কোনো ভাইরাল অ্যাডাল্ট ক্লিপে পুরুষের ছবি বড় করে দেখেছো?
লম্পট কথাটাকে বেশ্যার সমান করে ভেবেছো কখনো?
বিধবা ও বিপত্নীক,
দুজনেই সাথীহারা, সামাজিক ব্যবহারে মিল আছে কোনো?
তাহলে কী দাঁড়ালো?
পুরুষ সুবিধাভোগী সর্বত্র সমাজে?
পুরুষের দিবসের ধারণাই বাজে?
দাঁড়াও হে পথিক রমণী,
হিসেবের গণিতটা অত সোজা না যে ।
পুং-নারী বিবাদে যারই দোষ থাক,
শ’শতাংশ আসে পুরুষের ভাগে,
ক’জনের মনে থাকে
পুং-শিশুদেরও যৌন হেনস্থা থেকে সুরক্ষা লাগে?
বিয়ের ছলনা করে শরীরী মিলন,
সেই অভিযোগ যদি করে প্রাপ্তবয়স্কা নারী,
আইনত ধর্ষণ সেটা।
মেয়ে যদি একই ভাবে আর কোনো বাড়ি বেছে হয় সংসারী,
এমন কি প্রতারণা মামলা হবে না..
শারীরিক সবে যেন পুরুষেরই দেনা।
যেরকম কন্যাভ্রুণ হত্যা সত্য,
ঠিক সেরকমই বাস্তব অজস্র শৈশব কৈশোরে বুড়ো হওয়া পুং-ক্রীতদাস,
চায়ের দোকান,
পাড়ার গ্যারেজ,
অবৈধ নানা কারখানায়
যাদের ছুটিহীন কাজ বারোমাস,
যেরকম বিয়ে ‘ দিয়ে দেওয়া’য়
বহু নারীর মগজের ভিতে জীবন গড়ার
স্বপ্নগুলো হয় চুরমার
সেরকমই বহু পুরুষেরও শিক্ষা ও প্রতিভার বিকাশ থামাতে হয় একটা বাক্যের সম্মানে..
‘বাবু, তুই না দেখলে কে দেখবে এই সংসার!’
আসলে অজস্র যোগ্য লোক আর অত্যল্প সুযোগের এই দেশে ,
ওপরমহলের সুপারিশহীন,
অর্থবলে দীন
আর রাজনীতি-ধর্মের অদরকারি ক্ষীণ মানুষেরা শোষিত ও লাঞ্ছিত হয় লিঙ্গ-নির্বিশেষে।
পুরুষ, নারী, শিশু ..
আর যত হাজার সংজ্ঞা দিয়ে পালিত দিবসে,
তাদের রক্ত ঘাম অশ্রু ও অপ্রাপ্তিরা
এদেশের ধুলো আর মাটি জুড়ে
বাকি তারিখের মতো একই ভাবে মেশে।
সেও এক লিঙ্গ-সাম্য বটে,
সময়ের জাঁতাকল তাদের তো একইভাবে পেষে।