পাছে মানুষ প্রশ্ন করে মূর্তি হলো আবার কার,
দেখতে না পায় আমনাগরিক স্বপ্ন হলো সাবাড় কার
ইমারতের প্রতীকে তাই একচোখোমির খুঁত-কথন
ঠিক তারিখেই জন্ম বেছে রম্য প্রাসাদ উদ্বোধন,
সাবারমতির কম্মো কাবার, আর প্রয়োজন বাবার কার,
বদলে জনক, করছে জাতি মূলগুলো সব সাবাড় তার।
দেশের প্রধান জনজাতির, যার শেকড়ে দেশের হক
আমন্ত্রণে তাও তিনি বাদ, প্রাসাদ তো স্রেফ রাজার সখ,
উঠতে রাজা, বসতে রাজা, রাজাই বসেন সব সিটে,
আগামী চোখ কচলে দেখে একলা রাজাই ককপিটে,
প্রমাণ করেন রাজামশাই , সবাই পুতুল তাঁর নিছক,
একটি কথাও উল্টো বলে, নেই এ সভায় কারোর ধক।
কোভিডকালের ভাসছে স্মৃতি, বাতাস জুড়ে চিতার খাক
অক্সিজেনের ভীষণ আকাল, নদীর বুকে শবের ঝাঁক,
চলছে তখন নির্বিকারে এক প্রাসাদের ভিত খোঁড়া,
শব্দবিহীন কেউ বলে যায় হাঁপিয়ে বেকার মর তোরা,
দিন-হিসেবে জ্বরের রোগীর সংখ্যারা ছুঁক দু-তিন লাখ
হাহাকারের সে চিৎকারে থামায় না বোল রাজার ঢাক।
মূক ইতিহাস দেখছে বসে সময় হলো যাবার কার,
স্বৈর কেমন যন্ত্রে পিষে বানায় গণ’য়ের যাবার দ্বার,
যাবে কিনা বলবে সময়, যতই থাকুক ভদ্রবেশ,
যন্ত্রণা আর কুমন্ত্রণায় খুলছে ক্রমেই ছদ্মবেশ,
যাই ঘটে যাক মৌন এ যুগ, সাহস আছে ভাবার কার,
ভাবলে পরেও আনলে মুখে, কম্মো হবে সাবাড় তার।
গণ’ই দেশে গৌণ এখন, স্তম্ভরা আজ খাবার কার,
জ্ন্ম দিয়ে এই প্রাসাদের, শেকড় হলো সাবাড় কার?