নব্বই এর দশকে আফগান রাজনৈতিক অস্থিরতার ভ্যাকুইয়ামের মধ্যে জন্ম নেয় তালিবান গোষ্ঠী। গোটা পশ্চিমী মিডিয়াতে তখন এই “ছাত্রদের” নিয়ে আবেগের কি আতিশয্য। পাস্তু ভাষায় তালিবান মানে স্কলার, ছাত্র। “ছাত্র/ যুবশক্তি” নিয়ে এই আদিখ্যেতা আবেগের কারণটা বোঝা গেল যখন ইউনিকল নামের একটা তেল কোম্পানি হেনরি কিসিঙ্গার (প্রাক্তন বিশেষ সচিব), রবার্ট ওকলে (সেই সময়ের রাষ্ট্রদূত) ইত্যাদির দ্বারা গঠিত রেন্ড কর্পোরেশনের সহযোগিতায় টেক্সাসে আমন্ত্রণ করে বসলেন এই তালিবানদের। বোঝা গেল মার্কিন এই বহুজাতিক তেল কোম্পানি মার্কিন প্রশাসনের সাহায্যে আফগানিস্তানকে আগলে রাখতে চায় যাতে সাউথ, সাউথ ইস্ট এশিয়ার তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইনের ওপর তাদের একচেটিয়া অধিকার বজায় থাকে। বামপন্থী নেতৃত্বের মুশকিল হল যে তারা যখন তাদের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে কোথাও একবার সাম্রাজ্যবাদ ও মৌলবাদে এর গাঁটছড়া এর কথা বলেন তখন আমরা, ওই বিবৃতির সাধারণ পাঠকরা কিছুই বুঝতে পারি না, ওই ভাষ্যের প্রেক্ষিত ধরতে পারি না। আর পারি না বলেই স্বাধীন তাধিন বামেরা তো বটেই এমনকি সংগঠিত বামেরাও পড়শী দেশের ছাত্র আন্দোলন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় মগজের বদলে হৃদয়ের ব্যবহার করে ফেলি। মগজ অকেজো রাখার ফল স্বরূপ জামাতপন্থী চরম প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী ছাত্র নেতার মৃত্যুকে তুলনা করে ফেলি শহীদ ক্ষুদিরামের সাথে। শেখ হাসিনার সরকার, তার দল, তার ছাত্র যুব সংগঠনের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতিবাদ করতে গেলে দেশের ছাত্র যুব সম্প্রদায়কে কেন প্রতিক্রিয়ার শিবিরে, মৌলবাদের শিবিরে, সাম্রাজ্যবাদ এর শিবিরে গিয়ে দাঁড়াতে হবে, সে দেশের বামপন্থী ছাত্রযুবরা কেন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে আসতে পারছেন না এসব আলোচনায় না গিয়ে রাজাকারদের বর্তমান সংস্করণদের-কে আমরা প্রায় লাল সেলাম দিয়ে ফেলছি। আমার দেশে ও পড়শী দেশে বামপন্থীদের স্বতন্ত্র কন্ঠস্বর বেঁচে থাকুক, হয় তুমি এদিকে নয় তুমি ওদিকে মার্কা বাইনারী থেকে দেশকে, জাতিকে, এই উপমহাদেশকে বাঁচাতে পারে কেবল বামপন্থা এই বিশ্বাস এই প্রত্যয় ফিরে আসুক। নিচের বিবৃতির প্রত্যেকটি লাইনের সাথে সহমত।
কেন’ লাল সেলাম ‘ এই শব্দ বন্ধনে এতো জ্বালাপোড়ার কী আছে!!😊
এতে যে কত লুকোনো প্রেম সূক্ষ্মতর গভীরতার বেদনাবোধ তীব্র। পরবতী কালের গর্জন অধিকার সারা পৃথিবী জুড়ে সমাহিত অন্তরে অন্দরে সে তো যেজন জানে সেজন বুঝে
দরজা বন্ধ করে বসে আছে।
‘লাল সেলাম’ প্রেম ।তাই তার অপাত্রে বিনোদন নয়।
এই রাজাকার মিডিয়ার খেয়ায়
স্পষ্ট করে বাইনারী বুঝে
‘পরদেশী মেঘ তুমি যাও রে ফিরে’……
বলিও আমার প্রিয়তম রে
সাম্প্রতিকদায়িকতায় এক হয়ো না কখনও ।