দরকারে প্যান্ট কেন জাঙিয়াও খুলে নিতে পারি।
যা করতে বলি সেটা কর তাড়াতাড়ি,
এক টাকা দিয়ে মাপ গোটা করিডর,
‘আমি বোকা-ড্যাশ’ হাতে হোস্টেল ঘোর,
তুই গেঁয়ো ভূত আর আকাট আনাড়ি,
এ শহর থেকে জানি বহু দূরে বাড়ি,
এখানে বিধাতা আমি, আমিই উপাস্য ঈশ্বর তোর।
কথাগুলো বলছে যে, নামহীন তকমাতে সে ‘সিনিয়র’
যাকে বলা, সে তার কলেজে ফ্রেশার,
বয়েসে তফাৎ হবে এক থেকে চার।
বাকি সব কিছু দেখো, পরিবার মেধা আর পারিপার্শ্বিক,
সেরকম বিভাজনে মিলবে না দিক,
যাকে ধরে বলা যাবে, এই দেখো কোনখানে হয়েছে বেঠিক।
আরো দুবছর গেলে ওই যে নবীন,
আজকে যে ‘দাদাদের’ আজ্ঞা-অধীন,
সে শিকার খুঁজে নেবে তার, প্রাক্তনীদের মতো দয়ামায়াহীন।
র্যাগিং। ধর্ষ-দর্শকাম, প্রতিটি কলেজে যার স্থিতি,
সিনিয়র জুনিয়রে চলে আসা ভয়ানক রীতি,
হোস্টেলে রাত হলে ধুকপুক শোনা যায়.. দরজায় টোকা সব ফ্রেশারের ভীতি,
সিনিয়র গ্রুপ আসে, ত্রাসে আর সন্ত্রাসে
বোঝাতে কোন দল কনট্রোলে পুরো.. কাপড় খুলিয়ে তারা অশ্লীল হাসে,
অপমান গিলে ফেলে করতেই হবে সব আজ্ঞাপালন,
নতুন পড়ুয়া জানে কেউ নেই পাশে।
দমিত জিঘাংসারা একই অবতার ধরে সে ফ্রেশার সিনিয়র হলে,
এক দুবছর লাগে র্যাগড থেকে র্যাগারের তকমা-বদলে,
স্মৃতিকে ঝালিয়ে নিতে নতুন এক ফ্রেশারের সে পোশাক খোলে।
র্যাগিং। প্রথা বলে চলে আসা ‘স্মার্ট করানোর’ খেলা।
র্যাগিং। সাবধান! স্যারকে বললে কিন্তু বাড়বে ঝামেলা।
র্যাগিং। পরের বছর থেকে তোরাও তো চান্স পাবি, কপ
করে সেই টোপ গেলা।
র্যাগিং। দেখেও না দেখা করে রাখেন কর্তৃপক্ষ যে ঘটনাবলী।
র্যাগিং। মনকে দুমড়ে দেওয়া স্থায়ী এক ক্ষত, আমাদেরই সন্ততি হয় যার বলি।
র্যাগিং। মজা বলে ওড়ানো ধর্ষ-বর্বরতা, যার থেকে হতে পারে ক্ষতিই কেবলই।
আইসবার্গটি নিচে গভীরে বিস্তৃত। দেখা যায় তার শুধু tip.
আজকের ব্যা করা বলি-কা- বকরা, সিনিয়র হয়ে গেলে
সে-ই black sheep.
প্রতিটি কলেজে আর প্রতি হোস্টেলে, পড়ুয়া নতুন এলে বুক-ঢিপঢিপ।
কোথায় পালাবে বলো তোমার বাছারা? সব ফ্রেশারের নাম কুন্ডু স্বপ্নদীপ।