লামহাটা থেকে বেরোনো মাত্রই বৃষ্টি শুরু হলো। ওদিকে আমাদের গাড়ি দাঁড়িয়েছে আধ মাইল দূরে। আধ ভেজা হয়ে গাড়িতে উঠলাম।
এরপর সেখান থেকে সোজা তিনচুল। তিনচুলে ঢোকার আগেই চা বাগানে দাঁড়ালাম। ফোটো টটো তোলা হল।
তিনচুলে ঢোকার রাস্তাটি ভারি সুন্দর। দুপাশে বড় বড় গাছে ছাওয়া।
তিনচুলের পর তাকদা। সেখানে অর্কিড হাউসে গিয়ে দেখি বন্ধ।
কী আর করা যাবে। একটু এগোতেই তিস্তার দেখা পেলাম। এবার রাম্ভী।
চিন্ময় নাথ দাদার ‘তিস্তা পারের হাসপাতালে’ পড়ে রাম্ভীর সাথে পরিচয়। রাম্ভী হাসপাতাল, হাসপাতাল পেরিয়ে তিস্তা নদীর উপর দিয়ে ব্রিজ সবই চিনতে পারছিলাম। তবে সেই নির্জন রাম্ভী আর নেই। অনেক দোকানপাট চোখে পড়ল। গাড়ি থামিয়ে চা খেলাম।
তারপর পথ আর ফুরায় না। রাস্তার অবস্থা বিশেষ ভালো না। অবশেষে বিকেল চারটেয় মিডিল সিতং-এ আমাদের অতিথি হোম স্টে তে পৌঁছালাম। যা খিদে পেয়েছিল… একেকজন ডবল ভাত খেলাম।
আজ আবার বড় মেয়ে সানাইয়ের জন্মদিন। অতিথি নিবাসেই কেক কাটা হলো। তারপর থেকে খেয়েই যাচ্ছি। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পেঁয়াজি, চিকেন কাবাব। এখন আবার রাতের খাবার খেতে ডাকছে।