দেখো চিরকালই নারীরা খেলনা, ফ্যালনাও বলা চলে,
ধর্ষিত হয়ে মরে টরে গেলে তবে লোক কথা বলে।
কথাটা দেখো না, ধর্ষিত ‘ হওয়া’, নারীই কর্তৃবাচ্য,
দায় সব তারই, সুতরাং দোষও, পুরুষ কোথায় পাচ্ছো?
ভালো নারীদের সংজ্ঞা ব্যাখ্যা সবই পুরুষের হাতে,
খারাপের মানে হতে পারে মেয়েটা বাড়ি ফেরে মাঝরাতে।
দর্শিত হলে স্তন-বিভাজিকা, সেটা নাকি পুং- টোপদান
কোঁত করে গিলে বেচারি পুরুষ অসহায় হয়ে ছুঁতে চান।
বোরখা এবং বিকিনিরা জানে আড়ালে সুযোগ পেলে,
পুরুষাঙ্গের ক্ষমতার ক্ষত দেহে একইভাবে মেলে।
শিকারের ক্ষুধা শিকারই জাগায়, শিকারীর যদি দাবী,
দায়স্বীকারের অনুরোধ করে তবে নেই কোনো লাভই।
ধর্মগ্রন্থে রেখেছে পুরুষ নারীকে কামিনী করে,
যেন না থাকলে তনুমন ঢেলে জপা যেতো ঈশ্বরে।
নারীরা অমুক, নারীরা তমুক, আশরীর আদিরিপুময়
‘ছোটোখাটো ভুল’ হয়ে গেলে ওটা হরমোন ছাড়া কিছু নয়।
ভাবনা ভুলাতে ঘুরুক বাচ্য, পুরুষেরা হোক কর্তা,
নারী ধর্ষিত , শুনে মনে হয় সে-ই ডেকে আনে ঝড়টা।
পুরুষ করেছে ধর্ষণ বলে কেন বলো লেখা যায় না,
অপরাধ যেন নিজে থেকে ঘটে, অপরাধীদের দায় না।
বাচ্য বদলে হয়তো সমাজে মুখোমুখি হবে আয়না।