পাপীতাপীদের কপালে একটু স্বস্তি জুটছে ইদানীং।
উপরমহল থেকে যেই হুকুম আসছে, ব্যাটাদের ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে বছরকয়েক ডিপ ফ্রাই করে আন, অমনি স্টাফেদের তরফে উত্তর আসছে – হবে না, স্যার। কড়াই ফুল এনগেজড।
একদিক থেকে এক ভদ্রমহিলা প্রাণপণে চপ ভাজছেন, আরেকদিক থেকে এক দাড়িওয়ালা ভদ্রলোক পকোড়া।
প্রচুর ভিড়। হইহই ব্যাপার, রইরই পরিস্থিতি।
কড়াইয়ে পকোড়া পড়তেই একদল চেল্লাচ্ছে, ওফফফ, এমন পকোড়া পঁচাত্তর বছরে কেউ ভাজতে পারেনি।
আর চপ ছাড়তেই আরেকদল, এমনিতে চপ স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না হলেও এঁর চপে একদম অম্বল হয় না, পায়খানাও পরদিন ক্লিয়ার।
আর দূর থেকে ক’জন ছড়া আওড়াচ্ছে –
ভন্ড বেড়াল, পালের ধাড়ি,
লাগাও মুখে ঝাঁটার বাড়ি।
মাথায় মাথায় ঠুকে ঠুকে
চুনকালি দাও দুটোর মুখে॥
আমার কনফিউশন দেখে একটা টাকমাথা লোক ফিসফিসিয়ে বলল, দাদা, কী বুঝছেন? বলেন কী, কিচ্ছু বুঝছেন না? হাইলি সাসপিশাস!! আপনাকে তো কাল্টিভেট করতে হচ্ছে মশাই…
সেই শুনে আমি ভড়কে-টড়কে ভোঁ-ভাঁ দৌড় দিলাম। জানেনই তো, ওসব কালচার-ফালচার আমার একেবারে আসে না…