অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, আঁকাবাঁকা/ উঁচুনীচু দাঁত থাকলে কী সমস্যা হতে পারে।
এই পোস্টে তার একটা বেসিক রূপরেখা দেওয়ার চেষ্টা করি।
১. আঁকাবাঁকা দাঁত মানে বেশ কিছু uncleansable area থাকা। সেখানে খাবারের কণা জমবে।
২. তা থেকে মুখে দুর্গন্ধ হবে। ক্যালকুলাস জমবে। মাড়িতে ইনফেকশন হবে। মাড়ি থেকে ব্লিডিং হবে।
৩. Uncleansable area-তে কেরিস (গোদা বাংলায় দাঁতে পোকা) হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। সেটা হলে ক্যাভিটি, দাঁত ব্যথা, alveolar abscess ইত্যাদি হতে পারে। এই পয়েন্টে এর বেশি বিস্তারিত বলতে গেলে sequelae of Caries হয়ে যাবে।
৪. দাঁতের সারফেস শুধুমাত্র দাঁতের জন্যই কাজে লাগে, তা নয়। ওপরের ও নীচের দাঁত খাপে খাপ বসে যাওয়াকে occlusion বলে। আঁকাবাঁকা দাঁত হলে সেটা হয় না, একে তখন malocclusion বলা হয়। classification এ যাচ্ছি না।
Malocclusion হলে চিবানোর যে ফোর্স যেখানে পড়া উচিত, তা সম্ভব হয় না। ভুল জায়গায় ভুল অ্যাঙ্গেলে পড়ে। চিবানোর ফোর্স দাঁত ও চোয়ালের হাড়ের সকেটের মধ্যে থাকা লিগামেন্টের মাধ্যমে সকেটের হাড়ে চলে যায়। ভুলভাবে আসা ফোর্সের ফলে সকেটের হাড় ক্ষয়ে যেতে থাকে। এর ফলে মাড়ি নেমে আসে, ও দাঁত আলগা হয়ে যায়।
৫. একইভাবে malocclusion-এর ফলে চোয়ালের জয়েন্ট তথা temporo-mandibular joint-এ চাপ পড়ে, যার ফলে সেখানকার হাড়, লিগামেন্ট ও পেশিতে নানাবিধ রোগ দেখা দিতে পারে।
অতএব, দাঁত আঁকাবাঁকা/ উঁচুনীচু থাকলে দেরী করবেন না। রেজিস্টার্ড ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিন।
বি.দ্র.
- Uncleansable area = পরিষ্কার করা যায় না এমন জায়গা।
- ক্যালকুলাস – দাঁতের ওপরের পাথরসদৃশ অবাঞ্ছিত হলুদ শক্ত আস্তরণ, যার দরুণ মাড়ি ও তার নিচের হাড়ের রোগ হতে পারে
দাঁত শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, সুন্দর স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।