প্রান্তিক এবং বস্তি, ঝুপড়িতে থাকা মানুষেরা যারা আমাদের জন্য সমস্ত “নীচু” কাজগুলো করে দেয়, যারা দিন আনে দিন খায় এবং যাদের রোগাক্রান্ত হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তারা এই ২১ দিনের লকডাউনের সময় (যা ভারতের মানুষকে বাঁচাতে গেলে অবশ্য করণীয়) খাবে কি?
এদের মাঝে সংক্রমণ ছড়ালে দাবানলের মতো ছড়াবে। সমাজের বাকি মানুষরা সংক্রমিত হবে। সে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি হবার সম্ভাবনা থাকছে। আমরা আগ্নেয়গিরি শিখরে পিকনিকের অবস্থায় রয়েছি।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প হলেও ১০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনো কোন পদক্ষেপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছেনা।
আজ পারস্পরিক দোষারোপের দিন নয়। ভয়ংকর শক্তিশালী এক প্রায় অজানা শত্রুর বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই। অন্তত বিভিন্ন অ-সরকারি সংগঠন এবং সরকারের বিভিন্ন ফান্ড কিভাবে সাহায্য পোঁছে দিতে পারে মাথায় রাখা দরকার।
কিন্তু জনস্বাস্থ্য এবং সামাজিক দিক থেকে এ মানুষদের কথা ভাবতেই হবে। আমরা চাইবো কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়েই এদের ব্যাপারে আলাদা করে পরিকল্পনা করুক।
এটা এই কঠিন সময়ের দাবী।