টিভি-সাংবাদিক বন্ধু ফোনে বললেন, ‘ আপনি কোথায় এখন?’
দোষ তাঁর নয়। আমারই। আমিই ফোন করেছিলাম তাঁকে, যদি একটা বাইট দেওয়া যায়। আসলেই টিভিতে মুখ দেখানোর অপচেষ্টা। বলেছিলাম, ‘একটা বাইট নেওয়া যায়, আমার?’
আমার আবেদন শুনে তিনি, আমি কোথায় জিজ্ঞেস করলেন।
কিঞ্চিৎ গর্বের সঙ্গে বললাম তাঁকে, ‘আমি এখন ইনসাফের ব্রিগেডে!’
‘সেতো যুব-ফেডারেশনের ব্যাপার! সেখানে আপনি?’
‘বাঃ, নিজেকে যুবক ভাবা তো নিজের মানসিক ব্যাপার। ঠিক আছে যুব না হই, ইনসাফের ব্যাপারটা আছে না?’
‘আপনি তো ডাক্তার। সমাজে একরকম প্রতিষ্ঠিত। আপনার আবার কী ইনসাফ চাওয়া?’
‘আরে, এ সেই রিজওয়ানুরের মাকে দিয়ে মুঝে ইনসাফ চাহিয়ে বলিয়ে, রুকবানুরের এমএলএ হবার গল্প নয়। এ হল সত্যিকারের ইনসাফ চাওয়া।’
কৌতূহলী সাংবাদিক বললেন, ‘বলুন দেখি, একে একে।’
‘শুনুন তবে। আমি ডাক্তার জানেন তো? হাউস্টাফশিপ ট্রেইনিং করেছি পিজিতে প্রফেসর দেবব্রত সেনের কাছে। তাঁর আউটডোরে দেখাতে এলে মন্ত্রী-সান্ত্রী-আমলাদেরও অপেক্ষা করতে হত আউটডোরের বেঞ্চিতে বসে।’
‘তো?’ সাংবাদিক একটু বিরক্ত এতক্ষণে।
‘সেই পিজি, মানে এসএসকেএমের ডাক্তারদের এই ভাবে চাপ দিয়ে, হতমান করা হল। এতটাই যে পাতি পাবলিক থেকে আদালত অবধি সবাই ঘেন্না করছে। কৈফিয়ত চাইছে এই অন্যায় অপমানের। এর ইনসাফ চাইব না?
‘এই একটাই নাকি?’
‘অজস্র… আরও অজস্র রয়েছে। মেডিকেল কাউন্সিলের নির্বাচনকে কালি মাখাল। ডাক্তার ধীমান গাঙ্গুলিকে কী করেছিল খেয়াল আছে তো? নবীন-প্রবীন বেসরকারি ডাক্তারদের মিথ্যে অভিযোগে জড়িয়েছে এরা। সরকারি ডাক্তারকে পেটানি, সাসপেনশন, বদলিসমেত আর যা যা হেনস্থা করা যায় সবই করেছে এই চৌর্যসাম্রাজ্যের অধিপতিরা। সব ডাক্তারেরা এই সমস্ত অন্যায়ের ইনসাফ চাইছে আজ।
সমস্ত ডাক্তারেরা এই সমস্তের ইনসাফ চাইছে রিপোর্টার সাহেব!’
লাইনটা কেটে গেল। আজ ব্রিগেড মাঠে মোবাইলের টাওয়ার ভালো না।
কে জানে রে বাবা, পুলিশ আবার জ্যামার বসালো নাকি?
★