হয়?
মনে হয় না।
কিন্তু হঠাৎ এই এত বেশি পরিমাণে রেমুনারেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেউ নেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে, তাকে কি সাধুবাদ না জানিয়ে পারা যায়?
অতএব,
সাধু! সাধু!
তেনার ঘরের কাজ করাবেন, অতএব যা ইচ্ছে খুশি রেমুনারেশন (স্যালারি বলতে গিয়ে বোধহয় একটু লজ্জাটজ্জা পেয়েছিলেন!) দিতে পারেন! কার কি বলার আছে?
তাহলে লিখতে বসলাম কেন?
বসলাম এই কারণেই – আপনাদের হঠাৎ ডাক্তারের প্রয়োজন পড়ল কেন?
বিজ্ঞাপনে দেখলাম – চোখের, নাক কান গলার আর চামড়ার ডাক্তার চেয়েছেন মহামান্য রেজিস্ট্রার।
তাও আবার বিশেষজ্ঞ!
আপনাদের যখন চোখই নেই, নাক কানই নেই, গলা বাড়িয়ে দিয়ে কি করে হঠাৎ ভেবে বসলেন যে আপনাদের চামড়া আছে?
একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার,
যদ্দুর জানি তার অন্তত সমাজের দু’চারটে দিক নিয়ে মিনিমাম জ্ঞান থাকার কথা!
যতদূর মনে হয় – আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একজন সাধারণ মানুষও জানেন – একজন ঘরের কাজ করা মানুষ কত বেতন নেয়!
একজন ড্রাইভার কত বেতন নেয়!
সেখানে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ করতে চেয়ে এই রেমুনারেশন টা কি খুব বেশি হয়ে গেল না?
মাননীয় রেজিস্ট্রার, একটু ভেবে দেখবেন!
যাকগে…
একটা ন্যায্য দাবি পেশ করব –
কেউ যদি এই পোস্টে জয়েন করে , তাহলে প্লিজ একটু জানাবেন।
আর একটি অনুরোধ –
আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে শুনেছি ক্যাম্পাসিং এ চাকরি হয় খুব।
বড় বড় বেতনের চাকরির খবর আসে মাঝে মাঝে।
আমার দু’একজন পার্ট টাইম ইঞ্জিনিয়ার দরকার।
রেমুনারেশন না, বেতন দেব।
সপ্তাহে ২১০১ টাকা দিতে পারব!
কিছু ব্যবস্থা হবে?
কাজ তেমন কিছু করাব না।
ওই একটু বাড়ির ইলেকট্রিসিটি, ইলেকট্রনিক্স এর জিনিসপত্র, জলের পাইপ এইসব দেখেশুনে রাখবে!
ড্রাইভিং জানলে তো কথাই নেই!
আর হ্যাঁ – আমার একজন রেজিস্ট্রারও খুব দরকার!
কনসোলিডেটেড বেতন – ১০০০১ টাকা।
তাকে ক্লাস থ্রি র যোগ বিয়োগের অঙ্ক শেখাব আর ওই একটুখানি কাঁচা বাজার করাব।
হবে না?
দরখাস্ত করতে হবে না…যাদবপুরের আইডি কার্ড আর আধার কার্ড নিয়ে যোগাযোগ করলেই হবে!