Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

ফ্রেডরিক গ্রান্ট বান্টিঙঃ কর্ম ও জীবন পর্ব ১৪

IMG-20200803-WA0025
Sahasralochan Sharma

Sahasralochan Sharma

Mathematics teacher and writer
My Other Posts
  • August 20, 2020
  • 6:20 am
  • No Comments

১৯২১ সালেই ‘আমেরিকান ফিজিওলজিক্যাল সোসাইটি’-র নবম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ম্যাক্লাউড। ১৯২১ সালের ২৮, ২৯, ৩০ ডিসেম্বর, ইউএসএ-র কানেকটিকাট রাজ্যের ন্যু হাভেন শহরে বসতে চলেছে সোসাইটির ৩৪তম বার্ষিক অধিবেশন। ইনসুলিন আবিষ্কারের কথা ঘোষণার জন্য সেই অধিবেশনকে পাখির চোখ করলেন ম্যাক্লাউড। এই অধিবেশনে যোগ দেবেন ইউএসএ-কানাডার তাবড় তাবড় চিকিৎসকরা। উপস্থিত থাকবেন ডা. ই.পি. যসলিন, ডা. এফ.এম. অ্যালেন, ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ইলাই লিলির রিসার্চ ডিরেক্টর এইচ. এ. ক্লজের মতো নামজাদা ডায়াবিটিস বিশেষজ্ঞরা। বান্টিঙ ও বেস্টকে এই অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন ম্যাক্লাউড। তিনি বললেন, এই সভায় ইনসুলিন নিয়ে তাঁদের গবেষণার কথা তুলে ধরতে চান তিনি। আগের বারের মতোই অভ্যাগতদের সাথে তোমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রাথমিক একটা রিপোর্ট পেশ করবো আমি। বাকি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করবে তোমরা। ম্যাক্লাউডের প্রস্তাবে সম্মত হলেন বান্টিঙ ও বেস্ট। তাঁদের গবেষণার বিষয় বস্তু নিয়ে লিখতে শুরু করলেন নতুন প্রবন্ধ, ‘দ্য বেনিফিশিয়াল ইনফ্লুয়েন্স অব সারটেন প্যানক্রিয়টিক এক্সট্রাক্ট অন প্যানক্রিয়টিক ডায়াবিটিস’। প্রবন্ধের লেখক হিসেবে নাম রইল বান্টিঙ, বেস্ট ও ম্যাক্লাউডের। প্রবন্ধটা সম্পাদনা করে দিলেন ম্যাক্লাউড। সভায় বক্তব্য রাখার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন বান্টিঙও।

৩০শে ডিসেম্বর ১৯২১, সভার শেষ দিনে ‘দ্য বেনিফিশিয়াল …” প্রবন্ধ পাঠ করলেন ম্যাক্লাউড। এই বক্তৃতায় বান্টিঙ ও বেস্টের ইনসুলিন সংক্রান্ত বিখ্যাত গবেষণার কথা ঘোষণা করেন ম্যাক্লাউড। তিনি ঘোষণা করেন, প্যানক্রিয়াস থেকে একটা বিশেষ নির্যাস ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। ম্যাক্লাউড জানান, প্যানক্রিয়াস নির্যাস আমাদের কাছে প্রস্তুত করাই আছে। এই নির্যাস পরিশোধনের কাজ করছি আমরা এখন। খুব শীঘ্রই পরিশোধিত নির্যাস বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে আসবে।

ম্যাক্লাউডের বক্তৃতা শেষ হবার আগেই, যথারীতি ক্ষুব্ধ বান্টিঙ। ফের ‘আমাদের’ বলছেন ম্যাক্লাউড। কেন, ‘আমাদের’ বলবেন কেন? উনার কি অবদান আছে এই গবেষণায়? [লক্ষ্যণীয় সভায় পঠিত ‘দ্য বেনিফিশিয়াল …” প্রবন্ধের সহলেখক কিন্তু ম্যাক্লাউডও এবং বান্টিঙের অনুরোধেই সহলেখক হিসেবে নিজের নাম ছাপাতে রাজি হয়েছিলেন তিনি। স্পষ্টতই, প্রবন্ধ ছাপানোর সময় ম্যাক্লাউডের নাম ব্যবহার করতে চান বান্টিঙ। কিন্তু অন্যত্র ম্যাক্লাউডকে এক তিল স্থানও ছাড়তে রাজি নন তিনি। বান্টিঙ চান, যতটা স্বাধীনতা তিনি ম্যাক্লাউডকে দেবেন, ঠিক ততটুকু স্বাধীনতাই যেন ভোগ করেন ম্যাক্লাউড। এই সীমার বাইরে তিল মাত্র বেশি স্বাধীনতা বরদাস্ত করবেন না তিনি।] ম্যাক্লাউডের ভাষণে তাই ভীষণ বিরক্ত বান্টিঙ। কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে, ওসব নিয়ে ভেবে উঠতে পারছেন না তিনি। এখন যে তাঁর বক্তৃতা করা পালা। আগের বারে টরন্টোর সভায় সব ঘেঁটে ঘ করে দিয়েছিলেন তিনি। এবার তো আরো বড় সভা। এত বড় আন্তর্জাতিক মানের কোনো সভায়, এত বড় বড় বিশেষজ্ঞদের সামনে আগে কখনও বক্তব্য রাখেন নি বান্টিঙ। ফলে আরোই ঘাবড়ে গেছেন তিনি। এই সভা প্রসঙ্গে বান্টিঙ পরে লিখেছেন, “আমার কাজ সম্পর্কে যখন বলতে বলা হলো আমাকে, আমি অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। না পারছি আমি কিছু মনে করতে না পারছি কিছু ভাবতে। এই রকম শ্রোতার সামনে ইতিপূর্বে কখনও বক্তব্য রাখি নি আমি”।

একেই খুব সুন্দর করে গুছিয়ে বক্তব্য রাখতে পারেন না বান্টিঙ, তার উপর উপস্থিত অভ্যাগতদের দেখে নার্ভাস হয়ে গেছেন তিনি। পরিণতিতে, যথারীতি বক্তৃতার মান ভালো হলো না তাঁর। এবারও শ্রোতার ঠিক মতো বুঝে উঠতে পারলেন না যে ঠিক কি বোঝাতে চাইছেন বান্টিঙ। বান্টিঙের বক্তব্য বুঝতে না পেরে নানাজনে নানা রকমের প্রশ্ন করছেন। প্রশ্ন করছেন নামজাদা বিশেষজ্ঞরাও। নানাদিক থেকে প্রশ্নবাণে তখন জর্জরিত বান্টিঙ। আমতা আমতা করে যা বলতে চাইছেন, কারোরই বোধগম্য হচ্ছে না তা। অগত্যাই হাল ধরলেন ম্যাক্লাউড। মঞ্চে উঠে এলেন তিনি। একে একে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে শুরু করলেন। বান্টিঙ ঠিক কি বলতে চেয়েছেন তা ব্যাখ্যা করে দিলেন তিনি। তিনি বুঝিয়ে দিলেন, কি ভাবে পরীক্ষা শুরু করে এখনও পর্যন্ত ঠিক কি ফল পেয়েছেন বান্টিঙ। ঠান্ডা মাথায় সামালালেন সমস্ত সমালোচনাও।

পরিণত বয়েসে ডা. ক্যাম্বল (বাঁদিকে) ও ডা. ফ্লেচার

এক চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে বান্টিঙকে সামলে দিলেন ম্যাক্লাউড। তাতে কিন্তু মোটেও খুশি হন নি বান্টিঙ। তাঁর বক্তৃতা চলাকালীন, মাঝপথে ম্যাক্লাউডের মঞ্চে প্রবেশ করাকে মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না তিনি। বান্টিঙের ধারণা, তাঁর বক্তব্যর মাঝ পথে নিজের বক্তব্য রেখে, তাঁর স্বপ্নের গবেষণাকে নিজের অনুকূলে ঘুরিয়ে নিলেন ম্যাক্লাউড। ক্রমেই বান্টিঙের এই ধারণাই বদ্ধমূল হলো যে, তাঁদের গবেষণার কৃতিত্বে ভাগ বসাতে চাইছেন ম্যাক্লাউড। গবেষণার সময়ে নিজ হাতে কিছুই তো করেন নি ম্যাক্লাউড। উল্টে বাগড়াই দিয়ে গেছেন সব সময়ে। আর এখন, যেই দেখছেন সাফল্য আসছে অমনি ‘আমাদের গবেষণা’ বলে নিজের নাম জুড়ে দিতে চাইছেন ম্যাক্লাউড- মনে মনে বিড় বিড় করে চলেছেন ক্ষুব্ধ বান্টিঙ।

আসলে, সেই যে সেপ্টেম্বর মাসে, বান্টিঙ আর ম্যাক্লাউডের মধ্যে উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি হয়েছিল, তারপর থেকেই তাঁদের স্বাভাবিক সম্পর্কে মধ্যে চির ধরে গিয়েছিল। তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে তৈরি হয়েছিল গভীর এক ফাটল, জন্মেছিল অনাস্থা, অবিশ্বাস। ম্যাক্লাউড যথেষ্ট ধীর মস্তিষ্কের মানুষ ছিলেন। ফলে তাঁদের সেই ঝগড়া, ম্যাক্লাউডকে যত না প্রভাবিত করেছিল, বান্টিঙকে প্রভাবিত করেছিল তার চেয়ে ঢেড় বেশি। তাই ম্যাক্লাউডের সমস্ত কাজের মধ্যেই একটা অভিসন্ধি দেখতে পান বান্টিঙ। বিপরীতে, ম্যাক্লাউড কিন্তু তাঁর স্বাভাবিক বুদ্ধি দিয়েই বিচার করেন বান্টিঙকে। বান্টিঙের প্রতি তাঁর যা কর্তব্য আবেগহীন চিত্তেই তা পালন করেন তিনি। ৩০শে ডিসেম্বরের সভাতে বস্তুতপক্ষে বান্টিঙের সম্মান রক্ষাই করেছিলেন ম্যাক্লাউড। কিন্তু বান্টিঙের মনে হয়েছে ‘আমাদের’ শব্দ ব্যবহার করে এবং তাঁর বক্তব্য চলাকালীন মাঝপথে মঞ্চে উঠে এসে তাঁর গবেষণার কৃতিত্বে ভাগ বসাতে চাইছেন ম্যাক্লাউড।

এলো নতুন বছর ১৯২২ সাল। নতুন বছরে নতুন পদক্ষেপ নিতে চান বান্টিঙ। গবেষণাগারে পরীক্ষার দিন শেষ হয়ে গেছে বলেই মনে করছেন তিনি। এখন সময় হয়েছে মানুষের উপর আইলেটিন প্রয়োগের। তাঁর স্বপ্ন ততদিন পর্যন্ত সফল নয় বলেই জানবেন তিনি যতদিন না পর্যন্ত কোনো মানুষের উপর তা প্রয়োগ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ষাঁড়ের প্যানক্রিয়াস থেকে নতুন করে নির্যাস নিষ্কাশন করেছেন বান্টিঙ এবং বেস্ট। নিজের উদ্যোগেই এই নির্যাস পরিশোধনও করেছেন বেস্ট। কলিপকে এই ব্যাপারে নাক গলাতে দেন নি তাঁরা। তাঁদের নিজেদের ল্যাবে নিজেদের মতো করেই পরিশোধন করেছেন এই নির্যাস। এই নির্যাস এবার সরাসরি প্রয়োগ করতে চান মানুষের উপর। তাঁরা দেখতে চান মানুষের উপর প্রয়োগ করলে কতটা সফল হয় তাঁদের আইলেটিন।

কিন্তু কার উপরে প্রয়োগ করবেন এই নির্যাস? রোগী কই? রোগী তো সেই হাসপাতালে। আর বান্টিঙ বা বেস্ট কেউই হাসপাতালের সাথে যুক্ত নন এই মুহূর্তে। ফলে রোগী কোথায় পাবেন তাঁরা? আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই বা কেন হঠাৎ করে পরীক্ষা করতে দেবেন তাঁদের রোগীর উপর? ফলে হাসপাতালের কোনো রোগীর উপর তাঁদের তৈরি প্যানক্রিয়াস নির্যাস প্রয়োগের কোনো সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছেন না তাঁরা। আর হাসপাতালগুলো যদি ডায়াবিটিস রোগীর উপর পরীক্ষা করতে না দেন, তাহলে আর কার উপরে এই পরীক্ষা করবেন তাঁরা? এই নিয়ে মহাসমস্যায় পড়লেন বান্টিঙ আর বেস্ট।

এবারও কিন্তু ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন ম্যাক্লাউড। কারণ ম্যাক্লাউড নিজেও মনে করেন, সময় এসেছে মানুষের উপর ইনসুলিন প্রয়োগ করার। কলিপ এবং বেস্ট দুজনেই পরিশোধন করে ফেলেছেন ইনসুলিন। সেই পরিশোধিত ইনসুলিন এবার মানুষের উপর প্রয়োগ করতে চান ম্যাক্লাউড। বান্টিঙের দাবি মেনে, প্রথমে বান্টিঙের তথা বেস্টের পরিশোধন করা ইনসুলিন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন ম্যাক্লাউড। টরন্টো জেনারল হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ডা. ক্যাম্বল[২৯] এবং ডা. ফ্লেচার[৩০] তাঁর বিশেষ পরিচিত। বর্তমানে ওই হাসপাতালে ডায়াবিটিস রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ভাবে ভারপ্রাপ্ত এই দুই চিকিৎসক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ক্যাম্বলের সাথে কথা বললেন ম্যাক্লাউড। তিনি জানালেন তাঁদের প্রস্তুত করা প্যানক্রিয়াস নির্যাস দিয়ে কোনো ডায়াবিটিস রোগীর চিকিৎসা করতে চান তাঁরা। তাঁরা জানতে পারলেন, ঠিক এই মুহূর্তে টরন্টো জেনারল হাসপাতালে ডা. ক্যাম্বলের অধীনে ভর্তি আছেন ১৩ বছরের কিশোর লিওনার্ড থম্পসন। গত এক বছর ধরে ডায়াবিটিসাক্রান্ত থম্পসন। শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতি হওয়ায় ডিসেম্বর মাসে টরন্টো জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে থম্পসনকে। ডা. ক্যাম্বল ও ডা. ফ্লেচারের চেষ্টা সত্ত্বেও শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো উন্নতি হয় নি থম্পসনের। এমতাবস্থায় ম্যাক্লাউড জানালেন, থম্পসনকে ‘প্যানক্রিয়াস নির্যাস’ প্রয়োগ করতে চান তাঁরা। ক্যাম্বল জানান, এই নির্যাস প্রয়োগের আগে, থম্পসনের বাবা মায়ের সাথে কথা বলা দরকার। সেই মতো থম্পসনের অভিভাবকদের সাথে কথা বললেন ক্যাম্বল। ক্যাম্বলের প্রস্তাবে রাজি হলেন থম্পসনের বাবা। ক্যাম্বলের বয়ানে, “সেই সময়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কঠিন ডায়াবিটিসাক্রান্ত ছিল সে [থম্পসন], এবং আপনাদের হয়তো মনে থাকবে সেই সময়ে এই সমস্ত কিশোর রোগীদের গড় আয়ু ছিল ১.৩ বছর। উপবাস ও তখনকার দিনে প্রদত্ত অন্যান্য ডায়াবিটিসের পথ্য দিয়েও তাঁকে শর্করা মুক্ত করতে পারিনি আমি, এবং তাঁর বাবাকে বললাম আমাদের একমাত্র আশা বান্টিঙের প্যানক্রিয়াস নির্যাসের উপরই রয়েছে …”।

প্রচলিত মতে চিকিৎসার আর কোনো উপায় না থাকায় এবং ম্যাক্লাউডের বিচক্ষণতা, খ্যাতি, প্রতিপত্তির কারণেই থম্পসনকে প্যানক্রিয়াস নির্যাস প্রয়োগে রাজি হলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল তরফে বলা হলো, থম্পসনকে ‘ম্যাক্লাউডের সেরাম’ প্রয়োগ করা হবে।

ম্যাক্লাউডের সেরাম! সে কি কথা!! বানালাম আমি আর নাম দেওয়া হচ্ছে ম্যাক্লাউডের সেরাম!! চটে লাল বান্টিঙ। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে মাথা গরম করতে রাজি নন তিনি। রোগীকে ইঞ্জেকশন দেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি সেই মুহূর্তে। মানুষের দেহে আইলেটিন প্রয়োগের ফলাফলের উপরই নির্ভর করছে তাঁর স্বপ্ন, তাঁর ভবিষ্যৎ। এই জন্য বেশ টেনশনেই আছেন তিনি। সেই জন্য আপাতত চুপচাপই রইলেন চিন্তিত বান্টিং।

(চলবে)

[২৯] কানাডার অন্টারিয় প্রদেশে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ওয়াল্টার রাগ্লেস ক্যাম্বল (১৮৯০-১৯৮১?)। ১৯১১ সালে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রি ও ফিজিওলজি নিয়ে স্নাতক হন। ১৯১৫ সালে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারি পাশ করে টরন্টো জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন ক্যাম্বল। এখানে তিনি ডায়াবিটিস রোগী দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ১৯১৭-১৮ সালে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন, বান্টিঙের মতোই কানাডার সেনাবাহিনীর সাথে ইংলন্ড যান ক্যাম্বল। যুদ্ধ থেকে ফিরে পুনরায় টরন্টো জেনারেল হাসপাতালে যোগ দেন ক্যাম্বল। ১৯৫২ সালে হাসপাতাল থেকে অবসর নেন ক্যাম্বল। ১৯৫৩ সালে ‘বান্টিঙ মেডেল’এ সম্মানিত করা হয় ক্যাম্বলকে।

[৩০]  ডা. অ্যান্ড্রু আলমন ফ্লেচারের (১৮৮৯-১৯৬৪) জীবন সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। শুধু জানা যায়, ডা. ক্যাম্বেলের সাথে টরন্টো জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। ‘টরন্টো টিমের’ সাথে ডায়াবিটিস বিষয়ে লেখা তাঁর প্রবন্ধগুলো অবশ্য সহজলভ্য।

PrevPreviousমিয়াঁও
Nextঅনুমান করুন, আমি কে?Next
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

বিদ্বেষের গাছে জল না দিয়ে একটা ভালবাসার চারাগাছ পুঁতুন

May 14, 2025 No Comments

‘যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই’ – বললেই কিছু লোকজন রে রে করে তেড়ে আসছেন। এটাই বোধহয় স্বাভাবিক হয়েছিল। আর যুদ্ধ কোনও খনি বাড়াবাড়ি তো জীবের

যুক্তিবোধ বনাম ‘দেশ ভক্তি’

May 14, 2025 No Comments

The Bengal Today ইউটিউব চ্যানেল থেকে।

বাধ্য হয়ে বীরের মতো যুদ্ধ করা আর যুদ্ধের নেশার ঘোরে যুদ্ধ করা

May 14, 2025 No Comments

১২ মে ২০২৫ আজ একটি “যুদ্ধ উন্মাদনা বিরোধী গণমিছিল” ছিল কোলকাতায়। “প্রয়োজনীয় যুদ্ধ” বিরোধী নয়, “যুদ্ধ উন্মাদনা” বিরোধী। বাধ্য হয়ে বীরের মতো যুদ্ধ করা আর

আজ যত যুদ্ধবাজ

May 13, 2025 1 Comment

যুদ্ধ বিরতিতে আমা হেন আদার ব্যাপারির খুব বেশি আসে যায় না। শুধু মেগা সিরিয়াল না দেখে যুদ্ধ-ভিডিও দেখছিলাম। সেটা একটু ব্যাহত হল। মূল্যবৃদ্ধি? আমি প্রতিদিনের

মাদারিকা খেল

May 13, 2025 No Comments

দৃশ্য এক: বৃহস্পতি বার, ৮ই মে, ২০২৫: খবরে প্রকাশ ভারতের প্যাটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেড মার্কস এর কন্ট্রোলার জেনারেল এর অফিসে চার খানা দরখাস্ত জমা পড়েছে

সাম্প্রতিক পোস্ট

বিদ্বেষের গাছে জল না দিয়ে একটা ভালবাসার চারাগাছ পুঁতুন

Rudrani Misra May 14, 2025

যুক্তিবোধ বনাম ‘দেশ ভক্তি’

Doctors' Dialogue May 14, 2025

বাধ্য হয়ে বীরের মতো যুদ্ধ করা আর যুদ্ধের নেশার ঘোরে যুদ্ধ করা

Dr. Koushik Dutta May 14, 2025

আজ যত যুদ্ধবাজ

Dr. Arunachal Datta Choudhury May 13, 2025

মাদারিকা খেল

Dr. Samudra Sengupta May 13, 2025

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

554188
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]