ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর সম্মানিত সদস্য হওয়া সত্ত্বেও, সেই একাডেমির নিজস্ব জার্নালে পেপার জমা করার পরে তাঁর পেপার (গবেষণাপত্র) খারিজ হয়ে যাওয়া – ব্যাপারটা অপমানজনক তো বটেই, বেশ বিরলও। লিনাস পলিং-এর ভিটামিন সি দিয়ে ক্যানসার সারানোর পেপার যখন রিজেক্টেড হয়ে গেল, একাডেমির পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে সেই প্রত্যাখ্যানের ঘটনাটি মাত্র সেরকমের চতুর্থ প্রত্যাখ্যান – এবং, এমন বেইজ্জতি পলিং-এর মাপের বিজ্ঞানীর সম্মানের পক্ষে বেমানান।
কিন্তু, যেকথা দিয়ে আগের পর্ব শেষ করেছিলাম, চিন্তাভাবনা থিতোনোর সুযোগ না দিয়ে অপরিপক্ক অবস্থাতেই তাড়াহুড়ো করে প্রকাশ্যে পেশ করে বেইজ্জত এর আগেও পলিং হয়েছেন – এবং সেই ঘটনার সাথে ভিটামিন সি-এর কোনোই যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু, কাকতালীয়ভাবে, সেখানেও জড়িয়ে ছিল সেই ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর জার্নালটিই (প্রসিডিংস অফ দি ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস) – এবং, প্রত্যাখ্যান নয়, সেক্ষেত্রে পেপারটি প্রকাশিত হয়েছিল।
ইতিমধ্যে যদি দ্বিতীয় পর্বটা পুরোপুরিই ভুলে গিয়ে থাকেন, তাহলে মনে করে দেখুন, বিজ্ঞানে লিনাস পলিং-এর অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদানের একটি – প্রোটিনের সেকেন্ডারি স্ট্রাকচার আবিষ্কার। দেহের ভিতরের জৈবরাসায়নিক পদার্থের সাধারণ রসায়নটুকু বুঝে ওঠা-ই শেষ কথা নয়, তাদের ত্রিমাত্রিক গঠনটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ – পলিং-এর এই আবিষ্কার ও তার থেকে প্রাপ্ত এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যে পরবর্তী সময়ের জৈবরসায়নের গবেষণায় কতখানি সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে, সে নিয়ে বিশদ আলোচনায় যাওয়ার সুযোগ এই লেখায় নেই – কিন্তু, সে গবেষণার গুরুত্বটা মনে রাখা জরুরী ।
কিন্তু, ঠিক সেইসময় বিজ্ঞানীদের সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, ডিএনএ-র গঠন নিয়ে বিশদে জানা। কোষের ভিতর নিউক্লিয়াস, নিউক্লিয়াসের ভিতর ডিএনএ – আর তার মধ্যে লুকিয়ে আছে জীববিজ্ঞানের অনন্ত রহস্য সমাধানের চাবিকাঠি। অথচ, সেই চাবিকাঠির হদিশ পেতে হলে ডিএনএ-র গঠনপ্রকৃতি তো না জানলেই নয়। মুশকিল, পিউরিন-পিরিমিডিন-শর্করা- নিউক্লিওটাইড-ফসফেট গ্রুপ ইত্যাদি উপাদান দিয়ে ডিএনএ-এ অনেকখানি তৈরী – সেসবের আঁচ পাওয়া গেলেও, শেষমেশ বস্তুটা ঠিক কেমন দেখতে, সে নিয়ে কিছু ধারণাই মিলছিল না। ঠিক কোন পথ দিয়ে খোঁজ করা যেতে পারে – মস্ত লম্বা ডিএনএ নিউক্লিয়াসের মধ্যে এঁটে যায় কী করে – সে বিষয়ে পলিং-এর সেকেন্ডারি স্ট্রাকচারের ধারণা অনেকখানিই সাহায্য করছিল, কিন্তু নির্ভুল গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছিল না।
পঞ্চাশের দশকের শুরুর দিক – কেমব্রিজে বসে জেমস ওয়াটসন আর ফ্রান্সিস ক্রিক ডিএনএ-র গঠনের রহস্যভেদে অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়েছিলেন – বিশেষ করে মরিস উইলকিন্স আর রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফি করে তাঁদের কাজটা বেশ কিছুটা সহজ করে দিয়েছিলেন – কিন্তু, কাজটা তখনও পুরো শেষ হয়নি।
এমন সময়, প্রায় আচমকাই, ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর জার্নালে প্রকাশিত হল লিনাস পলিং-এর পেপার – যাতে তিনি দাবী করলেন, ডিএনএ, আদতে তিনটি ফিতে জুড়ে তৈরী – পলিং-প্রস্তাবিত ট্রিপল হেলিক্স – রীতিমতো চমকপ্রদ সে মডেল। কিন্তু, তার বছরখানেকের মধ্যেই ওয়াটসন-ক্রিক-এর ডাবল হেলিক্স মডেল প্রকাশিত হল – বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর একটি – স্বভাবতই, বাতিল হয়ে গেল পলিং-এর প্রস্তাবিত ট্রিপল হেলিক্স – আর, রাতারাতি জগদবিখ্যাত হয়ে গেলেন জেমস ওয়াটসন আর ফ্রান্সিস ক্রিক – বিজ্ঞানের ইতিহাসে অবহেলিতা নারী – যাঁদের সংখ্যা কম নয় – তাঁদের মধ্যে একজন হিসেবে স্মরণীয় রয়ে গেলেন রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন।
পলিং-এর ট্রিপল হেলিক্স যে ধোপে টিকল না, সে কোনো বড় কথা নয় – বিজ্ঞানী বা তাঁর গবেষণা ভ্রান্ত প্রমাণিত হতেই পারেন – বিজ্ঞানের ইতিহাসই আগের গবেষণার খামতি অতিক্রম করে পরের সত্য উন্মোচনের। কিন্তু, লিনাস পলিং-এর প্রস্তাবিত ট্রিপল হেলিক্স তত্ত্বের গুরুত্ব এখানেই, যে এই গবেষণাপত্রের মধ্যে দিয়ে তাঁর চরিত্রের একটা বিশেষ দিক ফুটে ওঠে – যেদিকটা ধরতে পারলে তাঁর ভিটামিন-ম্যানিয়ার গতিপথটা অনুধাবন করতে সুবিধে হয় – ভিটামিন সাপ্লিমেন্টের ইতিহাস বলতে গিয়ে ট্রিপল হেলিক্সে পৌঁছানোর কারণ এটাই।
ডাবল হেলিক্স এসে ট্রিপল হেলিক্স বাতিল হওয়ার সাথে সাথেই জানা গেল, তত্ত্ব দাঁড় করানোর পেছনে লিনাস পলিং-এর দীর্ঘমেয়াদী কোনো অনুসন্ধান ছিল না। যে পলিং প্রোটিনের সেকেন্ডারি স্ট্রাকচার নিয়ে ভাবনাচিন্তায় ব্যয় করেছিলেন এক দশকেরও বেশী সময়, তিনি ট্রিপল হেলিক্স তত্ত্ব দাঁড় করানোর পেছনে সময় দিয়েছিলেন মাত্র মাসকয়েক – এবং, তত্ত্বটা দাঁড় করানো হয় গোঁজামিল দিয়ে। জেমস ওয়াটসন – ডাবল হেলিক্সের অন্যতম আবিষ্কর্তা – তিনি যে রেখেঢেকে কথা বলায় তেমন বিশ্বাস করেন না, সে তাঁর দ্য ডাবল হেলিক্স বইখানা পড়লেই বোঝা যায় – সম্প্রতিকালেও জিনের হিসেব কষে মানুষের মধ্যে উচ্চ-নীচ শ্রেণীবিভাজনের তত্ত্ব নিয়ে মুখ খুলে বিস্তর বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন – তিনি পলিং-এর তত্ত্ব নিয়ে সোজাসুজিই বলেন, শেষমেশ নোবেল লরিয়েট রসায়নবিদ হাইস্কুলের কেমিস্ট্রিই ভুলে বসলেন!! সেখানেই থামলেন না – বললেন, আরে, ক্যালটেকের ছাত্ররা যদি এই ভুলভাল পেপার লিখত, তাহলে তাদের তো স্কলারশিপ বাতিল হয়ে যেত – প্রসঙ্গত, লিনাস পলিং ছিলেন ক্যালটেক-এর প্রফেসর।
বিজ্ঞানীমহলে তাঁকে নিয়ে তীব্র ছিছিকার দেখে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন পলিং-এর স্ত্রীও – আভা হেলেন – বললেন, সমস্যাটা যদি এতখানিই জটিল, এই প্রশ্নটার উত্তর পাওয়া যদি এতখানিই গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে তুমি আরেকটু সময় দিলে না কেন এর পেছনে!!
মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক, আদতে লিনাস পলিং মানুষটা একটা বিরাট প্রহেলিকা – যিনি নিঃসন্দেহে জিনিয়াস – কেরিয়ারের শুরুতেই ছকভাঙা ভাবনার পরিচয় রাখেন, যেমন কিনা তাঁর রাসায়নিক বন্ডের তত্ত্ব – দীর্ঘমেয়াদে লেগে থেকে খুঁড়ে আনেন চমকপ্রদ গবেষণা, প্রোটিনের সেকেন্ডারি স্ট্রাকচার – অসামান্য উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় পদে পদে, যার স্বাক্ষর তাঁর জেনেটিক মিউটেশন ধরে খুঁজে বিবর্তনের ইতিহাসে নতুন দিশার হদিশ দেওয়া – আবার তিনিই, সেই একই মানুষ, গভীরভাবে না ভেবেই নিজস্ব তত্ত্ব খাড়া করে বসেন, ট্রিপল হেলিক্স – তথ্যপ্রমাণের তোয়াক্কা না করেই নিজের ধারণাকে যে করেই হোক খাড়া করার চেষ্টা করেন – যার প্রমাণ সর্বরোগহর ভিটামিন সি মেগাডোজ নিয়ে তাঁর দীর্ঘ পঁচিশ বছরব্যাপী প্রচার।
ক্যানসার দুরারোগ্য – এবং আরোগ্যের সম্ভাবনা যখন থাকে, তখনও সেই পথ জটিল। কাজেই, ক্যানসারের চটজলদি সমাধান কেউ হাজির করলে জনপ্রিয়তা পেতে অসুবিধে হয় না। এই যেমন ধরুন, অতি সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ মারফত একটি পোস্ট প্রচুর ফরোয়ার্ড হচ্ছিল – ক্যানসার থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়। মুখ্য উপপাদ্য ছিল, অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ের তমুক ডাকসাইটে প্রফেসর নাকি জানিয়েছেন, খাবার থেকে শর্করা বা চিনি বাদ রাখলেই ক্যানসারের নিরাময় সম্ভব, কেননা ক্যানসার কোষের বেঁচে থাকার জন্য শর্করা জরুরী এবং স্রেফ শর্করা থেকে বঞ্চিত করেই ক্যানসারের সহজ নিরাময় সম্ভব। এবং, ক্যানসার-চিকিৎসার সাথে যুক্ত বৃহৎ কোম্পানিরা এই তথ্য চেপে যেতে চান, কেননা এই সরল সমাধান সবাই জেনে গেলে কোম্পানিদের ব্যবসা মার খাবে (যেকোনো আজব দাওয়াই-এর উপকারিতা বোঝাতে মাঝেমধ্যেই এই কথাখানি জুড়ে যেওয়া হয় কিছুটা বাড়তি ষড়যন্ত্র আর গভীর চিন্তনের ফ্লেভার আনতে – মূলধারার কোম্পানিগুলো এই আশ্চর্য ভাবনাকে চেপে যাচ্ছে স্রেফ মুনাফা মার খেয়ে যাবে এই টেনশনে – হ্যাঁ, এরকম চেপে দেওয়ার ঘটনা অনেকসময়ই ঘটে, একথা সত্য – কিন্তু, তার মানে এই দাঁড়ায় না যে, গল্পের ভুয়ো দাওয়াইখানাও সত্যি!!)। কথাটা একনজরে শুনতে দারুণ লাগে – সত্যিই তো, স্রেফ খাবার বন্ধ করে দিয়েই যদি ক্যানসার কোষকে মেরে ফেলা যায়, তার চাইতে ভালো আর কী-ই বা হতে পারে!! কিন্তু, এমন তত্ত্বের পেছনে প্রবল সদিচ্ছে থাকলেও যুক্তি বিশেষ নেই – কেননা, ক্যানসার কোষ বা সুস্থ কোষ, বেঁচে থাকতে খাবার উভয়েরই প্রয়োজন – সে খাবারের ধরণে ফারাকও বিশেষ নেই – ক্যানসার কোষ বেশী দ্রুত বিভাজিত হয় বলে খাবারের প্রয়োজন তার বেশী, ফারাক বলতে এটুকুই – কাজেই খাবার বন্ধ করে আলাদাভাবে ক্যানসার ঠেকানো সম্ভব নয় – একমাত্র যদি না খাবার বন্ধ করে রোগী ও তাঁর ক্যান্সার উভয়কে একইসাথে মেরে ফেলার পরিকল্পনা হয়। কিন্তু, তর্ক করে এধরনের অবিজ্ঞানকে ঠেকানো দুষ্কর – কেননা, এঁরা কথা বলেন বিশ্বাসের ভিত্তিতে, তথ্যপ্রমাণের উপর ভর করে নয়।
লিনাস পলিং-ও যখন গতশতকের সাতের দশকে শুরুতেই দাঁড়িয়ে বলছিলেন, স্রেফ ভিটামিন সি মেগাডোজ দিয়েই দেশ তথা বিশ্বের মোট ক্যানসারের সংখ্যা দশ শতাংশ কমিয়ে ফেলা সম্ভব, তিনিও কথা বলছিলেন তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই। কাজেই, তার বছরকয়েকের মধ্যেই সেই দশ শতাংশ যখন বাড়তে বাড়তে একেবারে পঁচাত্তর শতাংশে পৌঁছে গেল – অর্থাৎ ভিটামিন সি মেগাডোজ দিয়ে ক্যানসারের সংখ্যা শতকরা পঁচাত্তর ভাগই কমিয়ে আনা সম্ভব – তখনও, আগের মতোই, তথ্যপ্রমাণের ব্যাপার কিছু ছিল না – খেয়ালি পোলাও-এ ঘিয়ের অভাব রাখার মানে হয় না, কাজেই, মনগড়া কথা বলতে হলে দশ শতাংশের চাইতে পঁচাত্তর শতাংশই বেটার।
কিন্তু, ছুটকো ক্যানসার নির্মূলের টোটকার দাবীদারদের (যাঁরা তখনও ছিলেন, এখনও আছেন – নিশ্চিতভাবেই থাকবেন, যদ্দিন না ক্যানসারের নিশ্চিত সমাধান মিলছে) থেকে লিনাস পলিং-এর দাবীর ফারাক বিস্তর – আর সেজন্যেই আমাদের ভিটামিনপ্রেমের ইতিহাস শোনাতে বসে লিনাস পলিং-এর বাইরে বেরোতে পারছি না।
প্রথমত, বিভ্রান্তিকর দাবীটা তুলছিলেন স্বয়ং লিনাস পলিং – যিনি গতশতকের অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানীই শুধু নন, সেই সময়ে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পাব্লিক ইন্টেলেকচুয়াল – যাঁর ক্রিয়াকলাপ বিজ্ঞানের পরিসর পার হয়ে জীবনের অন্য ক্ষেত্রেও বিস্তৃত – এবং যিনি রাষ্ট্রশক্তির আধিপত্যের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার, জাগ্রত বিবেক – তাঁর কথার অভিঘাত আর পাঁচজনের চেয়ে আলাদা।
দ্বিতীয়ত, তাঁর এই বিভ্রান্তিমূলক প্রচারে সরাসরি লাভবান হচ্ছিলেন বৃহৎ কর্পোরেট – ভিটামিন প্রস্তুতকারক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি। পলিং-এর তত্ত্ব চিকিৎসক-বিজ্ঞানী-গবেষকদের মধ্যে কল্কে না পেলেও, জনমানসে সেই ভাবনার প্রভাব যে গভীর হচ্ছিল ক্রমশই – ব্যক্তি পলিং-এর বিশ্বাসযোগ্যতার পাশাপাশি, তার অন্যতম কারণ কর্পোরেট আনুকূল্যের অভাব তাঁর হচ্ছিল না। ভিটামিন প্রস্তুতকারক রাসায়নিক কোম্পানিদের প্রভাব পলিং-এর আগেও ছিল না, এমন নয় – কিন্তু, তাঁর লাগাতার প্রচারের বাতাস পালে লাগিয়ে, সেইসময় থেকে তাঁরা যেরকম অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন, তেমনটা আগে হতে পারেনি – তাঁদের নিজেদেরই ভাষায়, দ্য লিনাস পলিং এফেক্ট।
আর, এই দ্বিতীয় কারণটাই আরো খতিয়ে দেখা দরকার, কেননা সেই সময় থেকে ভিটামিন প্রস্তুতকারকদের বাণিজ্য যে দুর্বার গতিতে এগোতে শুরু করেছে – বিপরীতে ঢালাও তথ্যপ্রমাণ সত্ত্বেও, এমনকি সাপ্লিমেন্টের বিপদ বিষয়ে একাধিক নির্দেশিকা সত্ত্বেও, সে গতি আজও এতটুকু প্রতিহত হয়নি – আমি-আপনি বা তাগড়াই স্বাস্থ্যের খেলোয়াড়, সবাই ভিটামিন সাপ্লিমেন্টের মোহে অন্ধ হয়ে আছি – ফুলে উঠছে কোম্পানির মুনাফার অঙ্ক।
(চলবে)