‘আমাদের উনি আছেন’ বলে করা গর্বটা ক্রমশই খর্ব হচ্ছে।
মহীরুহদের পতন ঘটছে,
একদা গহন অরণ্যে এখন আর গাছ নেই সেরকম।
সেই গাছ, যার ছায়ার তলায় বসে দুদণ্ড জিরিয়ে নিয়ে জীবন দম ফিরে পেতো,
ক্লান্ত ও ভ্রান্তরা ফিরে পেতো দিশা আর উদ্যম।
তাদের কোটরে জমা থাকতো ছেলেবেলা,
হলদেটে পাতার শুকিয়ে যাওয়া গোলাপে কিশোরবেলার প্রথম প্রেম হতো বার্ধক্যের থিতু স্মৃতি,
মুখস্থ হয়ে যাওয়া গদ্যের ঝংকারে ছিলো প্রথম যৌবনের বাঁধ ও বাঁধন তুচ্ছ করার হঠকারিতা,
অনাবিল পংক্তির যুগলচারনে সদ্য বানানো ঘরের ভিত আগামী কয়েক দশক পোক্ত হতো।
অরণ্য আজকে ফাঁকা, ‘আমাদের উনি আছেন’
বলার মতো আকাশছোঁয়া বৃক্ষেরা অদৃশ্য,
তাদের স্মৃতি ও সৃষ্টিরা ভার্চুয়ালে আটপৌরের বন্যায় নির্জন লাইব্রেরীতে নির্বাসিত।
এখন মানুষ জড়িয়ে ওঠা লতার প্রাদুর্ভাব বেশি,
যেখানে সাড়ে চারশো লাইক আর পঞ্চান্নটা কমেন্ট,
দশ বিশ পঞ্চাশ বছর পরে প্রাসঙ্গিক ও পাঠকপ্রিয় থাকার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তাৎক্ষণিক শেয়ারের নেশায় অমরত্ব আর খোঁজে না কলমেরা,
বরং আজকের দিনটিতে আপনার রচনাই সেরা,
সেই বাহবাটুকু পেলে শব্দের মাধুকরী পরিতৃপ্ত হয়।
আগামী কি মরুভূমি তবে? আমাদের হাত নেই, শেষ কথা বলবে সময়।
‘আমাদের উনি আছেন’ বলে প্রজন্ম দেবে বলো কার পরিচয়?
Beautifully expressed our feelings, emotions