★
মানুষের দুটি হাত আছে। এইখানেই সে অন্য ম্যামালের থেকে আলাদা। ঠিক জানা নেই, সম্ভবত এই জন্যেই হয় তো তার লেজ নেই। হাত দিয়ে পোকামাকড় আর বিরক্তি তাড়ায় সে। সামান্য ভুল হল। বানরদের হাত আর লেজ দুটোই আছে। কিছু কিছু বানরোপম মানুষেরও লেজ আছে। সাদা চোখে দেখা যায় না। নাম লেখা প্যাডে বা কার্ডে দেখা যায়। তাদের নামের পরেই দেশি বিদেশি অক্ষরের লেজ।
যাক গে সে সব কথা।
দুই হাতে মানুষ অনেক কাজ করতে পারে। যদিও সামান্য একটা কাজ নিজের পিঠ সন্তোষজনক ভাবে চুলকানো কঠিন… বেশ বেশিই কঠিন। এর চাইতে অনেক সোজা পরস্পরের পিঠ চুলকে দেওয়া।
পায়ের ব্যবহারও অনেক রকম। দাঁড়ানো দৌড়োনো পর্বতারোহন, সাঁতার, পদাঘাত ও অন্যান্য।
কিন্তু পায়েরও বড়সড় সীমাবদ্ধতা আছে।
এবারে তোর কথা বলি।
তোকে ভালোবাসার মত ভুল কাজ এ জীবনে কখনও করে ফেলেছিলাম। কম বয়েসী মেয়ে (নেহাত কমও তো না, তখন তুই বছর চল্লিশেক) দেখলেই ছোঁকছোঁক করার মত সোজা নয় ব্যাপারটা। তুই তো জানতি স্রেফ তোকে দেখার জন্য আমি কত ক্রোশ কত দশক দৌড়ে গেছিলাম।
দৌড়নোর সেই সিদ্ধান্ত বদলানো যায়নি। বদলানোর সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল।
আমার অগোছালো ঘরে এক একটা দেরাজ এক এক জনের। কোন দেরাজে তোকে রাখব? মায়ের নাকি মেয়ের… নাকি বন্ধুর?
ভেবে ঠিক করার আগে তুই নিজেই ফাল্গুনীর কাছে খেলাচ্ছলে সাতখান করে আমার ওপর বিরক্তির নোংরা গল্প শোনালি। মাঝে এয়ারপোর্টের রাস্তায় যে আমার আঙুল জড়িয়ে খেলা করেছিলি, ফাল্গুনীকে সেই গল্প বলেছিলি?
তারপর? তুই গেলি যেখানে যাবার কথা।
হ্যাঁ, যা বলছিলাম। পায়ের সীমাবদ্ধতার কথা।
ইচ্ছে… মানে খুব ইচ্ছে করলেও… শত ইচ্ছে থাকলেও, নিজের পা দিয়ে নিজের পাছায় লাথি. মারা যায় না। বুঝে যাই কর্মফল ভোগ না করা অবধি নির্বাণ নেই।
★