“ব্যথার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে” এ সময়কার বিশিষ্ট চিকিৎসক সুব্রত গোস্বামী যিনি পেইন ম্যানেজমেন্ট এর মতন আধুনিক চিকিৎসাকে প্রথম বাংলার মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন, তাঁর চোখ দিয়েই তাঁর জার্নির খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ তুলে ধরা হয়েছে এখানে। যেমনভাবে বিন্দুর মধ্যে সিন্ধুর প্রকাশ পায়, তেমনভাবেই আমরা চেষ্টা করেছি ডাক্তার গোস্বামীর কয়েকটা বছরের কাজের মাধ্যমে তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টাকে ধরার।
প্রথমে কিছু প্রশ্ন তৈরি করি আমরা। শুক্লা সরকার বেশ কয়েকটা ইন্টারভিউ নেয় স্যারের। এরপর সেই বক্তব্য থেকেই অনুলিখন এর মাধ্যমে আমি কাজটা করার চেষ্টা করেছি। ডাক্তার পুণ্যব্রত গুণের পরামর্শে ডাক্তার রাহুল মুখার্জির সাহায্য নিয়ে আমরা যখন কাজটা শুরু করি তখনই ডাক্তার গোস্বামী অনেকটাই অসুস্থ। তবুও প্রয়োজনে বারবার ওনাকে বিরক্ত করেছি।
কাজটি করে দুটি অমূল্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে জীবনে। প্রথমটি, ডাক্তার সুব্রত গোস্বামীর চোখ দিয়ে হলেও ভিন্ন এক সময়কে খুব কাছ থেকে জানতে পেরেছি। অন্যটি হলো, এত কিছু কাজ করেও কিভাবে বিনয়ী থাকা যায় তা বুঝতে পেরেছি!
বইটি একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ডক্টরস’ ডায়লগ ও প্রণতি প্রকাশনীর অনুষ্ঠানে প্রকাশ পেয়েছে। সুব্রতদা একজন অসাধারণ মানুষ। এই কর্মযোগীকে যতবার দেখি আশ্চর্য হয়ে যাই তাঁর ইচ্ছেশক্তির উড়ান দেখে। এরকম অসুস্থ প্রায় চলৎশক্তিহীন অবস্থাতেও মানুষটি অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন, করে চলেছেন।
বইটি প্রণতি প্রকাশনী ও শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ থেকে পাওয়া যাচ্ছে।
পুনশ্চ: “ব্যথার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে” আমার প্রথম প্রচ্ছদ অলংকরণ। বইটি পড়ে এবং প্রচ্ছদ দেখে কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না প্লিজ।